শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

বঙ্গবন্ধুর খুনি ও স্বাধীনতা বিরোধীদের কবর জাতীয় সংসদ চত্বরে থাকতে পারে না

শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১

প্রিন্ট করুন
242706935 1211252746006211 8658263278890601020 n 1

ঢাকা: বঙ্গবন্ধুর খুনি, স্বাধীনতা বিরোধীদের কবর জাতীয় সংসদ চত্বরে থাকতে পারে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত ‘ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা: সমস্যা ও প্রতিকার’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এ দেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। বাংলার মানুষ মুক্তি পেয়েছে। তার কবর থাকবে টুঙ্গিপাড়ায় আর পাকিস্তানীদের দোসর যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে, ত্রিশ লাখ মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম নষ্ট করেছে। তাদের কবর জাতীয় সংসদসহ গৌরবোজ্জ্বল জায়গায় থাকতে পারে না। এগুলো আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ করে।’

এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‌‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও স্বাধীনতার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য তখনই বাস্তবায়ন করতে পারব, যখন এসব কুলাঙ্গারদের কবর জাতীয় মর্যাদাপূর্ণ স্থান থেকে অপসারণ করতে পারব। জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান তার জীবদ্দশায় দেশ ও মানুষের জন্য কি করে গেছেন। আর পাকিস্তান দীর্ঘ ২৫ বছর এবং বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর পরবর্তী ২১ বছর জিয়াসহ শাসকরা দেশে কি করেছে, সেটা সবারই জানা আছে। তারা দেশকে ধ্বংস করা ছাড়া কিছুই করতে পারেনি।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘জিয়াউর রহমান জাতির পিতার খুনি এ কথা ধ্রুব সত্য। তাকে খুনি প্রমাণ করার জন্য সব ধরনের দলিল রয়েছে। রাষ্ট্রপতিকে নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব নিশ্চিত করার কথা ছিল জিয়াউর রহমানের। কিন্তু তিনি তা না করে সব ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করে পরিকল্পিতভাবে জাতির পিতাকে হত্যা করে।’

জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বলা অবান্তর উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার অধিকার বাঙালি জাতি একমাত্র বঙ্গবন্ধুকেই দিয়েছে। আর কেউ স্বাধীনতার ঘোষক হতে পারে না, সুযোগও নেই। মুখে ঘোষণা করলেই স্বাধীনতার ঘোষক হওয়া যায় না।

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে তারই কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে সফলতার সর্বোচ্চ শিখরে নিয়ে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিভিন্ন উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করায় জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা স্বীকৃতি দিচ্ছে। বিভিন্ন সম্মাননায় তাকে ভূষিত করছে, যা জাতি হিসেবে আমাদেরকে গৌরবাণ্বিত করে।’

রাজধানী ঢাকাসহ সব নগর-মহানগর এমনকি গ্রামকেও পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলার জন্য ব্যাপক কার্যক্রম শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ঢাকাকে আধুনিক-দৃষ্টিনন্দন শহরে রুপান্তরিত করতে নতুন নতুন প্রকল্প হাতে নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে।’

মন্ত্রী আরো বলেন, ‘ঢাকা শহরের প্রত্যেকটি খালের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে। খালের দুই পাড়ে বাঁধ দিয়ে ওয়াকওয়ে তৈরি করা হবে। একই সঙ্গে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতায় থাকা খালগুলো শিগগির সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ কমিটির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য প্রফেসর ড. মো. হোসেন মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুর সবুর এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের অধ্যাপক মো. মফিজুর রহমান।

চলমান নিউইয়র্ক/মোহাম্মদ আলী

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন