যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশীদের সর্ব বৃহৎ সামাজিক সংগঠন বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন ঝুলে আছে গত ৩ বছরের অধিক সময় ধরে। সোসাইটির কয়েকজন সদস্যর মামলার পেক্ষিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। অবশেষে আদালত গত ৮ মার্চ ২০২০ নির্বাচন করতে বাধা নাই বলে উল্লেখ করেন।
এই রায়ের পরিপেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন গত ৩১ মে বাংলাদেশে সোসাইটি কার্যালয়ে দুই প্যানেলের নির্বাচনে পদপ্রার্থী এবং সাংবাদিকদের নিয়ে করনীয় শীর্ষক পরামর্শ সভা করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন নয়ন আলী প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মোহাম্মদ আলী। অপর প্যানেলের রব- রুহুল পরিষদের সভাপতি প্রার্থী রব মিয়া এবং সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী রুহুল আমিন সিদ্দিকী। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন স্বতন্ত্র সভাপতি প্রার্থী জয়নাল আবেদীন। সভায় বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদক ও কর্মরত সাংবাদিকরাও উপস্থিত ছিলেন।
পরামর্শ সভায় নয়ন আলী পরিষদের সভাপতি প্রার্র্থী কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন বলেন, তিন বছর আগে সামান্য অজুহাতে নির্বাচন কমিশন নয়ন আলী প্যানেলের দুই সদস্যকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষনা করা হয়। এ সময় তারা আদালতের দারস্থ হন। নির্বাচন কমিশন কঠোর না হলে আদালত পর্যন্ত কেউ যেতনা। নির্বাচনও স্থগিত হতোনা। যাক এখন আদালতের রায় এসেছে নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোন বাধা নেই। তাই আর দেরী না করে নির্বাচনের দিন তারিখ নির্ধারণ করার পরামর্শ দেন।
নয়ন আলি প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলি বলেন, যেহেতু আদালত কর্তৃক নির্বাচন স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে সেহেতু নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
রব রুহুল পরিষদের সভাপতি রব মিয়া বলেন, নির্বাচন করতে গিয়ে আগেও সোসাইটির অনেক ডলার অপচয় হয়েছে। তাই এবার সতর্ক ভাবে নির্বাচনের দিন তারিখ নির্ধারণ করা উচিত। তার কারণ হলো মামলা মোকদ্দমা এখনো শেষ হয়নি। এ সব পরিস্কার করে নির্বাচন দিলে ডলার অপচয়ের কোন সম্ভাবনা নেই বলে উল্লেখ করেন।
তারই প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী রুহুল আমিন সিদ্দিকী নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে মত দিয়ে বলেন, নির্বাচন না হওয়ার কারণে সোসাইটি আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বর্তমানে সোসাইটির কোন আয়ের উৎস নেই। আমরাও ভোটারদের কাছে নানাবিধ প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছি। তাই দ্রুত নির্বাচন দেয়ার দাবি করেন তিনি।
স্বতন্ত্র সভাপতি প্রার্থী জয়নাল আবেদীন বলেন, সবাই ক্ষমতা ধরে রাখতে চায় এটা আমার মনে হয়। নির্বাচন কমিশন কমিশনের সদস্যদেরও এর ব্যতিক্রম মনে করিনা। তাই দ্রুত নির্বাচন দেয়া দরকার। কমিশনের কাছে আর কতদিন ক্ষমত থাকবে তিনি এই প্রশ্ন রাখেন কমিশনের সদস্যদের কাছে। অন্যথায় নির্বাচনে পদপ্রার্থী তিন প্যানেলের সদস্যদের কাছে ৮ মাস করে ক্ষমতা ভাগাভাগি করে দেয়ার জন্য প্রস্তাবনা দেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার জামাল উদ্দিন জনি প্যানেলের সকাল সদস্যদের কথা শুনে সমাপনি বক্তব্যে বলেন, আমি সবার কথা শুনলাম। পরে অন্যান্য কমিশনারদের সাথে কথা বলে করনীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে উল্লেখ করেন। এ ছাড়া তিনি নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাধা নেই বলে কোর্টের রায়ের কথা উল্লেখ করেন। একই সাথে নির্বাচন করতে গেলে আবারো মামলা বা নির্বাচন অনুষ্ঠানে স্থগিতাদেশের জন্য যে কোন সদস্য কোর্টে আবেদন করলে বিপাকে পড়ার শংকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন। তাই সব মামলা নিস্পত্তির জন্য সোসাইটির সকল সদস্যদের কাছে সহযোগিতা কামনা করেন।
এই সময় নির্বাচন কমিশনারদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আবদুল হাকিম, কাওচারুজ্জামান কয়েস, রুহুল সরকার, খোকন মোশারফ ও আবদুর রহমান।
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন