ধর্ম ডেস্ক: ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে হুন্ডি ব্যবসা মৌলিকভাবে জায়েজ। তাই হুন্ডির মাধ্যমে লেনদেন করাও জায়েজ। কারণ, হুন্ডি ব্যবসা একধরনের মুদ্রা বিনিময়। অর্থাৎ, এক দেশের মুদ্রার বিনিময়ে অন্য দেশের মুদ্রার বেচাকেনা। এটি শরিয়তের দৃষ্টিতে বৈধ। এখানে বাড়তি টাকা নিলে তা পরিশ্রমের মজুরি হিসেবে গণ্য হবে। (ফাতাওয়া শামি: ৫/১৩১; ফাতহুল মুলহিম: ১/৫৯০; ফাতাওয়া কাসিমিয়া: ২০/২৬৬)
তবে এ ক্ষেত্রে শর্ত হলো, লেনদেন চুক্তির বৈঠকেই কমপক্ষে এক পক্ষকে মুদ্রা হস্তান্তর করতে হবে। দুই পক্ষের কেউই যদি মুদ্রা হস্তান্তর না করে, তবে তা ইসলামের দৃষ্টিতে জায়েজ হবে না। মহানবী (সা.) হাদিসে বলেছেন, ‘এই পণ্যগুলো যদি একটি অন্যটি থেকে আলাদা হয় বা একই পণ্য না হয়, তবে তোমরা যেভাবে ইচ্ছা বিক্রি করতে পারো। তবে তা হতে হবে নগদ। (মুসলিম: ১৫৮৭)
তবে আমাদের দেশে হুন্ডি ব্যবসা আইনিভাবে নিষিদ্ধ। আর ইসলামের নীতি হলো, রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ কোনো বিষয় যদি কোরআন-হাদিসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হয় এবং রাষ্ট্রের কল্যাণে প্রণীত হয়, তা মান্য করা সব নাগরিকের কর্তব্য। হুন্ডি ব্যবসা ও এর মাধ্যমে লেনদেন থেকে বিরত থাকা ইসলামি আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। তাই এই আইন মেনে চলা জরুরি। কারণ, শরিয়ত যে বিষয় থেকে বিরত থাকার সুযোগ রেখেছে, সে বিষয়ে জড়িত হয়ে আইন লঙ্ঘন করে নিজেকে বিপদে ফেলা ইসলাম অনুমোদন করে না।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘আল্লাহর পথে ব্যয় করো, তবে নিজেদের হাতে নিজেদেরকে ধ্বংসের মুখোমুখি কোরো না।’ (সুরা বাকারা: ১৯৫)
লেখক: মুফতি ইশমাম আহমেদ, শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন