রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

শিরোনাম

‘২ কর্মীর নামহীন বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানে বাইডেনের ২৯ মিলিয়ন ডলারের গন্তব্য’

রবিবার, ফেব্রুয়ারী ২৩, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

বাংলাদেশের নাম না জানা এক প্রতিষ্ঠানের জন্য ২৯ মিলিয়ন বা দুই কোটি ৯০ লাখ ডলার বাইডেনের আমলে বরাদ্দ করা হয়েছিল বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউজে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ব্যক্তিদের সামনে এ কথা বলেছেন তিনি। হোয়াইট হাউজের ইউটিউব চ্যানেলে এই বক্তব্যের ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে।

ট্রাম্প বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটভূমি শক্তিশালী করার উদ্দেশে দেশটির জন্য প্রায় দুই কোটি ৯০ লাখ ডলার বরাদ্দ করেছিল বাইডেন প্রশাসন। নামহীন কোনও এক প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশে এই অর্থ পাঠানোর কথা ছিল, যেখানে নাকি কাজ করতো দুজন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেছেন, ভেবে দেখুন, বাংলাদেশের নাম না জানা কোনও এক প্রতিষ্ঠানে, যেখানে বোধহয় দুজন কাজ করে, সেখানে এই পরিমাণ অর্থের এক চেক এসেছে। আর কে সেটা পাঠিয়েছে? যুক্তরাষ্ট্র!

সরকারি অর্থ অপচয় রোধে ট্রাম্পের প্রতিষ্ঠিত এবং ধনকুবের ইলন মাস্ক পরিচালিত প্রতিষ্ঠান, সরকারি সক্ষমতা বিভাগ (ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি বা ডোজে) কিছুদিন আগে একাধিক দেশের জন্য সহায়তা হিসেবে কোটি কোটি ডলার বরাদ্দ বাতিলের সিদ্ধান্ত জানায়। সেই তালিকায় ছিল বাংলাদেশের নাম। এরপর বুধবার মায়ামি অঙ্গরাজ্যের এক সম্মেলনে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিষয়ে মন্তব্য করেন ট্রাম্প। বৈদেশিক সহায়তায় নিয়োজিত মার্কিন সরকারি সংস্থা ইউএসএআইডির মাধ্যমে এই অর্থ পাঠানোর কথা ছিল।

তার স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে কটাক্ষ করে ট্রাম্প বলেছেন, ওই অর্থ-গ্রহীতারা বোধহয় অনেক ধনী হয়ে গেছেন। আশা করি, অসাধারণ জালিয়াতি দক্ষতার জন্য শিগগিরই কোনও নামকরা বাণিজ্য ক্রোড়পত্রের প্রচ্ছদে তাদের আমরা দেখতে পাব!

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ব্যাপক আন্দোলনের মুখে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রায় দেড় দশকের শাসনের অবসান ঘটে। তবে এর পেছনে মার্কিন ডিপ স্টেটের সম্পৃক্ততা ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। বিশেষত মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মকর্তা মাইক বেঞ্জের কিছু সাক্ষাৎকারের পর এই বয়ান আরও বেশি করে প্রচারিত হতে থাকে। অবশ্য, কিছুদিন আগে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে সরকার পতনে মার্কিন ডিপ স্টেটের সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ট্রাম্প।

গতকালের ওই ভাষণে আবারও অন্যান্য দেশের বরাদ্দের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ডোজের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী, সহায়তা তালিকায় থাকা দেশের মধ্যে ছিল মোজাম্বিকের জন্য এক কোটি, কম্বোডিয়ার জন্য ২৩ লাখ, সার্বিয়ার জন্য এক কোটি ৪০ লাখ, মলদোভার জন্য দুই কোটি ২০ লাখ, নেপালের জন্য তিন কোটি ৯০ লাখ এবং মালির জন্য এক কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন