চট্টগ্রাম: জব্বার বরকতদের দেখানো পথে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য প্রতিজ্ঞা করে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে উল্লেখ করে চট্টগ্রাম নগর বিএনপির আহবায়ক শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ‘একুশের চেতনার ধারাবাহিকতায় স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। পাকিস্থানি শাসক গোষ্ঠীর নিপীড়ন নির্যাতনের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল সে সময়ের তরুণ যুবকরা। পুলিশি হামলা, মামলা জব্বার বরকতদের দমাতে পারেনি। তাদের চোখে মুখে ছিল বাংলা মায়ের ভাষা রক্ষা আর গণতন্ত্র সমুন্নত রাখার দীপ্ত অঙ্গীকার। ৫ ‘র ভাষা আন্দোলনের সময় যে পরিস্থিতি তৈরি করেছিল, পাক শাসকেরা, আজকের দিনেও সে পরিস্থিতি তৈরি করেছে বাকশালী প্রেতাত্মা আওয়ামী সরকার। সারা দেশে হত্যা, খুন, গুম অব্যাহত রেখে শাসন ব্যবস্থা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের সবকটি অঙ্গকে তাদের অবৈধ ক্ষমতাকে টিকে রাখার সিড়ি হিসাবে ব্যবহার করছে। বর্তমান সরকার জনগনের সরকার নয়, এরা মাফিয়াদের সরকার। তাই একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে সকলকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।’
তিনি সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারী) সকালে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে নিউ মার্কেট সংলগ্ন মিউনিসিপ্যাল স্কুল মাঠের অস্থায়ী শহীদ মিনারে চট্টগ্রাম নগর বিএনপির পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে জমায়েতে এসব কথা বলেন।
শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, ‘২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর মধ্যরাতের কারচুপির নির্বাচনে ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে জনগণকে প্রতারিত করা হয়েছে। গণতন্ত্রকে সমাহিত করে এ দুঃশাসন দীর্ঘায়িত করতে অবৈধ শক্তির জোরে সাজানো মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে বন্দি করে রাখা হয়েছিল প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য। এখনো তাকে কারাগার থেকে নিজ ঘরে রাখা হলেও কার্যত তিনি গৃহবন্দি। তার সব মৌলিক অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। একুশের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে খুব দ্রুত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আমরা পরিপূর্ণ মুক্ত করব।’
চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ‘অধিকার আদায় ও অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে ভাষা শহীদরা আমাদের প্রেরণার উৎস। মাতৃভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করে তারা আত্মত্যাগের যে গৌরবদীপ্ত দৃষ্টান্তস্থাপন করে গেছেন, তার ফলাফল হয়েছে সুদূরপ্রসারী। পরবর্তী বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম তা আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করেছে। তাদের আত্মত্যাগের ধারাবাহিকতায় গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনের পথ বেয়ে আমরা অবতীর্ণ হয়েছি স্বাধীনতা যুদ্ধে। প্রতিষ্ঠিত করেছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। অধিকারবোধের চেতনাকে শাণিত করেছিল একুশে ফেব্রুয়ারি। সেই চেতনা নস্যাৎ করে একদলীয় শাসনের জগদ্দল পাথর আজ জনগণের কাঁধের ওপর চাপানো হয়েছে।’
পুস্পস্তবক অর্পণকালে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম সম্পাদক এএম নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এমএ আজিজ ও মো. মিয়া ভোলা, আবদুস সাত্তার, এসএম সাইফুল আলম, নাজিমুর রহমান, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, নিয়াজ মো. খান, এসএম আবুল ফয়েজ, আবুল হাসেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, মো. কামরুল ইসলাম, সাবেক কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মো. আজম, হাজী মো. সালাউদ্দিন, আবদুল্লাহ আল হারুন, এমআই চৌধুরী মামুন, থানা সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, জসিম উদ্দিন জিয়া, আবদুল কাদের জসিম, হাবিবুর রহমান, নগর বিএনপি নেতা সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, নুরুল আকতার, আবদুল হালিম স্বপন, ইদ্রিস আলী, আবু মুছা, ইউসুফ শিকদার, জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, নগর মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক নুরুল হক, জাসাসের আহ্বায়ক এমএ মুসা বাবলু, সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ শিপন, কৃষক দলের সদস্য সচিব কামাল পাশা নিজামী, তাঁতী দলের সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান মুরাদ, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, এসএম মফিজ উল্লাহ, ইলিয়াছ চৌধুরী, জমির আহমদ, মো. ইলিয়াছ, খন্দকার নুরুল ইসলাম, আজম উদ্দীন, ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান, সিরাজুল ইসলাম মুন্সী, হাবিবুর রহমান চৌধুরী, এমরান উদ্দীন, আলী হায়দার, জিয়াউর রহমান জিয়া, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, সাদেকুর রহমান রিপন।
সিএন/এমএ
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন