সিএন প্রতিবেদক: আজ ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের এক বছর পূর্তি হলো। গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে হামলা শুরু করেছিল রাশিয়ার সেনাবাহিনী। ওই দিন জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে পুতিন বলেছিলেন, ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু হয়েছে। যুদ্ধে জড়ানো ছাড়া কোনো বিকল্প ছিল না।
ইউক্রেন-রাশিয়ার এই যুদ্ধে অনেকটা তছনছ হয়ে গেছে পুরো বিশ্ব। দুই দেশের এই যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে। দেউলিয়া হয়েছে অনেক দেশ। একই পথে আরও অনেকে। জ্বালানি তেলসহ দ্রব্যমূল্য বেড়েছে কয়েকগুণ। বর্ষপূতিতেও যুদ্ধ থামাথামির কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। যুদ্ধের সীমা যত বাড়ছে উদ্বেগও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে।
এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধের বর্ষপূর্তি সামনে রেখে ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৪ হাজারেরও বেশি মার্কিন নাগরিকের ওপর জরিপ চালিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও প্যারিসভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইপসোস। তাদের জরিপ অনুযায়ী, ইউক্রেনে মার্কিন সামরিক সহায়তার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সমর্থন ৫৮ শতাংশে নেমে এসেছে। গত বছরের এপ্রিলে এই সমর্থন ছিল ৭৩ শতাংশ।
এই জরিপ থেকে এটা স্পষ্ট, ইউক্রেনে যত দিন রুশ বাহিনী থাকবে, তত দিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন অটুট থাকবে বলে বাইডেন যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা হুমকির মুখে পড়েছে। কারণ, আসছে বছর মার্কিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন এখন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছেন। জনগণের মতামত উপেক্ষা করে ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখলে বাইডেন দেশের ভেতরে রাজনৈতিকভাবে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন। আবার প্রতিশ্রুতির বরখেলাপ করে ইউক্রেনের ওপর থেকে সমর্থন উঠিয়ে নিলে বৈশ্বিক রাজনীতিতেও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন।
বাইডেন এখন কী করবেন? পেছনে তাকালে দেখা যাবে, গত বছর ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র এ পর্যন্ত কোটি কোটি ডলারের সামরিক ও অন্যান্য সহায়তা দিয়েছে ইউক্রেনকে। এই সহায়তা আর না বাড়ানোর পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকানরা। কারণ, এতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সংকট বাড়ছে। সংকট মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই ঋণ করতে হবে। কিন্তু ঋণের সর্বোচ্চ সীমা কত হবে তা নিয়ে এখন সরকারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছে রিপাবলিকানদের।
এরই মধ্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মিত্র হিসেবে পরিচিত বেশ কয়েকজন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ইউক্রেনে মার্কিন সহায়তাদানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন।
সিএন/এমটি
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন