শনিবার, ০২ আগষ্ট ২০২৫

শিরোনাম

সালাম দেওয়ার রীতি চালু হলো যেভাবে

শুক্রবার, আগস্ট ১, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

মাওলানা রহমত উল্ল্যাহ

সালাম মুসলিম সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি শুধু সম্ভাষণ নয়, বরং এক মুসলিম অন্য মুসলিমকে শান্তি, নিরাপত্তা ও কল্যাণের বার্তা দিয়ে অভিবাদন জানায়। ইসলামে পরস্পরের মধ্যে সালাম বিনিময় করা সুন্নত হিসেবে গণ্য।

‘আস-সালাম’ আল্লাহ তায়ালার গুণবাচক নামগুলোর একটি, যার অর্থ—শান্তি, নিরাপত্তা ও হেফাজতের উৎস। সালাম দিয়ে একজন মুসলিম তার ভাইয়ের জন্য সেই শান্তি ও নিরাপত্তারই কামনা করে থাকেন। সালামের প্রচলন সম্পর্কে হাদিসে এসেছে—

আল্লাহ তায়ালা যখন হজরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করেন, তখন তাঁর উচ্চতা ছিল ৬০ হাত। সৃষ্টি করার পর আল্লাহ আদেশ করেন, “তুমি ফেরেশতাদের একদলকে সালাম দাও এবং মনোযোগ দিয়ে শুনো তারা কী জবাব দেয়। কেননা, এ সালামই তোমার এবং তোমার সন্তানদের সালামের ধরন হবে।”

আদম (আ.) গিয়ে বলেছিলেন: “আসসালামু আলাইকুম”। ফেরেশতারা জবাব দিয়েছিলেন: “ওয়া আলাইকুমুসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ”। তারা সালামের উত্তরে “ওয়া রাহমাতুল্লাহ” যোগ করে উত্তরকে আরও সুন্দর করেছেন। (বুখারি, হাদিস : ৬২২৭)

এ থেকেই ইসলামে সালামের রীতি শুরু হয় এবং তা পরবর্তীতে মুসলিম সমাজে প্রচলিত হয়।

পবিত্র কোরআনেও সালামের আদব ও প্রতিউত্তর শেখানো হয়েছে। আল্লাহ বলেন—
“যখন তোমাদেরকে সালাম দেওয়া হয়, তখন তোমরা তা অপেক্ষা উত্তমভাবে জবাব দেবে অথবা অনুরূপভাবে ফিরিয়ে দেবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব কিছুর হিসাব রাখেন।”
— (সুরা নিসা, আয়াত : ৮৬)

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন