শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

কোরবানীর ঈগের আগে মুখ, ত্বক ও চুলের যত্বে করণীয়

রবিবার, জুলাই ৩, ২০২২

প্রিন্ট করুন

লাইফস্টাইল ডেস্ক: দরদজায় কড়া নাড়ছে কোরবানির ঈদ। সবাই এখন ব্যস্ত ঈদের প্রস্তুতি নিয়ে। ঈদে অন্যসব প্রস্তুতির সাথে চাই নিজেরও যত্ন নেয়া। তা ছাড়া, এমন ভ্যাপসা গরমে শরীর ও ত্বক যেন একটুখানি শীতলতার জন্য হাঁসফাঁস করতে থাকে। তাই এ গরমে ত্বকের কিছু টুকটাক যত্ন না নিলেই নয়। এতে ঈদের দিনটিতেও আপনি থাকবেন সতেজ ও প্রাণবন্ত।

চলুন তবে জেনে নেয়া যাক, ঈদের আগে মুখ, ত্বক ও চুলের যত্নে আপনার করণীয়-

ক্লিনজার: ত্বকের যত্নের প্রথম ধাপই হচ্ছে পরিচ্ছন্নতা। সারা দিনের ধুলো, ঘাম ও মেকআপের প্রলেপ দূর করতে এ গরমে আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী একটি ক্লিনজার থাকা আবশ্যক। বিরতি নিয়ে দিনে দুই বার একটি মাইল্ড ফোমিং ক্লিনজার ব্যবহার করুন। এতে ত্বকে আর্দ্রতার ভারসাম্য বজায় থাকবে।

স্ক্রাবিং: ত্বকে জমে থাকা ময়লা ও মরা চামড়া দূর করে রক্তচলাচল ঠিক রাখতে স্ক্রাবিং গুরুত্বপূর্ণ। গরমে তরতাজা ত্বক পেতে সপ্তাহে দুই বার স্ক্রাব করুন। এ ক্ষেত্রে হাত, পা ও ঠোঁটের ত্বককেও অবহেলা করা যাবে না।

ময়েশ্চারাইজার ও ময়েশ্চারাইজিং মাস্ক: অনেকেরই ভুল ধারণা হল গরমে ত্বকে বাড়তি কোন ময়েশ্চারাইজারে প্রয়োজন হয় না। গরমে ত্বক হয়ে পড়ে পানিশূন্য। আর এমন মলিন ও নিষ্প্রাণ ত্বকে দরকার ময়েশ্চার তথা যথাযথ আর্দ্রতা। ওয়াটার বেইজড বা জেল বেইজড ময়েশ্চারাইজার ক্রিম গরমে ত্বকের জন্য উপযোগী। আবার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সপ্তাহে অন্তত এক দিন একটি ভাল ময়েশ্চারাইজিং ফেসিয়াল মাস্ক কাজ করতে পারে টনিকের।

টোনার: ত্বকের এসিডের মাত্রা ঠিক রেখে শীতলভাব আনতে টোনার খুবই জরুরি। লোমকূপের ময়লা পরিস্কার ও তৈলাক্তভাব কমাতে গোলাপ জল কিংবা শসার রস প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে ভাল কাজ করে।

সানস্ক্রিন: রোদে বের হওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট আগে ত্বকে সান প্রোটেক্টেড ক্রিম ও লোশন মাখতে হবে। এতে ত্বক সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা পাবে। রোদে ত্বক পুড়ে যাওয়া থেকেও বাঁচবেন। জিংক অক্সাইডসমৃদ্ধ সানস্ক্রিন ব্যবহারে ত্বকে চিটচিটে ভাব কম হবে।

এসপিএফ যুক্ত লিপবাম: মুখ, হাত ও পায়ের ত্বকের পাশাপাশি ঠোঁটকেও রাখতে হবে কোমল, সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি হতে দিতে হবে সুরক্ষা। গরমে ঠোঁট সতেজ রাখতে ব্যবহার করতে হবে এসপিএফসহ (সান প্রটেকশন ফ্যাক্টর) লিপ বাম।

চুলের প্যাক: সূর্যের উত্তাপে ঘেমে চুলের অবস্থা হয় নাজেহাল। এতে চুলের গোড়ায় ব্যাকটেরিয়া ও ফাংগাসের সংক্রমণ হয়। এতে চুল পড়ে, আর্দ্রতা হারায় ও চুল হয়ে পড়ে রুক্ষ। সপ্তাহে তিন বার শ্যাম্পু করার পাশাপাশি চুলের যত্নে হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন।

সুগন্ধি: গরমে ঘামের দুর্গন্ধ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজন হালকা সুগন্ধযুক্ত বডি মিস্ট কিংবা ডিওডরেন্ট। দুর্গন্ধ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাইরে থেকে এসেই ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করলে সবচেয়ে বেশি সুফল পাওয়া যায়।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন