নিজস্ব প্রতিবেদক: যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে নিজ বাসভবনে বাইরে বন্দুকধারীর গুলিতে মোদাসসার খন্দকার জ্যোতি (৩৬) হত্যাকান্ডের নিন্দা ও বিচারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশি প্রবাসী ও নিহতের স্বজনরা।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) নিউইয়র্ক সিটির ওজোনপার্কের সিটি লাইনে নিহতের বাসায় সামনে এক সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়৷
এ সময় মসজিদ আল-আমানের ইমাম কবির চৌধুরী বলেন, “আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি। তবে এটা নিশ্চিত যে এখন শহরের অন্য কোথাও বন্দুক হামলা হচ্ছে। কেউ না কেউ প্রাণ হারাচ্ছে। এভাবে নিরপরাধ মানুষের উপর বন্দুক সহিংসতা আমাদের শঙ্কিত করে তুলেছে। আমরা এ ঘটার সঠিক বিচারের দাবি জানাচ্ছি।”
এইদিকে নিহতের ভাই অনিক খন্দকার বলেন,”আমি জানি না ন্যায়বিচার হবে কি না, তবে আমি একটা জিনিস জানি- আল্লাহ এই অপরাধীকে রেহাই দেবেন না।”
এর আগে, মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত ১২টার পর নিউইয়র্কের ব্রুকলিনের সাইপ্রেস হিলস সেকশনে তিনি নিহত হন। কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে বাড়ির কাছে মোদাসসারের মাথায় গুলি করা হয়। পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে জ্যামাইকা হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
জ্যোতির বাড়ি মানিকগঞ্জে। নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরের কর্মী ছিলেন তিনি। পরিবার নিয়ে ফরবেল স্ট্রিটের বাসায় থাকতেন। তার স্ত্রী ও চার বছরের এক সন্তান রয়েছে৷
হত্যাকাণ্ডের পর থেকে, ব্রুকলিনের দক্ষিণ এশীয় সম্প্রদায় দোয়ার আয়োজন করেছে এবং স্থানীয় ধর্মীয় নেতারা বলছেন তাদেরর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা দরকার।
ব্রুকলীন এবং কুইন্সের সীমান্ত বরাবর ওজোনপার্কের ওই এলাকাটি সিটি লাইন হিসেবে পরিচিত। ২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট দুপুরে মসজিদে নামাজ শেষে ফেরার পথে সিটি লাইনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান মাওলানা আলাউদ্দিন আখঞ্জি ও তারা মিয়া নামের দুই বাংলাদেশি।
আলাউদ্দিন ওজোন পার্ক এলাকার আল-ফোরকান জামে মসজিদের ইমাম ছিলেন। তার বাড়ি বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলায়। আলাউদ্দিনের বন্ধু তারা মিয়ার বাড়ি সিলেটের গোলাপগঞ্জের জাঙ্গালহাটায়।
তারও আগে ২০১৪ সালের ৯ জুলাই ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারান যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নজমুল ইসলাম।
আইআই/সিএন
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন