বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বাইরে বাংলা বইয়ের সবচেয়ে বড় মেলা নিউ ইয়র্কের মুক্তধারা ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘নিউ ইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলা’। গত ২৩-২৬মে ২০২৫-এ অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এর ৩৪তম বার্ষিক আয়োজন।
১৯৯২ সালে বিশ্বজিত সাহা এই বইমেলা যখন শুরু করেন তখনও যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাভাষী অভিবাসীর সংখ্যা খুব বেশি ছিল না। স্বাধীনতা-উত্তর কালে একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে বাংলাদেশের শীর্ষ প্রকাশনা সংস্থা মুক্তধারার কর্ণধার চিত্তরঞ্জন সাহা ঢাকার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বইমেলা শুরু করেছিলেন। বাংলা একাডেমির নিজস্ব সাংস্কৃতিক আয়োজনের উপজাত হিসেবে শুরু হয়েছিল সেই বইমেলা। তাঁর সেই প্রতিষ্ঠান মুক্তধারারই আশির দশকের কর্মী বিশ্বজিত সাহা যখন নিউ ইয়র্কে বইমেলা শুরু করেন তখনো সেই অভিজ্ঞতা থেকেই হয়তো এ উপলক্ষে জোর দেয়া হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রতি। উদ্দেশ্য, অভিবাসী জীবনে স্বজাতীয় সাংস্কৃতিকতার টানে বাঙালিদের জড়ো করা–তাঁদের মধ্যেই হয়তো বই প্রেমিকেরাও থাকবেন। ফলে শুরু থেকেই নামে বইমেলা হলেও এই আয়োজন হয়ে উঠেছে বাংলাভাষীদের সাংস্কৃতিক উৎসব। এই বইমেলাও পেয়েছে বাংলাদেশের গ্রামগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী হাটের আদল। মুক্তধারার বইমেলা তাই যতটা না বইমেলা তারচেয়ে বেশি মিলনমেলা। যতটা না ব্যবসা তারচেয়ে বেশি বাঙালির সাংস্কৃতিকতা। ফলে দিনে দিনে বইয়ের সমারোহ বর্ধমান থাকা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত বই-আস্বাদনকারীরা এখানে গৌন হয়ে পড়েন। বই সম্পর্কিত প্রচারণা আগের তুলনার বাড়া সত্ত্বেও এবারের ৩৪তম আসরও এর ব্যতিক্রম হতে পারেনি।
‘আজকের পত্রিকা’র (জুন ৫, ২০২৪) এক খবরে দেখতে পাচ্ছি, ৬৫ লাখেরও বেশি পাঠকের সাক্ষাৎকার ভিত্তিক ‘সিইও ওয়ার্ল্ড ম্যাগাজিনে’র ২০২৪ সালের এক সমীক্ষা অনুসারে ১০২টি দেশের পাঠকদের মধ্যে বই পড়ায় বিশ্বের সবচেয়ে এগিয়ে থাকা দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিনিরা প্রতি বছর গড়ে ১৭টি বই পড়ে। পরের স্থানে থাকা ভারতীয়রা পড়ে ১৬টি বই। তালিকার সবর্শেষ দেশটির নাম আফগানিস্তান। পীড়াদায়ক বৈপরীত্য হচ্ছে যে বাংলাদেশিদের আয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রে বইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেই বাংলাদেশের অবস্থান সর্বশেষের আফগানিস্তানের চেয়ে মাত্র পাঁচ ধাপ ওপরে, অর্থাৎ সবচেয়ে কম বইপড়ুয়া হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ!
আমার ধারণা, বাংলাদেশের গড় জনসংখ্যার আনুপাতিক উচ্চ শিক্ষিতের হারের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশিদের মধ্যে শিক্ষিতের হার বেশি! তা সত্ত্বেও বইপড়ার সঙ্গে সম্পর্কিত বাংলাদেশিরা সংখ্যায় লজ্জাজনক পরিমাণে কম! প্রায় ৩ বছর ‘মুক্তধারা নিউ ইয়র্ক’ বইয়ের দোকানে বৈকালিক আড্ডায় বসে থেকে যা প্রত্যক্ষ করেছি তাতে আমার অনুমান এমনকি পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসা বাঙালি অভিবাসীদের সঙ্গে বাংলাদেশিদের বইপড়ুয়ার অনুপাত বিস্ময়কর রকমের কম, ৯০ঃ১০! এমন পরিপ্রেক্ষিতে সেই বাংলাদেশিরা নিউ ইয়র্কে বাংলা বইমেলার আয়োজনকে যে ৩৪ বছর ধরে চালিয়ে যাচ্ছেন এটা কম কথা নয়!
নিউ ইয়র্কে মুক্তধারা এ আয়োজন শুরু করেছিল ১৯৯২ সালে। তখনো আয়োজকদের মধ্যে যথার্থই ধারণা হয়েছিল, বাঙালির সাংস্কৃতি-তৃষ্ণা যাদের মধ্যে আছে তাদের মধ্যেই বইপ্রেমীদের পাওয়া যাবে। এমন ধারণা থেকেই আয়োজনটি ক্রমশ সম্প্রসারিতও হতে থাকে সাংস্কৃতিক উৎসবের দিকে। এক বছরের অনুপস্থিতি বাদে ২০১৫ সাল থেকে এই বইমেলার অংশগ্রহণকারী হিসাবে আমার উপস্থিত থাকার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি কী অনুষ্ঠান হবে, কোন কোন তারকার সমাহারে অনুষ্ঠান হয়ে উঠবে আকর্ষণীয় তার প্রচারণার জন্য বইমেলার আয়োজকদের মনোসংযোগের গভীরতা সবসময়ই বিশেষ লক্ষণীয়। যদিও স্বীকার করতেই হবে যে, অনুষ্ঠানের আয়োজন বইমেলার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। আকর্ষণীয় অনুষ্ঠান উপলক্ষে যাঁরা বইমেলায় আসবেন চকিতে চোখে পড়া দু একটি বইও হয়তো তাঁরা কিনবেন, সেটাও খুবই কঙ্ক্ষিত–আয়োজকদের এই মনোভঙ্গির গুরুত্বকে তাই কিছুতেই খাটো করা যাবে না। তবে এটাও লক্ষণীয়, অনুষ্ঠান পরিকল্পনায় বইপ্রসঙ্গ পায় খুব কম গুরুত্ব। আয়োজকদের সামগ্রিক পরিকল্পনা থেকে যেন মনে হয় বারোয়ারি উৎসবই মূল, কিছু বই সেখানে থাকে মাত্র! পাঠকদের দিক থেকে প্রকাশনা সংস্থাগুলোর কাছে কোনো বইয়ের চাহিদা দেয়ার উপায় রাখা আছে কিনা বইমেলার প্রচারণায় তারও কোনো চিহ্ন দেখা যায় না!
আয়োজক যেহেতু অভিবাসীরা সেহেতু বাংলাভাষী অভিবাসী লেখকেরাই এখানে বেশি প্রাসঙ্গিক হবার কথা। তাঁদের লেখা সাম্প্রতিক বইয়ের মধ্য থেকে কিছু বইকে বৈশিষ্ট্যের ও বৈচিত্র্যের দিক থেকে বিবেচনা করে আলোচনায় গুরুত্ব গুরুত্ব দেয়া যেতে পারত! জীবিত বা প্রয়াত অভিবাসী লেখকদের মধ্যে যাঁদের বই নিয়ে সামগ্রিক কোনো আলোচনা বাংলা বইয়ের জগতের জন্যই প্রাসঙ্গিক উদ্যোগ থাকতে পারত তেমন কোনো আলোচনার।
যদিও একটি বৈশিষ্ট্যের কখনো ব্যত্যয় ঘটেনি যে, এই বইমেলা উদ্বোধন করবেন কোনো-না-কোনো একজন লেখক। যেমন এবারের উদ্বোধক ছিলেন দুই বাংলারই এখনকার জনপ্রিয় লেখক সাদাত হোসাইন, যদিও প্রধান অতিথি ছিলেন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলা কালে ‘ব্লকেড’ খ্যাত ফিলিস টেইলর, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন আন্তর্জাতিক পরিসরে পরিচিত ব্যক্তিত্ব অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান, দার্শনিক অনুবাদক গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী রওনক জাহান ও মুক্তিযোদ্ধা সিতারা বেগম বীর প্রতীক। শিল্প-সাহিত্য ও বিদ্যাজগতের এইরকম সুধী ব্যক্তিত্বের আনাগোনা এই বইমেলার স্বাভাবিক ঘটনা। এবার যেন আরো বড় চাঁদের হাট হয়ে উঠেছিল এই বইমেলা! বাংলাদেশ থেকেও এসেছিলেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় লেখক-প্রকাশক, এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বিভিন্ন রাজ্য ও নগরী থেকেও বাংলাভাষী লেখক ও সংস্কৃতি অনুশীলনকারী ব্যক্তিবর্গ! এবারের বইমেলার আহ্বায়ক ছিলেন ভয়েস অব আমেরিকা খ্যাত রোকেয়া হায়দার।
কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক বাংলাদেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জিএফবি গ্রুপের অর্থায়নে বইমেলায় দেয়া হয়ে থাকে ‘মুক্তধারা-জিএফবি সাহিত্য পুরস্কার’। ২০২৫ সালের জন্য এই পুরস্কার পেলেন বিশিষ্ট ভাষাতত্ত্বিক সাহিত্যিক ও অধ্যাপক পবিত্র সরকার। এই পুরস্কারের অর্থমূল্য তিন হাজার ডলার। আরো ছিল আজীবন সম্মানা। বহু বছর ধরে বাংলাদেশের বাইরে বসবাস করেও নিরলসভাবে বাংলা সাহিত্য চর্চা করে চলেছেন কথাসাহিত্যিক আবদুন নূর। তাঁকে এবার এই সম্মাননা দেয়া হলো! এ ছাড়াও রয়েছে চিত্তরঞ্জন সাহা প্রকাশনা পুরস্কার। এবারে এই পুরস্কার পেল কবি প্রকাশনী! প্রকাশনীর পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করলেন সজল আহমেদ! সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রতি বছরই বিশিষ্ট শিল্পীরা অংশগ্রহণ করে থাকেন। এবার অংশ নিয়েছিলেন রিজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, ফাহমিদা নবী, শাহ মাহবুব প্রমুখ। একই সঙ্গে ওবায়দুল্লাহ মামুনের আলোকচিত্র প্রদর্শনীও ছিল বইমেলার সাংস্কৃতিকতার অন্যতম অংশ!
সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে এই আয়োজনের স্বভাব অবশ্য কিছুটা যেন লিট ফেস্ট ধরনের হয়ে উঠতে চাইছে। তবে আয়োজনে নাচ-গানকে যতটা প্রাধান্যমূলক সময় দেয়া হয় ততটা গুরুত্ব পায় না বই অন্যান্য বিষয়ে আলেচনা সম্পর্কিত অনুষ্ঠান। সামান্য যা থাকে তার জন্য বরাদ্দ হয় দিনের এমন সময়ে যখন লোকজন প্রায় হয়ই না। এমনকি ঐসব আয়োজনে অংশগ্রহণকরীরাও পান কম গুরুত্ব। এবারও এর ব্যতিক্রম নয়! একটা ভালো দিক হলো এই আয়োজনে রয়েছে শিশুকিশোরদের অংশগ্রহণও। যদিও যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত শিশুকিশোরদের মধ্যে বাংলা বইকে পৌঁছে দেয়ার বাস্তবতা প্রায় নেই বললেই চলে! ফলে শিশুকিশোরদের অংশগ্রহণেও সাংস্কৃতিকতাই মুখ্য, বইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক খুবই কম।
এবারের বইমেলায় বাংলাদেশ থেকে লেখক-প্রকাশকদের অনেকেই এসেছিলেন। যদ্দূর মনে পড়ছে আবু সাঈদ খান, মুস্তাফিজ শফি, মুনীর সিরাজ, মনিরুল হক, হুমায়ুন কবীর ঢালী, আশরাফ কায়সার, ফারুক আহমেদ, আশিক মুস্তাফা, জাফর আহমদ রাশেদ, জাহীদ রেজা নূর, দীপঙ্কর দাশ, সজল আহমেদ, মাহবুবুল হাসান ফয়সল, রেদওয়ানুর রহমান প্রমুখ। কানাডা থেকে নজরুল মিন্টো, জসিম মল্লিক; নিউ ইয়র্কবাসীরা তো ছিলেনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যায়! আমার সঙ্গে দেখা বা কথা হয়েছে যাঁদের সঙ্গে তাঁদের সকলের নাম মনে না থাকলেও কয়েকজনের কথা তো উল্লেখ করতেই পারি। মনজুর আহমদ, রেখা আহমদ, জীবন চৌধুরী, ফেরদৌস সাজেদীন, আবেদীন কাদের, শামস আল মমীন, নীরা কাদরী, বিরূপাক্ষ পাল, সউদ চৌধুরী, রানু ফেরদৌস, লিজি রহমান, আকবর হায়দার কিরন, ওবায়দুল্লাহ মামুন, সাগর লোহানী, এবিএম সালেহউদ্দীন, শাহীন ইবনে দিলওয়ার, ফাহিম রেজা নূর, সজল আশফাক, জীবন বিশ্বাস, খালেদ মহিউদ্দিন, অরপি আহমেদ, আদনান সৈয়দ, বদরুন নাহার, অভীক সোবহান, তানভীর রাব্বানী, দর্পণ কবীর, কাজী জহিরুল ইসলাম, আদিত্য শাহীন, সহুল আহমেদ, মাসুম আহমেদ, রওশন হাসান, রওশন হক, পারমিতা হিম, আবু রায়হান, সোনিয়া কাদের, শামস চৌধুরী রুশো, মনিজা রহমান, স্বপ্ন কুমার, বেনজীর সিকদার, পলি শাহীনা, জেবুন্নেসা জ্যোৎস্না, রাজিয়া নাজমী, কৌশিক আহমেদ, নাজমুল আহসান, শিরীন বকুল, আবু সাঈদ রতন, এইচ বি রিতা, রূপা খানম, শিবলী ছাদেক; নিউ জার্সি থেকে ইব্রাহীম চৌধুরী, আখতার আহমেদ রাশা, আল ইমরান সিদ্দিকী; কানেকটিকাট থেকে নসরত শাহ; ওয়াশিংটন থেকে আবদুন নূর, কবিতা দেলওয়ার, ফিলাডেলফিয়া থেকে বদরুজ্জামান আলমগীর, আহমেদ সায়েম, সজল আহমেদ, মিনসোটা থেকে কামরুল হাসান প্রমুখ এসেছিলেন। এঁদের সবার সঙ্গেই দেখা বা কথা হয়েছে। কেবল এই বইমেলাকে উপলক্ষ করেও বই প্রকাশিত হয়েছে।
বইমেলার দৃশ্যমান গুরুত্ব সবচেয়ে বাড়ায় ঢাকা থেকে আসা প্রধান পুস্তক প্রকাশনা সংস্থাগুলো। প্রতি বছরই দু একটি নতুন প্রকাশনাও আসে। এবারে যেমন ছিল ঋদ্ধি প্রকাশ! বাংলাদেশ থেকে প্রধান যেসব প্রকাশনা সংস্থা যোগ দিয়েছে সেগুলো হলো আহমদ পাবলিশিং হাউস, ইউপিএল, অংকুর প্রকাশনর, অনন্যা প্রকাশন, নালন্দা, প্রথমা, বাতিঘর, কথাপ্রকাশ, আকাশ, অন্বয় প্রকাশ, ঋদ্ধি প্রকাশ। এ ছাড়া মুক্তধারা নিউ ইয়র্কের স্টল সহ ছিল নিউ ইয়র্কের স্থানীয় কয়েকটি স্টল!
নগরীর জ্যামাইকা সিটির জ্যামাইকা পারফর্মিং আর্ট সেন্টারের সবুজ প্রাঙ্গণে তিন দিকে তাঁবু খাটানো স্টলে সজ্জিত ছিল বইয়ের স্টলগুলো! স্টলের সামনের খোলা জায়গায় লেখক-পাঠক আড্ডায় মেতে উঠেছিলেন। চার দিনের মধ্যেই তিন দিন আবহাওয়া বেশ বাগড়া দিয়েছিল।
বাংলা অঞ্চলের বাইরে বাংলা বইয়ের সবচেয়ে বড় এই আয়োজনের খবর এখন এ সংক্রান্ত টেক্সট বইয়েরও অন্তর্গত হয়ে গেছে। নিঃসন্দেহে এ আয়োজনকে যাঁরা এতদূর এগিয়ে নিয়ে এসেছেন এবং এগিয়ে নিয়ে চলেছেন তাঁদের প্রতি আমাদের অকুণ্ঠচিত্তে ও আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাতেই হবে।
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন