সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

৬০ শতাংশ মানুষ বাইডেনকে ভোট দেবে না: জরিপ

সোমবার, জানুয়ারী ২৪, ২০২২

প্রিন্ট করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৪ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন যদি এখন অনুষ্ঠিত হয় তবে ১০ জনের মধ্যে ছয়জন আমেরিকান বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ভোট দেবে না। চলতি বছরের ১৬ থেকে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ফক্স নিউজের এক জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। 

জরিপে দেখা যায়, ৬০ শতাংশ মানুষ বলছেন এখন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তারা বাইডেন ছাড়া অন্য কাউকে খুঁজে নেবেন। ৩৬ শতাংশ বলছে তারা পুনরায় বাইডেনকে নির্বাচিত করবেন। নির্বাচন যদি ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতো তাহলে ৫২ শতাংশ মানুষ বলছে তারা ট্রাম্প ছাড়া অন্য কাউকে বেছে নেবে। আর নির্বাচন যদি ২০১১ সালের অগাস্টে অনুষ্ঠিত হতো তাহলে ৫১ শতাংশ মানুষ বলছে তারা ওবামা ছাড়া অন্য কাউকে নির্বাচিত করতো।

চল্লিশ শতাংশ লোক বলেছে যদি এখন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তারা রিপাবলিকান প্রার্থীকে ভোট দেবেন যেখানে ৪৩ শতাংশ ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থীকে সাপোর্ট করছেন। জরিপে রিপাবলিকানদের- ট্যাক্স, ফেডারেল বাজেট ঘাটতি, অভিবাসন, অপরাধ এবং অর্থনীতি মোকাবেলা করার দিক দিয়ে ডেমোক্র্যাটরদের এগিয়ে রাখা হয়েছে। যেখানে ডেমোক্র্যাটরদের জলবায়ু পরিবর্তন, বর্ণবাদ, স্বাস্থ্যসেবা, মহামারী এবং শিক্ষার দিক দিয়ে এগিয়ে রাখা হয়েছে।   

জরিপে দেখা যায়, প্রায় ৮৫ শতাংশ আমেরিকান বলেছেন তাদের প্রধান উদ্বেগ  মুদ্রাস্ফীতি এবং উচ্চ মূল্য। ৮১ শতাংশ মানুষের উদ্বেগের কারণ অপরাধ বৃদ্ধি। যেখানে রাজনৈতিক বিভাজন, করোনা মহামারি, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ। এছাড়া ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে  উত্তেজনা,দক্ষিণ সীমান্তে অভিবাসী সমস্যা, ভোটার দমন, ভোটার জালিয়াতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ। 

এইদিকে তেতাল্লিশ শতাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করেন যে মুদ্রাস্ফীতি এবং উচ্চ মূল্য এখনো এক বছরের বেশি সময় ধরে জাতিকে জর্জরিত করবে। যেখানে ৪৪ শতাংশ মনে করে করোনাভাইরাস আরো এক বছরেরও বেশি সময় ধরে একটি প্রধান সমস্যা হয়ে থাকবে।

জরিপ অনুসারে, ৪৮ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতির জন্য ফেডারেল সরকারের নীতিকে দায়ী করা হয়েছে। বিয়াল্লিশ শতাংশ বলেছেন যে এটি করোনভাইরাসের ফলাফল এবং ৯ শতাংশ উভয়কেই সমানভাবে দোষ দেয়। 

১ হাজার ১ জনের অংশ নেয় এই জরিপে আরো দেখায়, বাইডেনের অর্থনীতি, করোনা মহামারি, সীমান্ত সুরক্ষা এবং বৈদেশিক নীতির পরিচালনায় সন্তোষজনক ছিলো না।

আইআই/সিএন

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন