শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

হজ প্যাকেজে ব্যয় বাড়ল আরো ৫৯ হাজার টাকা

শুক্রবার, মে ২৭, ২০২২

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভায় সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রাপ্ত হজের ব্যয় সম্পর্কিত তথ্যের ভিত্তিতে এর আগে বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত (প্রভিশনাল)  প্যাকেজ-১ ও প্যাকেজ-২ এর সাথে সৌদি আরবে আবশ্যকীয় ব্যয় হিসেবে আরো ৫৯ হাজার টাকা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

তিনি বৃহস্পতিবার (২৬ মে) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানান, সৌদি কর্তৃপক্ষ হজে মিনায় অবস্থান স্থলে ও প্রদেয় সেবার মূল্যকে চার ক্যাটাগরিতে ভাগ করে চার ধাপের ব্যয় নির্ধারণ করেছেন। এর মধ্যে সর্বনিম্ন ব্যয়ের ধাপ ‘ডি’ ও ‘সি’ প্রকাশ করেছে। ওই তথ্য অনুযায়ী মোয়াল্লেম ফি ‘সি’ অনুসারে আট হাজার ৬৪০ সৌদি রিয়াল ও ‘ডি’ অনুসারে সাত হাজার ৪৯০ সৌদি রিয়াল ধার্য করা হয়েছে। এ সেবা মূল্য বিবেচনায় মোয়াল্লেম ফি ‘সি’ অনুসারে এক লাখ পাঁচ হাজার ৫৯৭ টাকা ও মোয়াল্লেম ফি ‘ডি’ অনুসারে ৭৪ হাজার ৫০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।

মো. ফরিদুল হক খান আরো জানান, বাংলাদেশের হজযাত্রীদের আর্থসামাজিক অবস্থা ও হজযাত্রীদের প্রতি বর্তমান সরকারের সহানুভুতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনায় রেখে বিভিন্ন সেবা থেকে কিছু অর্থ সাশ্রয় করে উভয় প্যাকেজে ৫৯ হাজার টাকা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘ওই টাকা জমা দেয়ার জন্য ২৮, ২৯ ও ৩০ মে সময় নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘টাকা জমা দেয়ার লক্ষ্যে আগামী শনিবার (২৮ মে) দেশব্যাপী তফসিলি ব্যাংকগুরো খোলা রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ জানানো হয়েছে।’

তিনি জানান, সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীরা নতুন ধার্যকৃত অর্থ সেল প্রসিডস অব হজ ডিপোজিট (হিসাব নম্বর ০০০২৬৩৩০০০৯০৮) নামে পে-অর্ডার প্রস্তুত করে হজ অফিস, ঢাকায় ৩০ মের মধ্যে জমা দেবেন। এ ক্ষেত্রে, মাহরামসহ হজযাত্রীদের একসাথে পে-অর্ডার প্রস্তুত করতে হবে। পে-অর্ডার গ্রহণের জন্য হজ অফিস, আশকোনা, ঢাকায় বিশেষ বুথ স্থাপন করা হয়েছে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীরা সমপরিমাণ অর্থ স্ব স্ব এজেন্সির ব্যাংক হিসাবে জমা দিবেন।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানান, গত ১১ মে হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছিল। তখন জানানো হয়েছিল, প্যাকেজ ঘোষণার পর রাজকীয় সৌদি সরকার কর্তৃক অতিরিক্ত কোন চার্জ আরোপ করা হলে, তা প্যাকেজ মূল্য হিসেবে গণ্য হবে ও হজযাত্রীকে পরিশোধ করতে হবে। কোন অর্থ অব্যয়িত থাকলে, তা হাজীদের ফেরত দেয়া হবে।

তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারীর কারণে রাজকীয় সৌদি সরকার হজের ঘোষণা বিলম্বের জন্য ও সৌদি আরব থেকে প্রকৃত খরচের বিবরণী না পাওয়ায় সম্ভাব্য ব্যয় বিবেচনা করে প্রভিশনাল হজ প্যাকেজ প্রস্তুত করা হয়েছিল।

সিএন/এমএ

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন