করোনা’র মহামারীর দু:সহ স্মৃতি পেছনে ফেলে, সমাজ জীবনের ছোটখাট কষ্ট ভুলে, প্রবাসের ব্যস্ত জীবনের কোলাহল পাশকাটিয়ে প্রাণের স্পন্দনে মেতে ওঠো। হারিয়ে যাও বাধভাঙা আনন্দে। প্রকৃতির সাথে মানবজীবনের মেলবন্ধনে মেতে ওঠে উচ্ছাসে।
যেভাবে বলা হোক না কেনো, তা কমই বলা হবে। আমেরিকায় মিরসরাই এসোসিয়েশন ইউএসের এই বনভোজনে এভাবেই মেতে উঠেছিলো সবাই।
চট্টগ্রামের অন্যতম সেরা উপজেলা মিরসরাই এর আমেরিকা প্রবাসীরা এদিন বাধভাঙা উচ্ছাসে মেতেছে। নিউইয়কের প্রসপেক্ট পার্ক যেন হয়ে উঠেছিলো এক টুকরা মিরসরাই। সারা বছর মিরসরাই প্রবাসীরা অপেক্ষা করে এই বনভোজনের জন্য। এবারের আয়োজন শুধুমাত্র মিরসরাইবাসীর অর্থায়নে আয়োজন করা হয়েছে। যাতে অংশ নেন শত শত মিরসরাইবাসী।
সকালের নাস্তা খাবার পরপরই গানের আনন্দে মেতে উঠে সবাই। মধ্যহ্নভোজের পর খেলাধুলার পর্ব শুরু হয়। প্রথমে শিশুদের বিস্কিট দৌড় ও ১০০ মিটার দৌড় অনুষ্ঠিত হয়। ততক্ষনে শিশুদের কোলাহলে পুরো আয়োজন পায় ভিন্ন মাত্রা। এরপরই শুরু হয় মহিলাদের মজার মজার খেলা। মাবেল দৌড়, সূই সুতো গাথা থেকে বালিশ খেলা। কি ছিলো না? যারা বিজয়ী হয়েছেন তারা যেমন খুশি তেমনি অংশ নিতে পেরেও অনেকে হারিয়ে গেছেন শৈশবে। তবে ছেলেদেরও ছিলো মজার সব আয়োজন। ছেলেদের অন্ধের হাড়ী ভাঙা খেলা সবাই প্রাণ খুলে উপভোগ করেন।
করোনা’র ভয়াবহতা পেছনে রেখে একটু খুশিতে মেতে ওঠার চেষ্টা ছিলো সবার চোখে। বিকেলে পিকনিক কমিটির আহ্ববায়ক কাওসার চৌধুরী শুরু করেন পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। খেলাধুলায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন সংগঠনের কার্যকরী কমিটির সদস্যরা। প্রধান অতিথী অ্যডভোকেট আবুল কালাম আজাদ সমিতির সাফল্য কামনা করেন।
সেই সাথে পিকনিক কমিটির আরেকজন আহ্ববায়ক মোহাম্মদ হানিফ চৌধুরী বক্তব্য দেন। তিনি আগামীতে সমিতি আরও বড় পরিসরে বনভোজন করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠান। আকর্ষনীয় সব পুরষ্কার বিজয়ীদের উৎসাহ দেয়। বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন আবু তাহের মিয়া, ফারহানা শারমিন সুমি, হাফিজুল ইসলাম, তাহমিনা আক্তার কলি, নাদিয়া সোবহান লিলি, সাজেদা বেগম সাজু, সুলতানা আক্তার লাকী, জি এম মোর্শেদ ও মাইনউদ্দিন খন্দকারসহ অনেকে। পুরো পিকনিক এর অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন শান্তু বিশ্বাস। শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরনের পর আগামীতে আরো বড় পরিসরে বনভোজনসহ নানা অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দেন সমিতির সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন।
এরপর সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম সমাপনী বক্তব্যে আমেরিকায় মিরসরাইবাসীর একমাত্র প্রাণের এ সংগঠেনের পাশে সবাইকে থাকার জন্য অনুরোধ জানান। শেষে করোনায় মারা যাওয়া সকল মানুষের জন্য দোয়া করা হয়। সেই সাথে সবাই যাতে কেভিড বিধি মেনে জীবনযাপন করেন তারও আহ্বান জানানো হয় মিরসরাই আ্যসোসিয়েসনের পিকনিক থেকে। প্রবাসে বিভ্রান্ত না হয়ে মিরসরাই এর মূল এ সংগঠনের সাবিক সাফল্য কামনা করে , মনে আনন্দ নিয়ে আবারো আমেরিকার ব্যস্ত জীবনের বাস্তবতায় সবাই বাড়ি ফিরেন। সেই সাথে আগামীতে আবারো এমন মিলনমেলায় মতে ওঠার ক্ষনগুনতে থাকেন।
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন