সিএন প্রতিবেদন: চীনের মধ্যস্থতায় ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যকার দীর্ঘদিনের বৈরী সম্পর্ক পুনরায় মধুর হতে চলেছে। এতে করে অনেক দেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেও অস্বস্তিতে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েল।
দুটি প্রতিবেশী দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ যখন শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের সম্ভাবনা দেখা যায়, তখন সেটিকে স্বাগত জানানোই রেওয়াজ।
জানা যায়, গত ১০ মার্চ ইরান ও সৌদি আরব সাত বছর পর তাদের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে রাজি হয়। এরপর আন্তর্জাতিক কূটনীতির রেওয়াজ অনুযায়ী সব দেশ এটিকে স্বাগত জানায়। জাতিসংঘ মহাসচিব থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশের নেতারা বিবৃতি দিয়ে এই সমঝোতাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে ব্যতিক্রম ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল।
হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্তকে ‘সতর্ক ভাষায়’ স্বাগত জানালেও এটি টিকবে কি না তা নিয়ে সন্দেহপ্রকাশ করেছেন। জন কিরবি বলেছেন, ইরান তাদের অঙ্গীকার রক্ষা করে কি না, তা দেখতে হবে।
তবে ইসরায়েল প্রকাশ্যে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া না জানালেও গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর এবং মন্তব্য থেকে এটি স্পষ্ট যে, তেহরান-রিয়াদের সমঝোতায় তারা মোটেও খুশি হতে পারেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া যা-ই হোক, বেশিরভাগ বিশ্লেষকের ধারণা, চীনের মধ্যস্থতায় ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে এই সমঝোতা ওয়াশিংটনে মারাত্মক অস্বস্তি তৈরি করেছে।
সিএন/এমটি
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন