ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আবার ভিন্ন স্বর ট্রাম্পের

নিউজ ডেস্ক: এক প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প ফক্সকে জানান, নিষেধাজ্ঞার ফলে অনেক অর্থ ব্যয় হচ্ছে। যথাযথ আচরণ করলে ইরানের মতো দেশের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে। ইরান বৈরি আচরণ বন্ধ করলে দেশটির তেল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞাসহ অন্যান্য বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।

ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান। সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ হয় রবিবার। এক প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প ফক্সকে জানান, নিষেধাজ্ঞার ফলে অনেক অর্থ ব্যয় হচ্ছে। যথাযথ আচরণ করলে ইরানের মতো দেশের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে।

ইরান ইন্টারন্যাশনাল জানায়, গত ২৪ জুন নিজ সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প জানান, এখন থেকে ইরানের তেল কিনতে পারে চীন, কিন্তু এক দিন পরই তিনি জানান, তেল থেকে ইরানের আয় বন্ধ করতে চান না তিনি। ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনে ইরানের এ আয় দরকার।

গত শুক্রবার ভিন্ন স্বরে কথা বলেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। তিনি জানান, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলি খামেনির বিবৃতিতে ‘ক্ষোভ, ঘৃণা ও বিরক্তি’ থাকায় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি।

ওই বক্তব্যের পর রবিবার সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানান, ইরানের তেল বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ আছে। ওই সময় নিষেধাজ্ঞায় পড়া ইরানের তেল কিনতে চীনকে রিপাবলিকান প্রশাসনের অনুমোদনের বিষয়টি নাকচ করেন প্রেসিডেন্ট। তিনি জানান, ইরান যদি ঠিকঠাক কাজ করে, শান্তিপূর্ণ থাকে এবং কোনো ক্ষতি করবে না প্রদর্শন করতে পারে, তাহলে দেশটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে।

আরব দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের আব্রাহাম অ্যাকর্ড নামের চুক্তি নিয়েও কথা বলেন অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট। তিনি মনে করেন, ইতোপূর্বে আঞ্চলিক শান্তির জন্য বড় বাধা ছিল ইরানের হুমকি। ইরানকে ‘প্রাথমিক সমস্যা’ আখ্যা দেওয়া ট্রাম্প বলেন, তিনি ধারণা করেছিলেন, একটা সময়ে অন্য সবার সঙ্গে আব্রাহাম অ্যাকর্ডে যুক্ত হবে ইরান। এ চুক্তিতে যোগ দিলে তারা বর্তমানের চেয়ে ভালো অবস্থানে থাকত।

নতুন একাধিক দেশ আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে সাক্ষাৎকারে দাবি করেন ট্রাম্প। যদিও কোন দেশগুলো যোগ দিতে চায়, সে বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি।