রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

শিরোনাম

ভাইভাতে ভালো করার ১০ উপায়

সোমবার, জুলাই ৭, ২০২৫

প্রিন্ট করুন
ভাইবা

ভাইভাতে ভালো করার জন্য প্রস্তুতি প্রয়োজন। আপনি কীভাবে আপনার নিজেকে উপস্থাপন করছেন, কীভাবে কথা বলছেন সবকিছু এখানে বিবেচ্য বিষয়। এমনকী যে বিষয়ে আপনার জানা নেই, নিজের সেই অপরাগতার কথা আপনি কীভাবে বলছেন সেটিও কিন্তু লক্ষণীয়। এগুলো অভ্যাসের বিষয়, যা একদিনে অর্জন করা সম্ভব নয়। চাকরির ইন্টারভিউতে ভালো করার জন্য আপনাকে কিছু বিষয়ের প্রতি অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। কী সেই বিষয়গুলো? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

ভাইভা বোর্ডে নিজেকে উপস্থাপন করবেন যেভাবে

ভাইভা বোর্ডে নিজেকে উপস্থাপন করবেন যেভাবে

চাকরির ভাইভায় শুধু সঠিক উত্তর নয়, নিজেকে কেমনভাবে উপস্থাপন করছেন সেটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ইন্টারভিউর আগে অতিরিক্ত বইপত্র দেখা বা অন্যের প্রশ্ন শুনে চিন্তিত হওয়া ঠিক নয়।

বোর্ডে ঢোকার আগে অনুমতি নিয়ে ভেতরে ঢুকবেন এবং সালাম বা সম্ভাষণ জানাবেন। বসার অনুমতি না পেলে বসবেন না। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুছিয়ে রাখবেন, অপ্রয়োজনে কিছু দেখাবেন না।

পোশাকে হতে হবে পরিচ্ছন্ন ও মার্জিত। চেয়ারে সোজা হয়ে বসবেন, চোখে চোখ রেখে শান্তভাবে কথা বলবেন। উত্তর না জানলে বিনয়ের সঙ্গে বলবেন, তবে আলোচনা চললে কিছু বলার চেষ্টা করবেন।

শেষে ধন্যবাদ জানিয়ে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বেরিয়ে আসুন। সময়মতো উপস্থিতি ও ভদ্র আচরণই ভাইভা সফলতার চাবিকাঠি।

এক সেকেন্ড সময় নিন

তাড়াহুড়া করে উত্তর দেওয়ার অভ্যাস? এমন অভ্যাস থাকলে তা বাদ দিতে হবে। প্রশ্নকর্তার কাছ থেকে প্রশ্নটি শোনার পরে এক বা দুই সেকেন্ডের জন্য বিরতি নিন। এই ছোট বিরতি আপনাকে কথাগুলো গোছাতে সাহায্য করবে। এতে আপনার কাছ থেকে আরও ভালো উত্তর পাওয়া যাবে।

ভাইভাতে না জানলে স্বীকার করুন

ভাইভাতে না জানলে স্বীকার করুন

যদি কোনো প্রশ্ন আপনাকে বিভ্রান্ত করে, ভান করার দরকার নেই। সৎ থাকুন। নিজের অপরাগতার কথা স্বীকার করে নিন। সবাই সবকিছু জানবে এমনটা কখনোই হতে পারে না। কোনো বিষয়ে আপনার জানা না-ই থাকতে পারে, সেটি সুন্দরভাবে বলুন। এতে আপনার সততার পরিচয় মিলবে

ক্যারিয়ারে বিরতি থাকলে লুকাবেন না

ক্যারিয়ারে বিরতি বা চাকরি পরিবর্তন- এগুলো ঘটে। সেগুলো লুকানোর চেষ্টা করা বা খুব বেশি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করা সাধারণত উল্টো ফল বয়ে আনে। শুধু কারণটা কী ছিল তা বলুন। সেটা ব্যক্তিগত বিষয়ের জন্য হোক, কিছু শেখার জন্য হোক, অথবা ভিন্ন কিছু চেষ্টা করার জন্য হোক, সৎ এবং শান্ত থাকুন। এটি আপনার আত্মবিশ্বাসের পরিচয় বহন করে।

খুব তাড়াতাড়ি বা দেরি করবেন না

খুব তাড়াতাড়ি ইন্টারভিউ স্থলে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি অস্বস্তিকর হতে পারে। কিন্তু কয়েক মিনিট দেরি? সেটিও নিশ্চয়ই ভালো কিছু নয়। তাই ইন্টারভিউর জন্য দেওয়া নির্দিষ্ট সময়ের মোটামুটি মিনিট দশেক আগে পৌঁছানোর চেষ্টা করুন।

ভাইভার আগে রিসার্চ করুন

কোম্পানি কী করছে, কে নেতৃত্ব দিচ্ছে, তারা কীসের উপর মনোযোগ দিচ্ছে – মূল বিষয়গুলো জানা থাকলে তা আপনার ধারণার চেয়েও বেশি সাহায্য করতে পারে। এতে প্রশ্নের জবাব দেওয়ার আপনার জন্য আরও বেশি সহজ হয়ে উঠবে। তাই ইন্টারভিউতে যাওয়ার আগে রিসার্চের দিকে খেয়াল রাখুন।

ভাইভাতে শারীরিক ভাষা

সামনাসামনি ইন্টারভিউ হোক কিংবা জুম মিটিং, আপনি কীভাবে বসছেন সেটাও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। সোজা হয়ে বসুন। হাত লুকানোর প্রয়োজন নেই। স্বাভাবিক থাকুন। মাঝে মাঝে সরাসরি প্রশ্নকর্তার চোখের দিকে তাকান। মাথা উঁচু করে বসুন। মনে রাখবেন, আপনার যেমন চাকরি দরকার, চাকরিরও আপনাকে দরকার। কেউ আপনাকে দয়া করছে না বরং আপনি নিজের যোগ্যতার কারণে কাজটি পাচ্ছেন। তাই নিজেকে গুরুত্বহীন ভাবার প্রয়োজন নেই।

চাকরির ভাইভাতে বেতন নিয়ে কথা বলবেন যেভাবে

ইন্টারভিউতে বেতন নিয়ে কথা বলার সময় অনেকেই দ্বিধায় পড়েন। কেউ বেশি চেয়ে চাকরি হারানোর ভয় পান, আবার কেউ কম বলে নিজের ক্ষতি করেন। এ থেকে বাঁচতে আগে থেকেই প্রতিষ্ঠানের তথ্য, পদের দায়িত্ব ও বেতন কাঠামো সম্পর্কে ধারণা রাখা জরুরি।

নিজের যোগ্যতা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বাস্তবসম্মত পরিসরে বেতন চাওয়া উচিত। নির্দিষ্ট পরিমাণ বলার চেয়ে একটি সম্ভাব্য সীমা উল্লেখ করাই ভালো। পাশাপাশি অন্যান্য সুবিধা—যেমন ভাতা, ছুটি, বীমা ইত্যাদিও আলোচনা করে নেওয়া প্রয়োজন।

সঠিক প্রস্তুতি ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে বেতন আলোচনা করলে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা যেমন বাড়ে, তেমনি নিজের মূল্যও ঠিকভাবে তুলে ধরা যায়।

সাক্ষাৎকার শেষে বেরিয়ে আসা

ভাইভা শেষ করে বেরিয়ে আসার সময় বিশেষভাবে লক্ষ করবেন কোনো কাগজপত্র ফেলে আসলেন কি না। চলে আসার আগে বলিষ্ঠ গলায় ‘ধন্যবাদ’ বলবেন। বেরিয়ে আসার সময় সরাসরি পেছন দিকটা বোর্ড সদস্যদের দিকে ফিরিয়ে চলে আসবেন না। ঢোকার এবং বেরিয়ে আসার সময় আপনার হাঁটার পদক্ষেপ দৃঢ় হবে।

চাকরির ভাইভাতে ভালো করার ১০ উপায়

ভাইভার শেষ কথা

সবচেয়ে বড় কথা পুরো সময়টাই আত্মবিশ্বাসী থাকবেন, তবে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ক্ষতির কারণ হতে পারে। বোর্ড সদস্যরা কোনো বিষয়ে হাসতে পারেন, কিন্তু তাঁদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আপনার হাসা ঠিক হবে না। তাই বলে পুরো সময়টা একেবারে গুরুগম্ভীর হয়ে থাকারও দরকার নেই। সাবলীলভাবে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবেন। কোনো বাক্য অসম্পূর্ণ রেখে কথা থামিয়ে দেবেন না। আবার যে উত্তরটি এক শব্দে দেওয়া যায়, সেটি এক শব্দে না দিয়ে পূর্ণ বাক্যে উত্তর দেবেন। কোনো ধরনের মুদ্রাদোষ থাকলে তা অবশ্যই পরিহার করতে হবে। জিব দিয়ে অকারণে ঠোঁট ভেজাবেন না। উত্তর দেওয়ার সময় ভঙ্গি এমন হবে না, যাতে মনে হয় আপনি মুখস্থ বলছেন। প্রয়োজনে কণ্ঠের ওঠানামা ব্যবহার করবেন। আর শেষ কথা হলো নির্ধারিত সময়ের আগেই উপস্থিত থাকবেন। সাক্ষাৎকারের আগে বা পরে উপস্থিতিপত্রে স্বাক্ষর করার প্রয়োজন হতে পারে।

সরকারি চাকরির ভাইভার ১০ টিপস

সরকারি চাকরির ভাইভার ১০ টিপস

যেকোনো নিয়োগের লিখিত অংশের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে ভাইভা শুরু হয়ে যায়। ফলে ভালো প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হয় না। এতে আত্মবিশ্বাস কম থাকে এবং জানা জিনিসও ভুল করে আসে। তাই চাকরির ভাইভা ভালো করতে হলে প্রবল আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে। আর এ জন্য ভাইভার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানা ও পড়াশোনা করা প্রয়োজন। নিচে চাকরির ভাইভার ১০ টিপস নিয়ে আলোচনা করা হলো।

  • টেনশনমুক্ত থাকুন। দুশ্চিন্তাকে না বলুন। ভাইভার আগের রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমিয়ে নিন। সম্ভব হলে আগের পড়াগুলো রিভিশন দিন।
  • আগের দিন নতুন কোনো টপিক পড়তে যাবেন না। এতে গোলমাল পাকিয়ে যেতে পারে। সুস্বাস্থ্যের দিকেও গুরুত্ব দিন। রাত জেগে অসুস্থ হয়ে পড়া যাবে না।
  • নিজ জেলা, মুক্তিযুদ্ধ, সংবিধান ও সাম্প্রতিক বিষয়গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে যাবেন। ভাইভা বোর্ডে আপনার নিজ জেলা সম্পর্কে খুঁটিনাটি প্রশ্ন করা হতে পারে।
  • ভাইভা বোর্ডে অবশ্যই ফরমাল ড্রেস পরে যাবেন। আগে থেকেই সব গুছিয়ে রাখুন। ছেলেরা সাদা শার্ট, কালো প্যান্ট ও কালো বেল্ট, কালো রঙের ফরমাল ফিতাসহ শু পরতে পারেন। চাইলে শীতকালে স্যুট-টাই পরতে পারেন। চুল আদর্শ পরিমাণে ছোট করে কেটে যাবেন। সর্বোপরি পরিচ্ছন্নতা সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
  • ভাইভার দিন ঠিক সময়ের আগে কেন্দ্রে উপস্থিত হবেন। পর্যাপ্ত সময় হাতে রেখে বাসা থেকে রওনা দিন।
  • ভাইভা বোর্ডে অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করে প্রথমে সালাম বা আদাব দেবেন। বোর্ড চেয়ারম্যান বা সদস্য বসতে বললে বসবেন। অনুমতির আগে বসবেন না। অনেকক্ষণ হয়ে হয়ে গেলে আপনি বলতে পারেন, ‘আমি কি বসতে পারি, স্যার।’ বসতে বললে অবশ্যই ধন্যবাদ দেবেন।
  • আপনাকে বাংলায় প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলে বাংলায় উত্তর দেবেন আর ইংরেজিতে প্রশ্ন করলে ইংরেজিতে উত্তর দেবেন। বাংলায় প্রশ্ন করলে আবার ইংরেজিতে উত্তর দিতে যাবেন না।
  • ভাইভা বোর্ডে কোনো বিষয় নিয়ে বোর্ডের সঙ্গে তর্ক করা যাবে না। মতাদর্শিক প্রশ্ন হলে টেকনিক্যালি উত্তর দেবেন।
  • ভাইভায় বিভিন্ন গাণিতিক হিসাবের প্রশ্ন করলে ভালোভাবে চিন্তা বা ক্যালকুলেশন করে উত্তর দেবেন। তবে অতিরিক্ত সময় নেওয়া যাবে না। উত্তর না পারলে বলতে হবে, দুঃখিত স্যার, এই মুহূর্তে উত্তরটি মনে করতে পারছি না।
  • ভাইভা বোর্ডে অতিরিক্ত স্মার্টনেস পরিহার করুন। অন্য দিকে তাকিয়ে উত্তর দেওয়া যাবে না। অবশ্যই শুদ্ধ ভাষায় কথা বলতে হবে। আর অবশ্যই মার্জিতভাবে কথা বলবেন।

ভাইভা বোর্ডে এড়িয়ে চলবেন যে ৮ বিষয়

ভাইভা বোর্ডে এড়িয়ে চলবেন যে ৮ বিষয়

চাকরির ভাইভা বোর্ডে প্রবেশ করে অনেকেই তালগোল পাকিয়ে ফেলেন। স্বল্প প্রস্তুতির সঙ্গে চাপ সামলাতে না পেরে নিজেকে অযোগ্য প্রমাণ করে বসেন অনেকেই। কিন্তু কিছুটা কৌশলী হয়ে প্রশ্নের উত্তর দিলেই সফল হওয়া সম্ভব।

এরআগে চলুন জেনে নিই, এমন কিছু ভুল; যা সরকারি কিংবা বেসরকারি চাকরির ভাইভা বোর্ডে ভুলেও করা যাবে না।

নিজেকে অযোগ্য হিসেবে উপস্থাপন করা

অনেক সময় চাকরিপ্রার্থী উদ্বিগ্ন থাকার কারণে ভাইভাবোর্ডে নিজেকে অযোগ্য প্রমাণ করে ফেলেন। ফলে চাকরি নামের সোণার হরিণটির দেখা মেলেনা। তবে ভাইভাবোর্ডে চিন্তামুক্ত হয়ে গেলে এমনটি হয় না। তাই দুশ্চিন্তা দূর করতে হবে সবার আগে।

বেতন ও প্রমোশনের ব্যাপারে তাড়াহুড়া করা

চাকরি না হতেই বেতন ও প্রমোশনের ব্যাপারে অনেকেই জিজ্ঞাসা করে থাকেন। কিন্তু এই আত্মঘাতী পথ অবলম্বন করা উচিৎ নয়। কারণ যদি চাকরিদাতাদের বেতন ও প্রমোশন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন তাহলে আপনার সম্পর্কে চাকরিদাতাদের নেতিবাচক ধারণা তৈরি হবে। এতে চাকরি হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

কোম্পানি সম্পর্কে ধারণা না রাখা

কোম্পানি সম্পর্কে ধারণা না রেখে ভাইভা দিতে গেলে চাকরি না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। কারণ চাকরিদাতারা আপনার দক্ষতার পাশাপাশি যে জিনিস দেখে তা হলো তাদের কোম্পানি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা রয়েছে কিনা?

অকারণ প্রশ্ন না করা

অনেক চাকরিপ্রার্থী অকারণ প্রশ্ন করে থাকেন। এটি চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক বড় অন্তরায়। কারণ অকারণ প্রশ্ন করলে চাকরিদাতারা বিরক্ত হন। তাই অকারণ প্রশ্ন না করাই সমীচিন।

সঠিক তথ্য না দেয়া

ইন্টারভিউয়ে অনেকে সঠিক তথ্য দেন না। অনেকে ইন্টারভিউয়ে চাকরিদাতাদের কাছে যে দক্ষতা তার মধ্যে নেই সেই দক্ষতা উপস্থাপন করেন। এমন কাজ করলে চাকরিদাতারা অসন্তুষ্ট হন প্রার্থীর ওপর। সঠিক তথ্য না দিলে চাকরি না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

বিলম্বে উপস্থিত হওয়া

ইন্টারভিউতে দেরি করে উপস্থিত হওয়া। এতে চাকরিদাতারা প্রার্থীর ওপর অসন্তুষ্ট হয়ে থাকেন। এমন কাজ করার কারণে চাকরির সুযোগ হারান প্রার্থী।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আনতে ভুলে যাওয়া

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আনতে ভুলে যাওয়ার কারণে চাকরির সুযোগ হারান অনেক প্রার্থী। তাই সিভি, এসএসসি, এইচএসসির সনদসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিতে কখনোই ভুল করা যাবে না।

ধন্যবাদ না জানানো

অনেক প্রার্থী চাকরিদাতাদের ধন্যবাদ জানাতে ভুলে যান। ছোট এই ভুলের জন্য অনেকেই চাকরির সুযোগ হারান। তাই মানুষ ধন্যবাদ জানানোর অভ্যাস করা অপরিহার্য।

চাকরির ভাইভায় যেসব প্রশ্ন করা হতে পারে

চাকরির ভাইভায় যেসব প্রশ্ন করা হতে পারে

লিখিত পরীক্ষা উতরে অনেকেই হাফছেড়ে বাঁচেন। এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে মৌখিক বা ভাইভা পরীক্ষায়। স্বল্প প্রস্তুতির জন্য অনেকেই ভাইভা বোর্ডে ঘাবড়ে যান। প্রশ্নকর্তা বা নিয়োগকর্তার বিভিন্ন কৌশলী প্রশ্নে অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন। ফলে কাঙ্খিত ফল আসে না।

একটি বিষয় মনে রাখতে হবে,ভাইভা বোর্ডে যাঁরা থাকেন, তাঁরা কিন্তু নানাভাবে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমেই আপনাকে তাঁদের প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেবেন। একজন চাকরিপ্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি তাঁর স্মার্টনেস, উপস্থাপন কৌশল, বাচনভঙ্গি এসব বিষয়ও কিন্তু কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।

কিন্তু অনেকেই ভাইভা বোর্ডে ঢুকেই নিজের অজান্তে নিজেকে অযোগ্য প্রমাণ করে বসেন। তখন নিয়োগকর্তারা সৌজন্যতার খাতিরে দু-একটি প্রশ্ন করেই বিদায় করে দেন। এ রকম পরিস্থিতি এড়াতে ও নিজেকে যোগ্য করে উপস্থাপন করার বিকল্প নেই। তবে এর আগে চলুনে জেনে নেই এমন কিছু প্রশ্ন; যা সরকারি অথবা বেসরকারি চাকরির ভাইভা পরীক্ষায় নিয়মিত করা হয়-

১. আপনার নাম কি?

২. আপনার নামের অর্থ কী?

৩.এই নামের একজন বিখ্যাতব্যক্তির নাম বলুন?

৪. আপনার জেলার নাম কী?

৫. আপনার জেলাটি বিখ্যাত কেন?

৬. আপনার জেলার একজন বিখ্যাতমুক্তিযোদ্ধার নাম বলুন?

৭. আপনার বয়স কত?

৮. আজ কত তারিখ?

৯. আজ বাংলা কত তারিখ?-

১০. আজ হিজরি তারিখ কত?-

১১. আপনি কি কোনো দৈনিকপত্রিকা পড়েন?-

১২. পত্রিকাটির সম্পাদকের নাম কি?

১৩. আপনার নিজের সম্পর্কে সমালোচনা করুণ।

১৪. আপনার জেলার নাম কি? জেলা সম্পর্কে ১ মিনিট বলুন।

১৫. আপনার জেলার বিখ্যাত কিছু মানুষের নাম বলুন এবং তারা কিকারনে বিখ্যাত তা আলোচনা করুণ।

১৬. আপনার বয়স, জন্ম তারিখ কত?

১৭. আপনি কি কোন দৈনিকপত্রিকা পড়েন? পড়লে সম্পাদকের নাম কি?

১৮. বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে যা জানেন তা বলেন?

১৯.আপনার পরিবার সম্পর্কে বলুন।

২০. আমরা আপনাকে কেন চাকুরিটা দেবো?

২১. বিয়ে করেছেন? কেন করেছেন/করেননি? বিবাহ সম্পর্কে আপনার চিন্তাভাবনা কি?

২২. আরো পড়াশুনা করার ইচ্ছা আছে কি? কেন নেই ইচ্ছা?

২৩. এর আগে কোথায় জব করেছেন? সেখানে কি ধরনের কাজ করেছেন? সে চাকরিটি কেন ছেড়ে দিতে হলো?

২৪. আপনার নিজের সম্পর্কে (ইংরেজিতে/বাংলাতে) বলুন?

২৫. আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে বলুন?

২৬. আপনার নিজের Strength / Weakness (SWOT: S-Strength ,W-Weakness, O-Opportunity, T-Threat) কি কি বলে মনে করেন?

২৭. একটি শব্দে/তিনটি শব্দে আপনি নিজেকে কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন?

২৮. যে পদের জন্য আবেদন করেছেন তাঁকে অন্যগুলোর সঙ্গে কিভাবে তুলনা করবেন?

২৯. আপনার তিনটি গুন ও দুর্বলতার কথা কি বলতে পারেন?

৩০. বর্তমান চাকুরীটি কেন ছেড়ে দিতে চান ?

৩১. ক্যারিয়ারের কোন বিষয়টি নিয়ে আপনি গর্ব করবেন?

৩২. কোন ধরনের বস ও সহকর্মীদের সাথে কাজ করে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন সফল হয়েছেন? কেন?

৩৩. একজন উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে চিন্তা করেছিলেন?

৩৪. যেকোনো ১ টি প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ পেলে আপনি কোথায় চাকরি করতেন?

৩৫. আগামীকাল কোটি টাকা হাতে পেয়ে গেলে আপনি কি করবেন?

৩৬. আপনার বস অথবা জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা দ্বারা কি কখনো সততা বিসর্জনের প্রস্তাব পেয়েছেন?

৩৭. আপনার সঙ্গে কাজ করতে না চাওয়ার ১ টি কারণ বলতে পারেন?

৩৮. এতদিন কাজ থেকে দূরে ছিলেন কেন?

৩৯. এই ইন্টার্ভিউয়ের জন্য কিভাবে সময় পেলেন?

৪০. একটি সমস্যার কথা বলুন যার সমাধান আপনি নিজে করেছেন?

৪১. আপনি নেতৃত্ব দিয়েছেন বা দলগতভাবে কাজ করেছেন এমন একটি অবস্থার বর্ণনা দিন?

৪২. আগামী ৫-১০ বছরে নিজেকে কোথায় দেখতে চান

৪৩. আপনাকে আমাদের কেন নিয়োগ দেওয়া উচিত বলে মনে করেন?

৪৪. আমাদের কোম্পানিতেই কেন কাজ করতে চান?

৪৫. হার্ড ওয়ার্ক এবং স্মার্ট ওয়ার্ক বলতে কি বুঝেন?

৪৬. চাপের মধ্যে কাজ করা (Work under Pressure) বলতে কি বুঝেন?

৪৭. ভ্রমন করাকে কিভাবে দেখছেন? প্রয়োজনে ভ্রমন বা ট্রান্সফার হওয়াকে কিভাবে গ্রহন করবেন?

৪৮. আপনার জীবনের লক্ষ্য কি?

৪৯. কি আপনাকে রাগিয়ে তোলে?

৫০. কি আপনাকে প্রেরণা (Motivation) যোগায়?

৫১. আপনার জীবনের করা কিছু ক্রিয়েটিভ কাজের উদাহরণ দিন?

৫২. আপনি কি একা কাজ করতে পছন্দ করেন নাকি দলকে সাথে নিয়ে কাজ করা কে বেশি গুরুত্ব দেন?

৫৩.আপনার করা কিছু দলগত কাজের উদাহরণ দিন?

৫৪. লিডার হিসেবে নিজেকে আপনি ১ থেকে ১০ এর মাঝে কত দিবেন?

৫৫. রিস্ক নিতে কি পছন্দ করেন?

৫৬. আপনার পছন্দের কিছু চাকরি, অফিস লোকেশান এবং কোম্পানির উদাহরণ দিন? ৩২। আমাদের কোম্পানি সম্পর্কে কিছু বলুন?

৫৭. আজ থেকে দশ বছর পর নিজেকে কোথায় দেখতে চান নিজেকে?

৫৮. আপনার আগের কোম্পানি থেকে কেনো চাকরি ছেড়ে দিতে (Resign) দিতে চাচ্ছেন?

৫৯. কাজ থেকে কেন অনেক দিন বাহিরে ছিলেন?

৬০. অনেক গুলি কোম্পানি কেনো পরপর পরিবর্তন করেছেন?

৬১. আপনার করা সবচেয়ে বিরক্তিকর কাজ কি ছিলো?

৬২. সবচেয়ে কঠিন যে চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করেছিলেন তা কি ছিলো?

৬৩. আপনাকে যদি আমরা নিয়োগ দেই কি কি পরিবর্তন আপনি আনতে পারবেন বলে মনে করছেন?

৬৪. আপনার কি মনে হয় যে আপনি আপনার আগের কাজে আপনার সর্বোচ্চটা দিয়েছিলেন?

৬৫. আপনার চেয়ে বয়সে ছোট কাউকে রিপোর্ট করাকে কিভাবে দেখবেন আপনি? ৪২। আপনি কি আপনাকে সফল মনে করেন?

৬৬. আপনার জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য বিগত বছরে কি কি করেছেন?

৬৭. আর কোথায় কোথায় চাকরির জন্য আবেদন করেছেন?

৬৮. আমাদের কোম্পানির কারো সাথে কি পরিচয় আছে?

৬৯. আপনাকে যদি নিয়োগ দেওয়া হয় কত দিন আমাদের সাথে কাজ করার ইচ্ছে আছে?

৭০. আপনি কি কাউকে কখনো চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছেন? কেন করেছিলেন, কি পন্থা অবলম্বন করে করেছিলেন? তখন আপনার প্রতিক্রিয়া কি ছিলো?

৭১.ব্যখ্যা করুন আপনি কিভাবে আমাদের জন্য মূল্যবান সম্পদ হবেন?

৭২. আপনার দেওয়া কোন সাজেশন ম্যানেজমেন্ট গ্রহন করেছে এমন একটি উদাহরণ দিন?

৭৩. আপনার কলিগদের আপনার সম্পর্কে কি মন্তব্য?

৭৪. নতুন টেকনোলজিকে কিভাবে গ্রহন করছেন আপনি? কি কি সফটওয়্যার এর সাথে আপনি পরিচিত?

৭৫.আপনার শখ কি বা কি করতে ভালো লাগে?

৭৬. আপনার নিজের সময় জ্ঞান সম্পর্কে বলুন?

৭৭. আপনি কেমন বেতন আশা করছেন বা আপনার সেলারি এক্সপেকটেশন কেমন?

  • আরও পড়ুন

গরমে ছেলেদের ত্বকের যত্নে করণীয়

কোন কোন খাবারে আয়রন পাওয়া যায়?

পিরিয়ডের ব্যথা কমবে ঘরোয়া পাঁচ উপায়ে

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন