বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

শিক্ষায় একুশে পদক পাচ্ছেন সিভাসুর উপাচার্য গৌতম বুদ্ধ দাশ

শনিবার, ফেব্রুয়ারী ৫, ২০২২

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর একুশে পদক পাচ্ছেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) উপাচার্য প্রফেসর গৌতম বুদ্ধ দাশ। বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য দেশের ২৪ জন বিশিষ্ট নাগরিককে ২০২২ সালের একুশে পদকের জন্য মনোনীত করেছেসরকার। বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

গৌতম বুদ্ধ দাশের নিরলস প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে অল্প সময়ের মধ্যে শিক্ষা ক্ষেত্রে সিভাসুর অভূতপূর্ব অগ্রগতি হয়েছে। শিক্ষা ও গবেষণার গুণগত মানোন্নয়নের পাশাপাশি চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস, কক্সবাজারে গবেষণা কেন্দ্র, ঢাকার পূর্বাচলে ‘টিচিং অ্যান্ড ট্রেনিং পেট হসপিটাল ও রিসার্চ সেন্টার’ স্থাপন ও কাপ্তাই লেকে ভ্রাম্যমাণ গবেষণা তরি নির্মাণের ফলে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশে আমূল পরিবর্তন এসেছে।        

তার একক প্রচেষ্টায় আমেরিকা, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সিভাসুর দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা চুক্তি সই হয়েছে ও চুক্তির আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শতভাগ শিক্ষার্থী বিদেশে ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ পাচ্ছে। গৌতম বুদ্ধ দাশ কর্তৃক বহুমুখী কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে সিভাসু বর্তমানে দেশের উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে একটি ‘সেন্টার অব এক্সেলেন্স’ এ পরিণত হয়েছে।  

দেশে অতিমারি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর তা দ্রুত শনাক্তকরণ অপরিহার্য হয়ে পড়ায় গৌতম বুদ্ধ দাশের একান্ত আগ্রহে ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমতিক্রমে সিভাসুতে করোনা শনাক্তকরণ ল্যাব স্থাপন করা হয়। এছাড়া করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ জোরদার করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুরোধের প্রেক্ষিতে সিভাসুর নিজস্ব দুইটি আরটি-পিসিআর মেশিন ও একটি বায়োসেফ্টি ক্যাবিনেট চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজকে দেয়া হয়। পরবর্তী চাঁদপুর শহরে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে বায়োসেফ্টি ক্যাবিনেটসহ আরেকটি আরটি-পিসিআর ল্যাব (সিভাসুর নিজস্ব জনবল দ্বারা পরিচালিত) স্থাপন করা হয়। তার নেতৃত্বে সিভাসুতে করোনাভাইরাস নিয়ে এ পর্যন্ত আটটি গবেষণা সম্পন্ন হয়েছে ও আরো কয়েকটি গবেষণা চলছে।

করোনা অতিমারির কঠিন সময়ে তার নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সেমিস্টারের অনলাইন ক্লাস ও ফাইনাল পরীক্ষাগুলো অত্যন্ত সফলতার সাথে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর ফলে সিভাসুর শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে রয়েছে।

গৌতম বুদ্ধ দাশ ১৯৬৩ সালে চাঁদপুর জেলায় জন্ম নেন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ১৯৮৫ সালে এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি বিষয়ে বিএসসি অনার্স পাশ করেন। ১৯৮৬ সালে পোল্ট্রি নিউট্রিশন বিষয়ে এমএসসি ও ২০১২ সালে একই বিষয়ে সফলতার সাথে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।  

তিনি ২০১৪ সালের ৯ ডিসেম্বর চার বছরের জন্য সিভাসুর উপাচার্য পদে যোগ দেন। ২০১৮ এর ৯ ডিসেম্বর তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে সিভাসুর উপাচার্যের দায়িত্ব নেন ও বর্তমানে ওই পদে নিয়োজিত রয়েছেন।

সিএন/এমএ

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন