চলমান ডেস্ক: জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেইলরকে সাড়ে তিন বছর নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ম্যাচ ফিক্সিংয়ের পাওয়া প্রস্তাব যথাযথ কর্তৃপক্ষকে সময়মত না জানানোয় ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) তাকে সব ধরনের ক্রিকেটে সাড়ে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে। এছাড়াও আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী চারটি আলাদা আলাদা ধারা ও আইসিসি অ্যান্টি-ডোপিং কোডের একটি আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আছে টেইলরের বিপক্ষে। শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে টেইলরের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আইসিসি।
আইসিসি আরো জানিয়েছে, সাড়ে তিনি বছরের জন্য নিষিদ্ধ টেইলর। শাস্তি মেনে নিয়েছেন তিনি। টেইলরের এ শাস্তি ২৮ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। গত ২৪ জানুয়ারি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে চার পৃষ্ঠার এক বিবৃতি দিয়ে নিজের অপরাধের কথা জানান টেইলর।
টেইলর বলেছিলেন, ‘স্পন্সরশিপ ও জিম্বাবুয়েতে একটি টি-২০ লিগ চালু করার বিষয়ে আলোচনার জন্য ২০১৯ সালের অক্টোবরে তাকে ভারতে ডেকেছিল এক ভারতীয় ব্যবসায়ী। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেয়া হয় ও ভারতে আসার জন্য ১৫ হাজার মার্কিন ডলারও দেয়া হয়। যা ছিল স্পট ফিক্সিং করার জন্য ডিপোজিট। আলোচনা শেষে রাতের পার্টিতে নিষিদ্ধ মাদক হিরোইন সেবন করিয়ে ভিডিও ধারণ করে তারা। এরপরই ব্ল্যাকমেইলিং শুরু হয়েছিল। আর ‘ব্ল্যাকমেইল করে’ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেয়া হয়।
জিম্বাবুয়ের হয়ে ৩৪ টেস্টে দুই হাজার ৩২০ রান, ২০৫ ওয়ানডেতে ছয় হাজার ৬৮৪ রান ও ৪৫টি টি-টোয়েন্টিতে ৯৩৪ রান করেন ৩৫ বছর বয়সী টেইলর। ২০১১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে তিন ফরম্যাটে বিভিন্ন মেয়াদে অধিনায়ক ছিলেন টেইলর।
বাংলাদেশ সাকিব আল হাসানও ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাবার ঘটনাটি সময়মত আইসিসিকে না জানানোর জন্য ২০১৯ সালে দুই বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন। এর মধ্যে এক বছর নিষিদ্ধ ছিলেন সাকিব।
সিএন/এমএ
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন