শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

পিছিয়ে পড়া পরিবারের শিশুর শিক্ষায় অনন্য দৃষ্টান্ত ‘দি অপটিমিস্টস’

বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ২৬, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক সিটি, যুক্তরাষ্ট্র: বাংলাদেশের পিছিয়ে পড়া পরিবারের শিশু শিক্ষার্থীদের শিক্ষায় সর্বাত্মক সহযোগিতার লক্ষ্যে প্রায় ২২ বছর আগে যুক্তরাষ্টের নিউইয়র্ক সিটিতে প্রতিষ্ঠিত হয় সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান ‘দি অপটিমিস্টস’। প্রতিষ্ঠানটির অগ্রযাত্রা দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে চলছে। সময়ের সাথে সাথে অপটিমিস্টস আগের তুলনায় আরো বিকশিত হচ্ছে। বাড়ছে এর কার্যপরিধি। সততায় উদ্ভাসিত এক দল নিষ্ঠাবান মানুষের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ‘দি অপটিমিস্টস’ বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে খুবই প্রশংসিত হচ্ছে।

তারই ধারাবাহিকতায় ‘দি অপটিমিস্টস’ এর বার্ষিক তহবিল সংগ্রহ সমাবেশ রোববার (২২ অক্টোবর) দুপুরে নিউইয়র্কের কুইন্সের উডহেভেনের জয়া হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে এসেছিলেন তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিরাও। অপটিমিস্টসের মানবিক কার্যক্রমের প্রতি সহযোগিতা ও সমর্থন জানাতে ফান্ড রাইজিং অনুষ্ঠানে নিউইয়র্কের কয়েক শত দাতা উপস্থিত হোন। তাদের মধ্যে কেউ ব্যবসায়ী, কেউ চাকরিজীবী। নিউইয়র্কের বিদ্যালয় ও কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী ও চিত্রশিল্পীরা তাদের আঁকা ছবি দান করেন অপটিমিস্টসকে। এ থেকে পাওয়া অর্থ যোগ হবে শিক্ষার্থী বৃত্তি কার্যক্রমে।

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশর রাষ্ট্রদূত মো. আব্দুল মুহিত, নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনসাল জেনারেল নাজমুল হুদা, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন চৌধুরী রানা, প্রিন্সিপাল কমিটির চেয়ারম্যান মিনহাজ আহমেদ শাম্বু, ভাইস-চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী, বোর্ড অফ ডিরেক্টর প্রেসিডেন্ট শাহেদুল ইসলাম, ভাইস প্রেসিডেন্ট নিক মুক্তাদির, সাধারণ সম্পাদক নিশাত হক, ট্রেজারার আমিন মেহেদি, প্রিন্সিপাল কমিটির মেম্বার শামীম আহমেদ, নিউইয়র্ক সিটি অফিসের চিফ এডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার মীর বাসার ‘অপটিমিস্টস অ্যানুয়াল কানেক্ট অ্যান্ড ফান্ডরাইজিং ২০২৩’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

শাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি অপটিমিস্টসে সবাইকে চাই। কারণ, আপনারা কানেক্টেট হোন। বাংলাদেশী-আমেরিকান বাচ্চাদের যদি শেখাতে হয় যে দেশের সাথে কানেকশন, তাহলে অপটিমিস্টস ইজ এ গুড প্লাটফর্ম। আমি চাই, বাচ্চাদেরকে পিতা-মাতারা এখানে নিয়ে আসুক। সবাই একে অপরকে চেনার এটা একটি গুড নেটওয়ার্কিং প্লাটফর্ম।’  

নিশাত হক বলেন, ‘বাংলাদেশে ২২টি জায়গায় অপটিমিস্টসের কার্যক্রম আছে। ‍দুঃস্থ ও দরিদ্র পরিবারের শিশু শিক্ষার্থী যাদের পড়া-শোনায় সাহায্য দরকার, আমরা আংশিক খরচ বহন করে থাকি। অপটিমিস্টস ২০০১ সালে কাজ শুরু করেছিল। ২২ বছরে আমরা বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ১৩ হাজার বাচ্চাকে সাহায্য-সহযোগিতা দিতে পেরেছি। এদের মধ্যে ৫০ এর অধিক ছেলে-মেয়ে ডাক্তারি ও ইঞ্জিনিয়ারিংসহ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত আছে।’  

নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে বাংলাদেশের একটি শিশু শিক্ষার্থীকে স্পন্সর করা যায় অপটিমিস্টসের মাধ্যমে। নিজ এলাকার পরিচিতজনদের মধ্যে অভাবী পরিবারের শিশুকে এ প্রতিষ্ঠানের আওতায় লেখা-পড়ায় সহায়ত সম্ভব। অপটিমিস্টসের বৃত্তি পেয়ে অনেক দরিদ্র পরিবারের সন্তান বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটসহ দেশের স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ছে। অনেকে পড়া-লেখা শেষ করে পরিবার ও সমাজে প্রতিষ্ঠিত।

সিএন/এমএ

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন