জরিপ/একমাত্র মিশেল ওবামাই ট্রাম্পকে হারাতে পারেন

ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র: জো বাইডেনের বিকল্প প্রার্থী হিসেবে কেবল প্রাক্তন ফার্স্টলেডি মিশেল ওবামাই আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারাতে পারেন। জরিপে এমনটাই উঠে এসেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে বিতর্কে ধরাশায়ী হয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) অনুষ্ঠিত সেই বিতর্কের পরই তার বয়স ও স্বাস্থ্য নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

ডেমোক্রেটির পার্টির ভেতর থেকেই তাকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বলা হচ্ছে। তার বদলে অন্য নয়া প্রার্থী নামানোর আহ্বান জানানো হচ্ছে। এ অবস্থায় বাইডেনের বিকল্প হিসেবে ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস ও প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার স্ত্রী মিশেল ওবামার মত বেশ কিছু নাম সামনে এসেছে। এর মধ্যে মিশেল ওবামা সকলের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

রয়টার্স ও ইপসোসের জরিপ বলছে, ‘বাইডেনের বিকল্প হিসেবে এ মুহূর্তে শুধু মিশেলই ট্রাম্পকে হারানোর ক্ষমতা রাখেন।’

জরিপে দেখা গেছে, মিশেল ওবামা অন্তত দশ পয়েন্টে ট্রাম্পকে পরাজিত করবেন। শুধু তা-ই নয়, মিশেল ছাড়া ডেমোক্র্যাট শিবিরে আর কোন প্রার্থী নেই, যিনি ট্রাম্পকে হারাতে পারবেন।

জরিপে অংশ নেয়া নাগরিকদের কাছে বাইডেনের বিকল্প হিসেবে ডেমোক্র্যাট দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মিশেলকে রাখা হয়েছিল। ট্রাম্প কিংবা মিশেল কাকে ভোট দেবেন- এমন প্রশ্নের মুখে ৫০ শতাংশের বেশি উত্তরদাতা মিশেলকেই বেছে নিয়েছেন। বিপরীতে ট্রাম্পকে সমর্থন করেছেন মাত্র ৩৯ শতাংশ উত্তরদাতা।

একই জরিপে বাইডেনের বিকল্প হিসেবে ডেমোক্র্যাট দলের অন্য যেসব প্রার্থীর নাম প্রস্তাব করা হচ্ছে, তাদের মধ্যে আছেন বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গেভিন নিউসোম। কিন্তু, জরিপে তারা দুইজনই ট্রাম্পের চেয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যবধানে পিছিয়ে আছেন।

জরিপে আরো দেখা গেছে, প্রতি তিনজন ডেমোক্র্যাটের মধ্যে অন্তত একজন মনে করেন, ট্রাম্পের সাথে সাম্প্রতিক বিতর্কের পর বাইডেনের উচিত নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো।

আর জরিপে অংশ নেয়া সব মানুষের মধ্যে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে তিনজনই মনে করেন, বাইডেন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেই ভাল হবে। আবার অর্ধেক উত্তরদাতা ট্রাম্পকেও বয়সের কারণে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার কথা বলেছেন।

সিএন/আলী