রাজধানী মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে পাথর মেরে হত্যা করা হয় ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে। এ ঘটনায় যুবদলের দুই নেতাকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে ওই দুই যুবদল নেতাকে যারা দলে ভিড়িয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কার করা উচিত বলে মনে করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল।
তিনি বলেন, ‘মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ইট-পাথর দিয়ে আঘাত করে মাথা ও শরীর থেঁতলে দেওয়া হয়। আমরা কোন ভাষায় এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাব, জানিনা। যতবার ছবিটি দেখছি, ততবারই ঘৃণায় ধিক্কারে হৃদয় আচ্ছন্ন হয়ে যাচ্ছে। যে পিতা ওই সন্তানদের মানুষ করতে পারেননি, পশু বানিয়েছেন এবং যে নেতারা তাদের দলে ঢুকিয়ে নেতা বানিয়েছেন, তাদেরকে ধিক্কার জানাই। আমরা বলি, এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে বহিষ্কারের আগে যে নেতারা তাদের দলে জায়গা দিয়েছেন তাদেরকে আগে বহিষ্কার করা উচিত ছিল। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আমরা মৃত্যুদণ্ড চাই। ফাঁসিতে ঝুলিয়ে নয়, তাদেরকে ইট-পাথর মেরে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিত। ’
শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যায় নেত্রকোনার কলমাকান্দায় জেলা পরিষদ মাল্টিপারস হলরুমে উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেন, ‘জিয়াউর রহমান আমাদের নেতা, আমরা তাকে নিয়ে গর্ব করি। দেশপ্রেম ও সততার পরীক্ষায় একশোতে একশো পাওয়া যায় না। কিন্তু জিয়াউর রহমানকে ৯৯ নাম্বার দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাকে একশোতে একশো দিতে হবে। আমরা সেই নেতার দল করি। এ নেতার দলে থেকে যারা চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও দুর্নীতি করে তারা এ দলের কেউ নয়। তারা এ দলে প্রবেশ করেছে। ’
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন