সাধারণত দীর্ঘ সময় একই ভঙ্গিতে বসা বা শোয়ার পর কিংবা শরীরে কোন অংশে দীর্ঘ সময় চাপ পড়ার কারণে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়ে থাকে। চিকিৎসাশাস্ত্রে এ সমস্যাকে ‘টেম্পোরারি প্যারেসথেসিয়া’ ও ইংরেজিতে ‘পিনস অ্যান্ড নিডলস’ও বলা হয়ে থাকে। প্রায়ই এ সমস্যায় ভুগলে এ রোগটিকে অবহেলা করা ঠিক নয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘হাত-পায়ে ঝিঁঝি ধরার সমস্যা জটিল রোগের ইঙ্গিত হতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মানুষের মধ্যে ঝিঁঝি ধরার সমস্যাটি সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হয় হাত কিংবা পায়ে। এ ছাড়া, শরীরের বিভিন্ন স্থানেও এ সমস্যা দেখা দিতে পারে।’
হাত-পায়ে ঝিঁঝি সমস্যার কারণ হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ এসএম সিয়াম হাসান মনে করেন, বেশ কিছু কারণেই আমাদের হাত, পা কিংবা শরীরের বিভিন্ন অংশে ঝিঁঝি সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে মেরুদণ্ডে আঘাতজনিত সমস্যা থেকে ‘সার্ভাইকাল স্পন্ডাইোসিস’ বা ‘লাম্বার স্পন্ডাইলোসিস’ এর সমস্যায়; হাতে বা পায়ে রক্ত সঞ্চালন কমে গেলে ‘পেরিফেরাল আর্টারাল ডিজিজ; ডায়বেটিসের কারণে ডায়বেটিক নিউরোপ্যাথি নামক একটি রোগের ক্ষেত্রে; মাংসপেশি দুর্বল হয়ে যাওয়ার কারণে; মস্তিষ্ক ও দেহের অন্যান্য অংশে নার্ভগুলোতে তথ্য আদান-প্রদানে ব্যাঘাত ঘটলে; স্নায়ু নার্ভগুলো হৃৎপিণ্ড থেকে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত পাওয়া থেকে বিরত থাকলে; শরীরে ভিটামিন বি ৬,১২ এর ঘাটতি; শরীরে পানির ঘাটতি হলে ইত্যাদি।
এসব সমস্যা সমাধানের জন্য ডাক্তার শাইফুল (ফিজিওথেরাপিস্ট ও ডায়েট প্ল্যানার) বলেছেন, ‘সর্বমোট দশটি খাবারের কথা। যেসব খাবার আপনাকে নিয়মিত খেতে হবে। এগুলো হল সবুজ শাকসবজি, কলিজা, ডিম, দুধ, মুরগির বুকের মাংস, দই, সূর্যমুখী বীজ, কলা, ছোলা ও কাজু বাদাম। এসব খাবারের মধ্যে যে খাবারগুলো আপনার চারপাশে আপনি সহজেই ও কম দামে পাবেন, সেগুলোই প্রতিদিনের খাবারে যোগ করে নিতে পারেন।
সিএন/এমএ
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন