লেবাননে স্থল অভিযান শুরু ইসরাইলের

লেবানন: লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের গ্রামগুলোর ‘সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে’ স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরাইল।
দেশটির সেনাবাহিনী মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) এ কথা জানিয়েছে। ইরান সমর্থিত লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী দেশটির সীমান্তে শত্রু সেনাদের লক্ষ্যবস্ত করার ঘোষণার পর ইসরাইল সুনির্দিষ্ট এ স্থল অভিযান শুরু করেছে। সংবাদ এএফপির।

লেবাননের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, ‘দক্ষিণ বৈরুতে ইসরাইল অন্তত ছয় দফা হামলা চালিয়েছে।’

এছাড়া সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় খবর মাধ্যম বলেছে, ‘রাজধানী দামেস্কের আশেপাশেও ভয়াবহ হামলা চালানো হয়েছে।’

সহিংসতা বন্ধে আন্তর্জাতিক আহ্বান উপেক্ষা করেই ইসরাইল এ হামলা চালিয়েছে ও হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেছে।

ইসরাইলের সেনাবাহিনী বলেছে, ‘দক্ষিণ লেবাননের সীমান্ত-সংলগ্ন গ্রামগুলোয় হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলার সমর্থনে স্থল অভিযানও শুরু হয়েছে।’

এর পূর্বে, ইসরাইলের রাজনৈতিক নেতারা এ অভিযানের অনুমিত দেয়। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ‘এর মধ্য দিয়ে লেবাননে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ইসরাইলের যুদ্ধ নয়া মাত্রা পেয়েছে।’

এ দিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ইসরাইলের স্থল অভিযানের বিরোধিতা করে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।

হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী বলেছে, ‘ইসরাইলের স্থল হামলা মোকাবেলায় তারা প্রস্তুত।’

এ দিকে, সিরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা সানা বলেছে, ‘দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রাজধানী দামেস্ক এলাকায় তিন দফা হামলা প্রতিহত করেছে।’

তবে, ইসরাইলের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করা হয়নি।

বলে রাখা ভাল, গেল সপ্তাহে রাজধানী বৈরুতসহ লেবাননের বিভিন্ন জায়গায় হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে জোরালো হামলা শুরু করে ইসরাইলের বাহিনী। গেল শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বৈরুতের দক্ষিণে ইসরাইল বোমা হামলা চালিয়ে হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে খুন করেছে।

এ দিকে, ইসরাইলের হামলার কারণে লেবাননে এরমধ্যে দশ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

গেল বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হলে হিজবুল্লাহর সঙ্গে তেলআবিরের পুরনো বিরোধ তীব্র রূপ নেয়। হিজবুল্লাহ হামাসের সমর্থনে ইসরাইল লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে আসছিল। ইসরাইলও এসব হামলার পাল্টা উত্তর দিয়ে আসছিল।

লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের সাম্প্রতিক প্রস্তাবের ভিত্তিতে যুদ্ধবিরতি ও লেবাননের বিরুদ্ধে ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।

সিএন/আলী