শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

রোজাকে পুঁজিকরে বরিশালে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে আগুন

সোমবার, এপ্রিল ৪, ২০২২

প্রিন্ট করুন

এস এল টি তুহিন : রমজান মাসকে সামনে রেখে বরিশালে কয়েকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে বেগুন, শসাসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির দামও। মুরগি ও গরুর মাংসের দাম আগে থেকেই চড়া। মাছ বাজারেও উত্তাপ। ফলে কেনাকাটায় স্বস্তি নেই ক্রেতাদের। সোমবার সকালে নগরীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। 

বটতলা বাজার ঘুরে দেখা যায়, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ক্রেতার ভিড় বেড়েছে। কেউ কেউ স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় একসঙ্গে বাড়তি পরিমাণ পণ্য কিনছেন। বাজারে ক্রেতাদের চাপ বেশি থাকায় দোকানিরা বেশ কয়েকটি পণ্য গত সপ্তাহের চেয়ে বাড়তি দাম হাঁকছেন।কয়েকজন ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চাঁদ দেখা গেলে রোববার রমজান মাস শুরু হবে।রোজা রেখে অফিস করে থলে হাতে বাজারে পা রাখা কিছুটা কষ্টের।তাই যতটুকু সম্ভব কেনাকাটা করছেন।তবে বেশিরভাগ পণ্যের দাম গত সপ্তাহের চেয়ে বেশি চাওয়া হচ্ছে।এরমধ্যে শসা ও বেগুন দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে।

নগরীর পুরান বাজারে গিয়ে দেখা যায়, এক সপ্তাহ আগেও প্রতি কেজি বেগুন ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শসা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ টাকা ও ধনেপাতা ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।এখন দাম বেড়ে বেগুন, শসা ও কাঁচামরিচ ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।ধনেপাতার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি বাঁধাকপি ৩০টাকা, শিম ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, টমেটো ২০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, শালগম ৩০ টাকা, চিচিঙা ৪০টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা ও চাল কুমড়া ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।বাজারে প্রতি কেজি আলু ১৮ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৩৫ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৩০ টাকা, দেশি আদা ৮০ টাকা, চায়না আদা ১০০ টাকা, দেশি রসুন ৫০ টাকা, চায়না রসুন ১২০ টাকা, খোলা চিনি ৭৮ টাকা, প্যাকেট চিনি ৮৫ টাকা, প্যাকেট আটা ৪৫ টাকা ও প্যাকেট ময়দা ৫৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। 

এদিকে খোলা সয়াবিন প্রতি কেজি ১৬০ টাকা এবং বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বোতলজাত সয়াবিন তেলের লিটার ১৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড় দানার মসুর ডাল ৯৫-১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে এবং ছোট দানার মসুরডাল ১২৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।রমজান মাসে ইফতারে ছোলা ও খেজুর অন্যতম একটি উপাদান। এ মাসকে ঘিরে চাহিদাও থাকে ব্যাপক। খুচরা বাজারে প্রকারভেদে ২৫০ থেকে ৯৫০ টাকা প্রতি কেজি খেজুর বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে ছোলা ৭৫-৮০ টাকা, বেসন ৮০-১০০ টাকা, মুড়ি ১২০ টাকা ও চিড়া ৬০-৬৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।বাজারে সরু, মোটা ও মাঝারিসহ প্রায় সব ধরনের চালের দাম আগের মতোই রয়েছে। সরু মিনিকেট চাল মানভেদে ৬২-৬৮ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৫০-৫৫ টাকা এবং নাজিরশাইল ৭০-৭৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। 

নগরীর পোর্টরোড বাজারের খুচরা মুদি দোকানি জায়াত স্টোরের মালিক হাবিবুর রহমান বলেন, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বাজারে ক্রেতার ভিড় বেড়েছে। এ সুযোগে কেউ হয়তো দু-চার টাকা দাম বেশি হাঁকছেন। তবে আমার দোকানে গত সপ্তাহে যে দামে পণ্যদ্রব্য বিক্রি হয়েছে, সেই দামই ক্রেতাদের কাছে চাওয়া হচ্ছে। তাই আমি বলবো, পণ্যের দাম এ সপ্তাহে অপরিবর্তিত রয়েছে।এদিকে বাজারে আজ সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ২৮০ টাকা। লেয়ার বা কক মুরগি ২৭০ টাকা এবং ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের ডিমের দাম প্রতি হালি ৩৫-৩৬ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

বাজারে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়।বাজারে মাছের দামও চড়া।নদী বা বিলের ভালো কোনো মাছ কিনতে গেলেই কেজি প্রতি দর হাজার টাকার আশপাশে। বড় বেলে, আইড় ও নদীর চিংড়ি প্রতি কেজি ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা হাঁকছেন বিক্রেতারা। বোয়াল, পাবদা, চাষের মাঝারি চিংড়ি ইত্যাদি মাছের কেজি প্রতি ৮০০-৯০০ টাকা, বড় রুই ও কাতল ৪০০-৪৫০ টাকা।সরবরাহ কম থাকায় বাজারে ইলিশের দাম চড়া। আকারভেদে ইলিশের দাম হাঁকা হচ্ছে ৯০০-১৫০০ টাকা।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন