শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

শিরোনাম

কীভাবে খলিল বিরিয়ানি জনপ্রিয়

শনিবার, এপ্রিল ৩, ২০২১

প্রিন্ট করুন
ত 1
ত 1

রেস্টুরেন্টে ব্যবসা করতে হলে রান্না এবং খাবারের মানের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। অন্যথায় রেস্টুরেন্ট ব্যবসা লাভজনক হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীন। তাই আমেরিকার মূলধার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শেফ বিষয়ে পড়া শুনা করে নিজেই এখন কয়েকটি রেস্টুরেন্টের মালিক। করোনা পরিস্থিতি ভাল হলে এবং ব্যবসার আরো উন্নতি হলে নিউইয়র্কের প্রতি বোরেতে রেস্টুরেন্ট করার কথা ভাবছেন খলিল বিরিয়ানির কর্ণধার মো. খলিলুর রহমান।


খলিলুর রহমান আমেরিকায় আসার আগে ছিলেন ব্যাংক কর্মকর্তা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিত শাস্ত্রে অনার্স ও মাষ্টার্স করা তুখোড় ছাত্র বর্তমানে ব্রঙ্কসের খ্যাতিমান খলিল বিরিয়ানি, খলিল চায়নিজ, খলিল গ্রোসারির সত্বাধিকারী।


গত কয়েক বছরের মধ্যে খলিল বিরিয়ানির খাবার মানুষের কাছে অসাধারণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। নিউইয়র্কের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ ব্রঙ্কসে গিয়ে খলিল বিরিয়ানির স্বাধ গ্রহণ করেছেন। নিউইয়র্কের বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে ওয়েটার হিসাবে কাজ করেন তিনি। বেশ কয়েক বছর এ পেশায় নিয়োজিত থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্টে কাজ করেন খলিল। কিন্তু এক পর্যায়ে মানুষকে ভাল কিছু খাওয়ানোর জন্য শেফের কাজ নেন। ধীরে ধীরে শিখে যান রান্নার কাজ। কিন্তু একটি রেস্টেুরেন্টে ভাল শেফ হিসেবে কাজ পেতে হলে এবং নিজে ব্যবসা করতে হলে অভিজ্ঞ শেফ হওয়া অনেকটা বাঞ্চনীয়। রান্নার জগতে নিজেকে পুরোপুরি নিয়োজিত করার মানসিক সিদ্ধান্ত নেন। ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে চার বছর মেয়াদী কোর্সে ভর্তি হয়ে যান। অবশেষে হাতে এসে যায় সনদপত্র। সার্টিফিকেট অর্জন করার পর বছরে লাখ ডলার বেতনে চাকরি করার অপার আসে। কিন্তু সব সময় নিজে কিছু করার প্রয়াস ছিল তার। চাকরির অপার ফিরিয়ে দিয়ে শুরু করেন রেস্টুরেন্ট ব্যবসা। নিজের নামেই রেসিপি তৈরি করেন।

রেস্টুরেন্টের নামকরন করেন খলিল বিরিয়ানি। অসাধারণ স্বাদ ও মনোরম পরিবেশে খলিল বিরিয়ানি প্রতিষ্ঠার পর থেকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। মানুষের আগ্রহ এবং ভালবাসায় গড়ে তোলেন খলিল চায়নিজ। খলিল বিরিয়ানিতে হরেক রকমের মিষ্টান্ন তথা রশগোল্লা, দদি, লাচ্ছিসহ নানান রকম মুখরোচক খাবার পাওয়া যায়।

দোকানের নাম খলিল বিরিয়ানি নামকরণ করা হলেও দেশী মাছ, মাংশ, সবজি, চমুচা, শিংগারা, কাবাব সহ সব ধরনের খাবার বিক্রি করা হয়। নিউইয়র্ক ছাড়াও বিভিন্ন স্টেট থেকে খলিল বিরিয়ানির স্বাদ নিতে আসেন মানুষরা। মজার ব্যাপার হলো আমেরিকানরাও খলিল বিরিয়ানিতে খেতে আসেন। স্টেট সিনেটর, কাউন্সিলম্যান, বোরো প্রেসিডেন্টসহ শতাধিক ভিআইপির ভোজনের ছবি খলিল বিরিয়ানির দেয়ালে শোভা পাচ্ছে।

খলিলুর রহমান ব্যক্তিগত জীবনে অত্যান্ত সদালাপী। স্ত্রী, পুত্র এবং কন্যা সন্তান নিয়ে ব্রঙ্কসে থাকেন। মাঝে মধ্যে মিসেস খলিল ও তার বড় মেয়েও রেস্টুরেন্টের কাজে সময় দেন।

মিসেস খলিল জানান, খলিল অত্যান্ত মেধাবী এবং পরিশ্রমী। আল্লাহর রহমতে এবং তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এবং মানুষের ভালবাসায় খলিল বিরিয়ানি আজ মানুষের কাছে জনপ্রিয় নাম।

Views: 0

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন