মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বাংলাদেশ ২৫ লাখ মর্ডানার টিকা পাবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। টিকা সরবরাহের বৈশ্বিক জোট কোভ্যাক্সের আওতায় বাংলাদেশকে এই টিকা দেবে যুক্তরাষ্ট্র।
আজ শনিবার দুপুরে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার এক টুইটে এই তথ্য জানিয়েছেন।
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় অলাভজনক স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্থা কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনস (সিইপিআই), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স- গ্যাভি পরিচালিত কোভ্যাক্স কর্মসূচি থেকে বাংলাদেশের টিকা পাওয়ার কথা রয়েছে। কোভ্যাক্সের সরবরাহকারী অন্যান্য অনেক দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রও রয়েছে।
আর্ল রবার্ট মিলার তাঁর টুইটবার্তায় বলেছেন, ‘আনন্দের সঙ্গে আমি জানাচ্ছি যে, মার্কিন জনগণ গ্যাভির মাধ্যমে বাংলাদেশকে মর্ডানার ২৫ লাখ ডোজ করোনার টিকা দিবে। কোভ্যাক্সের সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী হিসেবে করোনা মোকাবিলায় বিশ্বজুড়ে টিকার সরবরাহ বাড়ানোর ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র অঙ্গীকারবদ্ধ।’
যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী আট কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা বিতরণের ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে ৭৫ শতাংশ জাতিসংঘের টিকা কার্যক্রম কোভ্যাক্স প্রোগ্রামের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে।
ডব্লিউএইচওর কোভ্যাক্স সরবরাহ উদ্যোগের আওতায় স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে টিকা সরবরাহের দায়িত্ব পেয়েছে ইউনিসেফ। এরই মধ্যে এর আওতায় গত ৩১ মে রাতে দেশে এক লাখ ৬০২ ডোজ ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা দেশে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রথমে আড়াই কোটি ডোজ এশিয়া বিশেষ করে ভারত, নেপাল, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, ভিয়েতনাম, পাপুয়া নিউ গিনি এবং তাইওয়ানকে দেওয়া হবে।
প্রায় ৬০ লাখ ডোজ ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, কলোম্বিয়া, কোস্টারিকা, পেরু, গুয়েতেমালা ও হাইতিসহ দক্ষিণ এবং মধ্য আমেরিকার দেশগুলোতে বিতরণ করা হবে। আফ্রিকার জন্য দেওয়া হবে ৫০ লাখ ডোজ এবং এগুলো আফ্রিকান ইউনিয়নের সমন্বয়ের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে।
বাংলাদেশে করোনা প্রাদুর্ভাব দিন দিন বাড়ছে। দেশে প্রথম পর্যায়ের গণটিকাদান চলার মধ্যেই টিকা সংকট দেখা দেয়। অনেকে দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারেনি। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার টিকার মাধ্যমে বাংলাদেশ গণটিকাদান শুরু করলেও পরে বাংলাদেশের হাতে চীনের সিনোফার্ম ও ফাইজারের টিকা আসে। এসবের মাধ্যমে সীমিত পর্যায়ে দেশে টিকাদান চালু রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা রয়েছে টিকা সংগ্রহের। এমনকি দেশে টিকা উৎপাদনের চেষ্টাও চালাচ্ছে সরকার।
বাংলাদেশ গত ৭ জানুয়ারির ভারতের সেরাম ইনিস্টিউটের অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। ২৭ মে দেশে ফাইজার বায়োএনটেক উৎপাদিত কোভিড-১৯ টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। সম্প্রতি রাশিয়ার স্পুটনিক ভি এবং চীনের সিনোফার্মের টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। যুক্তরাষ্ট্র থেকে মর্ডানার টিকা এলে এরও অনুমোদন পেতে হবে ওষুধ প্রশাসনের।
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন