সিএন প্রতিবেদন: মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর ফের গণহত্যা চালানোর অভিযোগ উঠেছে দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। ফলে প্রাণে বাঁচতে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে সীমান্তে ফের রোহিঙ্গাদের ঢল নেমেছে। বাংলাদেশে ঢোকার অপেক্ষায় আছে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ভাবে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে শুরু করেছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশ বোমা হামলায় আহত হয়েছেন।
এদিকে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। চলমান নিউইয়র্কের হাতে চিকিৎসা নেওয়ার কিছু প্রমাণ রয়েছে।
একটি নথি থেকে দেখা যায়, আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মো. ইমতিয়াজ নামের এক রোহিঙ্গা গত বুধবার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। পরবর্তীতে তাকে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, অনেকেই হয়ত জানেনা, আরাকানের সাম্প্রতিক ঝামেলার কারণে রোহিঙ্গারা আবারও বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। ওখানে বোমা বিস্ফোরণের অনেক রোগী এখানে প্রতিদিনই আসছে।
তিনি আরও বলেন, রাতের ডিউটিতে আমি একটা রোগী পেয়েছি বোমা বিস্ফোরণের পর তার পায়ে স্প্রিন্টারের আঘাত লেগেছে। এই অবস্থায় নিয়ে প্রথমে কক্সবাজারে ট্রিটমেন্ট নিয়েছেন। পরবর্তীতে এখানে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। এরকম রোগী আরও আসছে।
এর আগে মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) মংডু সীমান্তে রোহিঙ্গাদের এই ঢল দেখা যায়। গত সপ্তাহে রোহিঙ্গাদের ওপর ভয়াবহ ড্রোন হামলার জেরে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে।
বেশ কিছু লাশ নাফ নদী ধরে বাংলাদেশে ভেসে এসেছে। টেকনাফের একজন এনজিও কর্মী বাংলাদেশে বেশ কিছু লাশ দাফনের দাবি করেছেন৷ একজন রোহিঙ্গা বলেছেন, ড্রোন হামলায় মংডু এলাকায় তার ৯ জন আত্মীয় নিহত হয়েছেন। আর আহত চারজন বাংলাদেশে এসে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদিকে, বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তে নিরাপত্তা ও টহল বাড়িয়েছে বিজিবি৷ অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে৷
গত সপ্তাহে বাংলাদেশের দিকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের মংডুতে ড্রোন হামলা চালানো হয়। গুলিও করা হয়। এতে অন্তত ২০০ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। আরাকান আর্মি এই হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম এখন পর্যন্ত অর্ধশত লাশ বাংলাদেশে ভেসে আসার খবর দিয়েছে। তবে টেকনাফ এলাকার এনজিও কর্মী মাহবুব আলম মিনার বলেছেন, আমার তত্ত্বাবধানেই ১৭০ জন রোহিঙ্গার লাশ আমরা এখানে দাফন করেছি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাফন করা হয়েছে শাহপরীর দ্বীপে বড় মাদ্রাসা মসজিদের কবরস্থানে, সেখানে ৫৫টি লাশ দাফন করা হয়েছে।
সিএন/এমটি
Views: 10
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন