বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

৫৬’তে শাটলের ক্যাম্পাস

বুধবার, নভেম্বর ১৭, ২০২১

প্রিন্ট করুন
৫৬তে শাটলের ক্যাম্পাস

ইফতেখার ইসলাম:

পাহাড় আর সবুজ বৃক্ষরাজিতে আচ্ছাদিত অনিন্দ্য সৌন্দর্যের বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। ২১’শ একরের আয়াতন নিয়ে এটি দেশের সর্ববৃহৎ বিদ্যাঙ্গন ; যা প্রকৃতির এক অনন্য দান। গৌরবময় ৫৫ বছর পাড়ি দিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়টি পা রাখছে ৫৬ বছরে। আর এই নিয়ে নানান কর্মসূচী হতে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ।

১৮ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় চবির শহীদ মিনার থেকে আনন্দ শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হবে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কার্যক্রম। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জারুল তলায় অনুষ্ঠিত হবে আলোচনাসভা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ। বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেক কাটা ও সাড়ে ১১টায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মহীবুল আজিজ। বেলা ১২টায় আলোচনা সভা ও স্মৃতিচারণ এবং বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। 

চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন,
দেশের বৃহত্তম এ বিশ্ববিদ্যালয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর। চারটি বিভাগ, সাত জন শিক্ষক ও ২০০ শিক্ষার্থী নিয়ে শুরু হওয়া এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে নয়টি অনুষদ, ৪৮টি বিভাগ ও ছয়টি ইনস্টিটিউট রয়েছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৯ শত শিক্ষক ও ২৮ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক, ১২ জন শিক্ষার্থীসহ তিন জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী শহিদ হন। বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালনের মাধ্যমে আমরা তাদের স্মরণ করতে চাই। 

জানা যায়, জ্ঞান-গবেষণার পাশাপাশি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে  রাজনীতি ও সাংস্কৃতিক চর্চা। এই ক্যাম্পাসের প্রবেশের সাথে সাথে সবুজ-শীতল হাওয়ায় প্রাণ ভরে যায়। পিচঢালা পথে হেঁটে একটু একটু করে আগালে চোখে পড়ে বিশ্বিবদ্যালয়ের বিভিন্ন দালান ও স্থাপনা। তাছাড়া মাঝে মাঝে চোখের সামনে উঁকি দেয় হরেক রকমের পাখ পাখালি, হরিণ, অজগরের মতো বন্যপ্রাণীরা। এখানে একদিকে যেমন চলে পড়াশোনা অন্যদিকে জীব- জন্তু, পাহাড়, ঝর্ণা সবকিছুই রয়েছে চবি ক্যাম্পাসে। সার্বক্ষনিক পাখিদের কলকাকলিতে মুখরিত চবি ক্যাম্পাসে আছে ঝুলন্ত ব্রিজ, চালন্দা গিরিপথ, ঝর্ণা, জাদুঘর, লাইব্রেরি মুক্তিযুদ্ধ ও বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতি বিজড়িত নানান স্মৃতি স্তম্বসহ অসংখ্য দর্শনীয় স্থান। এছাড়া রয়েছে বাহারি ফুল ও সুস্বাদু ফলের সমাহার। যা এই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে অন্যসব বিদ্যাঙ্গন থেকে আলাদা করেছে।

যে যাত্রায় আছে খানিকটা নাটকীয়তা:

১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর হাটহাজারিতে পাহাড়ি ও সমতল ভূমির ওপর ১৭৫৩ ( বর্তমানে ২১০০) একর জায়গাজুড়ে প্রতিষ্ঠিত হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। তবে পেছনে রয়েছে একটি সংগ্রামী অধ্যায়। তার মধ্যে কিছুটা নাটকীয় কিছুটা রোমাঞ্চিত। বিশ শতাব্দীর শুরুর দিকে চট্টগ্রাম বিভাগে কোন বিশ্ববিদ্যালয় না থাকায় চট্টগ্রামের বাসিন্দারা এই অঞ্চলে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজন অনুভব করে । সেই সূত্রে প্রথমদিকে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় একটি ‘ইসলামিক ইউনিভার্সিটি’ নির্মাণের কথা উপস্থাপন করা হয়; পরে একই দাবি তুলে  ‘বঙ্গীয় আইন পরিষদ’। পরে আনোয়ারা থেকে সরিয়ে চট্টগ্রাম কলেজের স্থানে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে চলে নানান তর্ক-বিতর্ক ও আন্দোলন।

পরে ১৯৬৩ সালের ২৯ নভেম্বর ফজলুল কাদের চৌধুরী পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকার মনোনীত হন। প্রথমদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সিলেট, কুমিল্লা ও নোয়াখালিতে স্থাপনের পরিকল্পনা করা হলেও ১৯৬৩ সালের ১২ ডিসেম্বর, রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খানের অনুপস্থিতিতে মন্ত্রীসভার এক বৈঠকে সভাপতিত্বকালে ফজলুল কাদের চৌধুরী কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী এ.টি.এম মোস্তফাকে বিশ্ববিদ্যালয়টি কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামে স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। ১৯৬৪ সালের ৯ মার্চ তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একটি জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের বৈঠকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ মঞ্জুর করা হয়। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডক্টর এম ওসমান গণিকে চেয়ারম্যান এবং ডক্টর কুদরাত-এ-খুদা, ডক্টর মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, এম ফেরদৌস খান ও ডক্টর মফিজউদ্দীন আহমদকে সদস্য নির্বাচিন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্থান নির্বাচন কমিশন’ গঠিত হয়। এই কমিশন সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করে হাটহাজারী উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের জঙ্গল পশ্চিম-পট্টি মৌজার নির্জন পাহাড়ি ভূমিকে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হিসেবে সুপারিশ করে। ১৯৬৪ সালের ১৭-১৯ জুলাই পাকিস্তানের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ফজলুল কাদের চৌধুরীর সভাপতিত্বে ইসলামাবাদে জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের সভায় ‘স্থান নির্বাচন কমিশন’-এর সুপারিশের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহণ এবং এর চূড়ান্ত অনুমোদন প্রদান করা হয়। ১৯৬৪ সালের ২৯ আগস্ট পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।

এক পলকে বিশ্বিবদ্যালয়ের বর্তমান পরিসংখ্যান:

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ অর্থ বছরের বাজেট বই অনুযায়ী বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে  ৯ টি অনুষদ, ৬ টি ইনস্টিটিউট, ৪৮ টি বিভাগ, ৫ টি গবেষণা কেন্দ্র ও ১৪ টি আবাসিক হল রয়েছে। এছাড়া অধিভুক্ত একটি করে ইনস্টিটিউট ও অনুষদের পাশাপাশি ২৫ টি কলেজ রয়েছে। বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সর্বমোট ২৭ হাজার ৪৯৩ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন বর্ষে অধ্যায়নরত আছেন। তারমধ্যে ১৭ হাজার ৫৫২ জন ছাত্র এবং ৯ হাজজর ৯৩১ জন ছাত্রী। এছাড়া বিশ্বিবদ্যালয়টিতের বর্তমানে ৮৮৫ জন শিক্ষক রয়েছেন। যার মদ্যে ৬৫৬ জন পুরুষ এবং ২২৯ জন নারী। এছাড়া বর্তমানে বিশ্বিবদ্যালয়টিতে ৩৬৭ জন কর্মকর্তা, তৃতীয় শ্রেণীর ৪৮৬ জন কর্মচারী এবং ১ হাজার ৫৬ জন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী রয়েছেন। যারা প্রতিনিয়ত বিশ্বিবদ্যালয়ের কল্যানে সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন।

সৌন্দর্য যেখানে হাতছানি দিয়ে ডাকে:

বিশ্বিবদ্যালয়ের এক নম্বর গেইট দিয়ে প্রবেশ করতেই চোখে পড়বে সবুজ বৃক্ষের সারি। সিএনজি যোগে প্রবেশ করতে করতে চারপাশে চোখে পড়বে সবুজ মাঠ। যেখানে কৃষক নিত্য স্বপ্ন বুনেন। আসতে আসতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরোপয়েন্টের কিছুটা আগে চোখে পড়বে স্টেশন চত্বের। যেখানে প্রতিদিন গড়ে ২০-২৫ হাজার শিক্ষার্থীর পয়ের চিহ্ন পড়ে। তারপর আরেকটু আগালেই স্মরণ চত্বর (জিরোপয়েন্ট)। এই চত্বর থেকে তিন দিকে হাত বাড়িয়ে সড়ক চলে গিয়েছে চোখের শেষ সীমানায়৷ আর এই সড়কগুলো থেকে উপ-সড়ক, তার থেকে আরও শাখা প্রশাখা ছড়িয়ে বিস্তীর্ণ হয়েছে পুরো ক্যাম্পাস। আর এর মাঝে আছে কিছুটা সমান্তরাল, কিছুটা বন্ধুর আবার কিছুটা উঁচু পাহাড়ি পথ৷ রয়েছে উপত্যকার মতো পাহাড় আর সমান্তরালেে মিলস্থল। আর এই পুরো জায়গাজুড়ে রাজত্ব কেবল সবুজের।

প্রকৃতিতে ঋতু পরিবর্তন কারো চোখে পড়ুক বা না পড়ুক এই ক্যাম্পাসে থাকলে ভিন্ন ঋতুর ভিন্ন স্বাদ মিলবেই।  গ্রীষ্মে হঠাৎ জীর্ণ আকাশ কালো করে পাহাড়ের বুকে নেমে আসে কালবৈশাখী অথবা আম কাঠাল, জারুল, হনালু ফুলের রঙে রঙিন হয় পুরো ক্যাম্পাস। বর্ষায় বৃষ্টির ধারায় গাছ-পালার জবুথুবু অবস্থা, গাছে গাছে ফোটে কদমের ঝাক। শরতে সর্বত্র কাশফুলের শুভ্রতা ছড়িয়ে শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে আসে হেমন্ত। তারপর শীতের ক্যাম্পাসে নামে হাড়কাঁপানো শীত। এসময় এই বিশ্বিবদ্যালয় মেলে সবচেয়ে বেশি সৌন্দর্যের সুধা। তারপর কৃষ্ণচূড়া,  শিমুল, পলাশ কিংবা কোকিলের কহু কহু সুরে আসে বসন্ত। আর ঋতুতে ঋতুতে ক্যাম্পাসের এই পরিবর্তন কাটিয়ে দেয় সকল একঘেয়েমি আনে নিত্য নতুনের আনন্দ।

এছাড়া এই ক্যাম্পাসের রয়েছে স্লুইস গেইট,টেলিহিল, ঝুলন্ত ব্রিজ, চালন্দা গিরিপথ, ঝর্ণা, জাদুঘর, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, সুবিশাল কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, পাম বাগান, বায়োলজি পুকুর, ফরেস্ট্রির সৌন্দর্য, হতাশার মোড়, জয়বাংলা চত্বর, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, বঙ্গবন্ধু উদ্যানসহ অসংখ্য সৌন্দর্যমন্ডিত স্থান।

কমতি নেই জীববৈচিত্র্যে:

গাছগাছালির পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়র পাহাড়ি জঙ্গলে বসবাস করে হরেক রকমের পাখি ও বণ্যপ্রাণী। যা এই অঞ্চলের প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখতে এক অনন্য ভূমিকা পালন করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের তথ্যমতে, ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত ক্যাম্পাসের ভেতরে কয়েকটি পাহাড়ে তিন প্রজাতির বানরের আধিক্য ছিল। লজ্জাবতী বানর, মুখপোড়া হনুমান, পিগটেল বানর দাপিয়ে বেড়াত পুরো ক্যাম্পাস। কিন্তু এখন এসব বানর বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এমনকি ২০১০ সালের আগেও ক্যাম্পাসে হরিণের বিচরণ ছিল চোখে পড়ার মতো। এই প্রাণীও এখন খুব একটা দেখা যায় না। ২০০৮ সালে প্রকাশিত জরিপের তথ্য অনুযায়ী, এখানে ২৭ প্রজাতির প্রাণীর কথা জানা যায় ।

এইদিকে গত ৩ মার্চ চবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগের আয়োজনে বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস-২০২১ উদযাপন অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. মো. ফরিদ আহসানের দেওয়া তথ্য মতে চবিতে বর্তমানে রয়েছে ৩০৮ প্রজাতির বণ্যপ্রাণী। এর মধ্যে পাখি রয়েছে ২১৫ প্রজাতির। ব্যাঙ রয়েছে ১৭ প্রজাতির, সরীসৃপ রয়েছে ৫৬ প্রজাতির ও স্তন্যপায়ী প্রাণী রয়েছে ২০ প্রজাতির।

বন মোরগ, মথুরা, সবুজ তাউরা, কাঠ শালিক, রেড হেডেড, ভিমরাজ, হাঁড়িচাচা, কাবাসি, চন্দনা টিয়া, মদন টিয়া, কানাকুয়া, শিসধামা, হলদে বক, মালকোহা, পাকড়া মাছরাঙা, বসন্ত বাউরি, রুপাস নেকড, বেনেবউ এবং মৌটুসিসহ ২১৫ প্রজাতির পাখির আবাসস্থল এই ক্যাম্পাস।

২১৫ প্রজাতির পাখির মধ্যে ১০৮টি গায়ক ও ১০৭টি অগায়ক পাখি রয়েছে। পাখিগুলোর মধ্যে ১৬০ প্রজাতির পাখির স্থায়ী নিবাস চবি ক্যাম্পাস। ৫১ প্রজাতির পরিযায়ী পাখি হিসেবে বিভিন্ন মৌসুমে ক্যাম্পাসে আসে। বাকি চার প্রজাতির পাখি মাঝেমধ্যে পাওয়া যায় এখানে। এছাড়া বানর, বন্যশূকর, সজারু, বনরুই, মায়া হরিণ, বিভিন্ন প্রজাতির সাপসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে এই ক্যাম্পাসে।

প্রাকৃতির সৃষ্টির পাশাপাশি এই ক্যাম্পাসে রয়েছে কৃত্তিম সৌন্দর্যেরও ছাপ। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থাপনা এবং ইতিহাস বিজড়িত বিভিন্ন স্তম্ব। আর এসব কিছু প্রতিনিয়ত আকর্ষণ করে শিক্ষার্থী পর্যটকদের। তাইতো উচ্চমাধ্যমিকের ঘন্ডি পেরিয়ে প্রতিটা শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির। তাছাড়া শহরের কোন কলকল কোলাহল না থাকায় এই ক্যাম্পাসটি পর্যটকদের জন্যও আগ্রহের জায়গা৷ 

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন