সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

শিরোনাম

এপস্টিন নথি প্রকাশ করতে ট্রাম্পকে ইলন মাস্কের সরাসরি চ্যালেঞ্জ

সোমবার, জুলাই ১৪, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বিতর্কিত যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টিন–সংক্রান্ত নথি প্রকাশের দাবি জানিয়ে আবারও সরব হয়েছেন স্পেসএক্সের প্রধান ইলন মাস্ক।

টাম্পের পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় এক্স-এ এক পোস্টে মাস্ক বলেন, ‘দৃঢ়ভাবে বলছি, তিনি (ট্রাম্প) ‘এপস্টিন’ শব্দটা আধা ডজনবার বললেন আর সবাইকে বললেন, এটা নিয়ে যেন কেউ কিছু না বলে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নথিগুলো প্রকাশ করুন।’

এর আগে শনিবার ট্রাম্প তার নিজস্ব সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ এক পোস্টে সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের বিরুদ্ধে আক্রমণ বন্ধ করে। তিনি দাবি করেন, এপস্টিন–সংক্রান্ত যেসব ‘ফাইল’ নিয়ে বিতর্ক চলছে, তা বাইডেন প্রশাসন এবং বিরোধীপক্ষের ষড়যন্ত্র।

ট্রাম্প তার পোস্টে লেখেন, ‘আমাদের প্রশাসন নিখুঁত, বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত। কিন্তু কিছু স্বার্থপর মানুষ এপস্টিন নামক এক ‘অমর’ লোকের কারণে আমাদের ক্ষতি করতে চাইছে।’

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ ও এফবিআই একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে জানায়, জেফ্রি এপস্টিনের কোনো ‘ক্লায়েন্ট লিস্ট’ ছিল না এবং তার মাধ্যমে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ব্ল্যাকমেইল করারও কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এতে আরও বলা হয়, ২০১৯ সালে কারাগারে তার মৃত্যু ছিল আত্মহত্যা।

এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকেই ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মহল, এমনকি রিপাবলিকান ঘরানার সমর্থকদের মধ্যেও ক্ষোভ তৈরি হয়। অনেকে অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি এবং এফবিআই পরিচালক কাশ প্যাটেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন— যারা পূর্বে নিজেরাই এপস্টিনকে ঘিরে ষড়যন্ত্রতত্ত্ব প্রচার করেছিলেন।

মার্কিন রাজনীতিতে বহু বছর ধরেই দাবি করা হয়, জেফ্রি এপস্টিন প্রভাবশালী রাজনীতিক, ব্যবসায়ী ও সেলিব্রিটিদের একটি তালিকা তৈরি করেছিলেন, যাদের তিনি যৌন অপরাধের জড়িয়ে ব্ল্যাকমেইল করতেন। ট্রাম্প নিজেও ২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচারণার সময় বলেছিলেন, তিনি ক্ষমতায় গেলে এসব ‘এপস্টিন ফাইল’ প্রকাশ করবেন।

তবে বিচার বিভাগের এই প্রতিবেদনের পর তা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। অনেকেই মনে করছেন, এই নথিগুলোর গোপনীয়তা রক্ষা করেই প্রভাবশালী মহল নিজেদের দায় এড়াতে চাইছে।

২০১৯ সালে যৌন পাচার ও শিশু নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া জেফ্রি এপস্টিন নিউইয়র্কের একটি কারাগারে মৃত্যু বরণ করেন। সরকারিভাবে তা আত্মহত্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও বহু মার্কিন নাগরিক ও রাজনীতিক আজও এপস্টিনের মৃত্যুকে রহস্যজনক বলে মনে করেন।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন