মানুষের বয়স যত বৃদ্ধি পায় স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার বিষয়টি তত বেশি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কিছুক্ষণ আগের কথাও মনে করতে বেগ পোহাতে হয়। কিন্তু এটি কিসের জন্য হয়, আর এর সমাধানই বা কি। পুষ্টিবিদের মতে শরীরে ভিটামিন ডি-র পরিমাণ কমে গেলে মানুষ এ সমস্যার মুখোমুখি হন।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে কিছু লক্ষণের কথা বলা হয়েছে, সেগুলো দেখলে বুঝবেন শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি পড়েছে। সেটা বুঝে একটু সচেতন হলেই মস্তিষ্কের শক্তি বাড়ানো যায়। চলুন জেনে নেয়া যাক বিস্তারিত-
ঘন ঘন জ্বর, সর্দি-কাশি
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী রাখে ভিটামিন ডি। এর ফলে ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়াগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম হয় শরীর। যদি ঘন ঘন ভাইরাল জ্বর, সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হন, তা শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতির লক্ষণ হতে পারে।
চুল পড়ে যাওয়া
পুষ্টিহীনতায় ভোগার কারণে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয়। এর মধ্যে অন্যতম ভূমিকা রাখে ভিটামিন ডি’র অভাব। ঠাৎ করে চুল পড়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দিলে খেয়াল করতে হবে শরীরে ভিটামিন ডি কমে গেছে কি-না।
হাড় এবং পেশিতে দুর্বলতা
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই ভিটামিনের অভাবে হাড় ও পেশি দুর্বল থাকে। এ ছাড়া ব্যথা, অস্থিসন্ধিগুলোর বিকৃতি এবং দীর্ঘস্থায়ী পিঠে ব্যথা ভিটামিন ডি-র ঘাটতির উপসর্গ হতে পারে।
ঘন ঘন মেজাজের পরিবর্তন
শরীরে ভিটামিন ডি-র মাত্রা কম হলে মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ দেখা দিতে পারে, যা ঘন ঘন মেজাজের পরিবর্তন করতে পারে। স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে, ভালোভাবে বিশ্রাম নিয়েও যদি আপনি অলস এবং ক্লান্ত বোধ করেন তবে এটি ভিটামিন ডি-র অভাবের সূচক হতেই পারে।
খেতে ইচ্ছে করে না
অকারণে ক্লান্তিভাব, ঝিমুনি এবং শুয়ে বসে থাকার ইচ্ছে হতে পারে শরীরে ভিটামিন ডি-র অভাবে। খুদা পেলেও খেতে ইচ্ছে করছে না। খুদা কমে যাওয়াও হতে পারে ভিটামিন ডি ঘাটতির লক্ষণ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক আহারই সঠিক পুষ্টি দেয় আমাদের। তাই ভিটামিন ডি পাওয়ার জন্য আমাদের সঠিক খাবার খেতে হবে, যাতে রয়েছে এই মিনারেল।
এজন্য কেবল সূর্যরশ্মি থেকেই নয়, প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে সামান্য কিছু বদল আনলেও শরীরে এই ভিটামিনের ঘাটতি মেটানো সম্ভব। শরীরে এই ভিটামিনের পর্যাপ্ত জোগান দিতে ডায়েটে বেশি করে দই, দুধ, ছানা, মাছ, মাশরুম, ওট্স, পালং শাকের মতো খাবার রাখতে হবে।
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন