নিজস্ব প্রতিবেদক: যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত এলাকা থেকে ৪০ ফুট দূরে কানাডা সীমান্তে এক শিশু ও এক কিশোরসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে কানাডা সরকার। মরদেহগুলো তুষারঝড়ের কারণে প্রায় হিমায়িত অবস্থায় ছিল। ওই পথ দিয়ে প্রায়ই অভিবাসীরা যাতায়াত করতেন। করোনা পরিস্থিতিতে সীমান্তের কঠোরতা কম থাকায় এমনটা ঘটেছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) কানাডার সরকারি কর্তৃপক্ষ এসব খবর জানিয়েছে। স্থানীয় সময় গত বুধবার তুষারঝড়ের মধ্যে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। সে সময় তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রয়্যাল কানাডীয় মাউন্টেড পুলিশ এক বিবৃতিতে বলেছে, তদন্তকাজের প্রাথমিক অবস্থায় জানা গেছে, তীব্র শীতের কারণে সবাই মারা গেছেন।সীমান্তবর্তী ওই এলাকাটি মধ্য মানিটোবা প্রদেশের এমারসন শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে।
মরদেহগুলো উদ্ধারের আগের দিন যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তরক্ষীরা কয়েকজনের একটি দলকে আটক করেন। তারা সীমান্ত পার হয়ে এসেছিলেন। তাদের সঙ্গে শিশুদের ব্যবহারের বিভিন্ন জিনিস ছিল। তবে কোনো শিশুকে দেখা যায়নি। সীমান্তের দুই পাড়ে সে সময় তল্লাশি চালায় সীমান্তরক্ষীরা। চার ঘণ্টা পর প্রথম মরদেহটি খুঁজে পাওয়া যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ গতকাল বলেছে, অভিবাসীদের যাতায়াতের ওই পথ থেকে তারা স্টিভ শ্যান্ড নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানব পাচারের অভিযোগ রয়েছে। ৪৭ বছর বয়সী ফ্লোরিডার ওই নাগরিক ভারতীয় দুই নাগরিককে গাড়িতে নিয়ে আসছিলেন। ভারতীয় দুই নাগরিকের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিল না। তাঁরা কানাডার সীমান্ত এলাকার এক মাইল ভেতরে চলে এসেছিলেন। অভিবাসীদের দলটিকে যেখানে আটক করা হয়, সেখান থেকে ওই এলাকা খুব বেশি দূরে নয়।
মানিটোবার সহকারী কমিশনার জানে ম্যাকলেচি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, যাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের তীব্র শীত, অন্ধকার, তুষারঝড়ে কষ্ট পেতে হয়েছে।
পুলিশ ওই এলাকায় আরও তল্লাশি চালাচ্ছে। এমারসন শহর দিয়ে অভিবাসীরা যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় যাতায়াত করেন। ম্যাকলেচি বলেন, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ওই সীমান্ত এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। এ কারণে অভিবাসীরা সীমান্ত পার হয়ে ঢোকার চেষ্টা করে।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনের পর ২০১৬ সালে পায়ে হেঁটে কানাডায় সীমান্ত পারাপার বেড়ে যায়। সেই ডিসেম্বরে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ম্যানিটোবায় হাঁটার সময় তুষারঝড়ের কবলে পড়ে দু’জন ব্যক্তি তাদের আঙ্গুল হারিয়ে ফেলেন। কয়েক মাস পরে, আমেরিকার সীমান্তের কাছে হাইপোথার্মিয়ায় একজন মহিলা মারা যান। ২০১৯ সালে একটি গর্ভবতী মহিলা সীমান্ত পার হওয়ার সময় তুষারব্যাঙ্কে আটকে পড়েছিলেন।
আইআই/সিএন
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন