অস্টিনে অনুষ্ঠিত হলো গ্লোবাল ভিলেজ বইমেলা

টেক্সাসের অস্টিন শহরে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো ‘গ্লোবাল ভিলেজ বইমেলা ২০২৫’। যেখানে মিলেছিল বাংলা ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রবাসী কমিউনিটির সৃজনশীলতার অনন্য এক আবহ।

মেলার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রিয় লেখক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা সাদাত হোসাইন। তাকে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে ফিতা কেটে মেলার উদ্বোধন করা হয়। জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই মহোৎসব।

বইমেলার মূল আয়োজক ‘রিদম অফ গ্লোবাল ভিলেজ’-এর প্রেসিডেন্ট ও ‘কালের চিঠি’র সম্পাদক বিমল সরকার উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন,
“এই বইমেলা আমার দুই যুগের সাধনার ফসল, যেখানে বই শুধু পণ্য নয়, আত্মার সাথে আত্মার মেলবন্ধনের নাম।”

বইমেলায় দক্ষিণ আফ্রিকা ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে আগত লেখকরা অংশ নেন। তাদের নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধান অতিথি। সাহিত্যিক সাদাত হোসাইনের লেখা নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় একক সংগীতানুষ্ঠান, পরিবেশন করেন শিল্পী মুনিরা প্রীতু।

শিশু-কিশোরদের জন্য ছিল চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, মেধা যাচাই ও খেলাধুলা। মেলায় অংশ নেয় বাংলা একাডেমি, অনন্যা, কথা প্রকাশ, অন্যধারা, কালের চিঠি ও কলকাতার দেজ প্রকাশনাসহ বিভিন্ন প্রকাশনী। স্টলজুড়ে ছিল নতুন বইয়ের পাশাপাশি গত শতকের শ্রেষ্ঠ সাহিত্য।

পাঠক-লেখক সরাসরি অংশ নেন প্রশ্নোত্তর পর্বে। অধ্যাপক হায়দরী আকবরের সঞ্চালনায় “গল্পের পেছনের গল্প” শিরোনামে অনুষ্ঠিত আলোচনাও ছিল দর্শকপ্রিয়।

সাহিত্য ও সৃজনশীলতায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে গ্লোবাল ভিলেজ গ্লোবাল রিসার্চ সেন্টার থেকে সাদাত হোসাইনকে দেওয়া হয় ‘গ্লোবাল ভিলেজ সাহিত্য পদক ২০২৫’, যা বছরে একজন লেখককেই প্রদান করা হয়।

দিনব্যাপী চা, স্ন্যাকস ও নৈশভোজ ছিল সবার জন্য উন্মুক্ত। সমাপনী বক্তব্যে আয়োজক বিমল সরকার সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বইমেলার পরিসমাপ্তি ঘোষণা করেন।

বইমেলা নিয়ে একজন দর্শনার্থী বলেন, এটা শুধু বইয়ের উৎসব নয়, এটা ছিল অস্টিনে একুশের চেতনায় বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির এক অভূতপূর্ব মিলনমেলা।