মো. আতিকুল ইসলাম: জাতিসংঘ ঘোষিত সপ্তম সড়ক নিরাপত্তা সপ্তাহ (গ্লোবাল রোড সেফটি উইক) উপলক্ষে আাপনাদের শুভেচ্ছা জানাতে পেরে আমি আনন্দিত। এ বছর টেকসই যাতায়াত ব্যবস্থাকে প্রাধান্য দিয়ে সপ্তাহটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘সাসটেইনঅ্যাবল ট্রান্সপোর্ট’। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) আওতাধীন সড়কগুলো নিরাপদ, কার্যকর ও টেকসই যাতায়াত ব্যবস্থা তৈরি করার বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ।
এ বছরের প্রতিপাদ্য সড়কে গতির বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার প্রয়োজনীয়তাটি তুলে ধরে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে উন্নত হচ্ছে। তাই, এখানকার জনজীবনেও গতিশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনায় আঘাত বা মৃত্যু ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও পরিবারের জীবনে গতির ছন্দপতন ঘটায়, সামগ্রিকভাবে উৎপাদনশীলতা ও অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।
পরিসংখ্যান বলছে, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর বেশিরভাগই শিশু ও তরুণ, যারা দেশের সম্ভাবনাময় ও কর্মক্ষম অংশ। যারা দেশের জন্য আরো অবদান রাখতে পারে।’
আমরা সড়ক নিরাপত্তার গুরুত্ব অনুধাবন করে ডিএনসিসি আরো পথচারীবান্ধব রাস্তা তৈরি করবে, গণপরিবহন ও সাইকেল চালানোর জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন করবে। সড়কে যানজট, যানবাহনজনিত কার্বন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ ও রোড ক্রাশ (দুর্ঘটনা) কমাতে সাইকেল চালানো, হাঁটা ও গণপরিবহনের মত টেকসই পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দিকে নজর দেয়া হবে। এ প্রচেষ্টায় আমাদের সাথে যোগ দেয়ার জন্য আমি সব নাগরিকের কাছে আবেদন করছি।
সর্বোপরি, ডিএনসিসির একার পক্ষে সড়ক নিরাপদ করা সম্ভব নয়। শহরের সড়কগুলোকে টেকসই ও নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য আমি সব নাগরিকের সমর্থন ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি। সড়কে সকলে ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলুন। মোটর সাইকেল ও বাইসাইকেলে হেলমেট পরুন। ব্যক্তিগত গাড়িতে সিটবেল্ট ব্যবহার করুন। গাড়ী চালকদের প্রতি অনুরোধ, বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানো পরিহার করুন, পথচারী ও সাইকেল আরোহীদের অধিকারকে সম্মান করুন ও শহরে গাড়ির গতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
আসুন, আমরা সবাই নিরাপদ, সহজগম্য ও আনন্দদায়ক সড়ক ব্যবস্থা তৈরিতে একসাথে কাজ করি।
মেয়র, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন
সিএন/এমএ
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন