ডেস্ক নিউজ: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতাগ্রহণের পর প্রথম বারের মতো দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মোদির এ সফরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে মনে করছেন অনেকে। কেমন হতে পারে এবারের ট্রাম্প-মোদি বৈঠক, তা নিয়ে একটি বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।
বিভিন্ন সময়ে ভারতের নানা সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করতে দেখা গেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি সবসময়ই নমনীয় থাকতে দেখা গেছে তাকে। ২০১৭ সালে ওয়াশিংটনে এই দুই নেতার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক দিয়ে শুরু হওয়া সম্পর্ক গত কয়েক বছরে আরও জোরালো হয়েছে। তাই, মোদির এবারের যুক্তরাষ্ট্র সফরে কোন কোন বিষয় উঠে আসতে পারে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের ব্রিফিং ও বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে দেয়া মোদির বক্তব্য অনুযায়ী ধারণা করা হচ্ছে, বাণিজ্য, শুল্ক ও ভিসা নীতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হতে পারে বৈঠকে।
বাইডেন শাসনামলে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যে প্রায় ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঘাটতি দেখা দেয়, যা পূরণের জন্য ট্রাম্প ভারতের কাছে শুল্ক কমানোর আহ্বান জানাতে পারেন। মোদিও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারস্পরিক বাণিজ্য এবং কৌশলগত সহায়তা চুক্তির প্রস্তাব দিতে পারেন। যাতে করে বিশ্ব বাজারে চীনের প্রভাব মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করতে পারে দুই দেশ।
এছাড়াও, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে সবচেয়ে আলোচিত ইস্যু অভিবাসন ও ভিসা নীতিও উঠে আসতে পারে বৈঠকে। এরমধ্যেই বেশ কয়েকজন ভারতীয় অবৈধ অভিবাসীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছেন ট্রাম্প। মোদিও তাদের গ্রহণ করেন।
তবে, ভারতীয় প্রযুক্তি কর্মীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ‘এইচ-১বি ভিসা’ সুবিধা বজায় রাখার অনুরোধ জানিয়েছিলেন মোদি। যা এবারের বৈঠকেও উঠে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশ্ব-বাণিজ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বাড়ানোর জন্য এবারের মেয়াদে ট্রাম্প বেশ সোচ্চার। তাই, রাশিয়ার পরিবর্তে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে তেল নিতে মোদিকে চাপ দিতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে, মোদিও নিজের কিছু উদ্দেশ্য নিয়ে ওয়াশিংটন যাচ্ছেন।
পারমাণবিক শক্তি খাতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক বিনিয়োগ আদায় ভারতের অন্যতম লক্ষ্য। এছাড়াও, প্রযুক্তি খাতে পারস্পারিক সহায়তার বিষয়টিও উঠে আসতে পারে আলোচনায়।
বৈশ্বিক ইস্যুতেও দুই নেতার মধ্যে হতে পারে আলোচনা। এর মধ্যে, ইরানের চাবাহার বন্দর উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার প্রভাব নিয়ে কথা বলতে পারেন মোদি। আর, ইউক্রেন-রাশিয়া এবং হামাস-ইসরাইল সংঘাত বন্ধে মোদিকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করার প্রস্তাব দিতে পারেন ট্রাম্প।
এছাড়া, দুই নেতার বৈঠকে আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিষয়টিও উঠে আসতে পারে।
সিএন/আলী
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন