প্রতিদিনের ডায়েটে খাবার রাখলে সুস্থ থাকা সম্ভব। ডায়েটে সুস্থ, ফিট এবং রোগমুক্ত থাকতে হলে শুধু ব্যায়াম করলেই হবে না এর সঙ্গে দরকার পরিমিত ও সুষম খাদ্যাভ্যাস। প্রতিদিনের খাবারে এমন কিছু উপাদান রাখা উচিত যা শরীরকে ভেতর থেকে শক্তি দেয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরের যাবতীয় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সঠিক কার্যকারিতায় সহায়তা করে।
ডায়েটে প্রতিদিনের খাবারে এই সহজ ও সহজলভ্য উপাদানগুলো রাখলে শরীর পাবে প্রয়োজনীয় পুষ্টি, মন থাকবে চাঙ্গা এবং রোগের ঝুঁকি কমবে। কোনো বিশেষ খাদ্য একাই সুস্থ রাখবে না, ডায়েটে বরং সব মিলিয়ে একটি ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যাভ্যাসই সুস্থতার মূল চাবিকাঠি।
প্রতিদিনের ডায়েটে কোন কোন খাবার রাখলে সুস্থ থাকা সম্ভব

সবুজ শাকসবজি
পালং শাক, মেথি শাক, সরিষা শাকসহ সবুজ পাতাযুক্ত শাক আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এই উপাদানগুলো শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে, হজম শক্তি বাড়াতে এবং রক্তাল্পতা রোধে সহায়তা করে। প্রতিদিন অন্তত একবেলা শাক খাওয়ার চেষ্টা করুন।
বেরি জাতীয় ফল
ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি, রাস্পবেরি—এই ফলগুলো ভিটামিন C ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। এগুলো শরীরে ফ্রি র্যাডিকেল কমায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং বয়সজনিত নানা রোগ প্রতিরোধ করে।
বাদাম ও বীজ
আখরোট, আমন্ড, চিয়া বীজ, তিসি ও সূর্যমুখী বীজে থাকে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ওমেগা-৩, ফাইবার ও প্রোটিন। এগুলো হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়ায়, মস্তিষ্কের জন্য উপকারী এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলুতে রয়েছে ফাইবার, ভিটামিন এ, বিটা-ক্যারোটিন ও পটাসিয়াম। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে, হজমে সহায়তা করে এবং ওজন কমাতে কার্যকর।
অ্যাভোকাডো
এতে রয়েছে স্বাস্থ্যকর চর্বি, ভিটামিন ই, পটাসিয়াম ও ফাইবার। এটি হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং ত্বক ও চুলের জন্যও খুব উপকারী।

ডিম
ডিমে রয়েছে পূর্ণাঙ্গ প্রোটিন ও ৯টি প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড। পাশাপাশি ভিটামিন বি১২, ডি, কোলিন ও জিঙ্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদানও রয়েছে। প্রতিদিন একটি করে ডিম খেলে পেশি মজবুত হয়, মস্তিষ্ক সচল থাকে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
ডাল ও মটরশুঁটি
মসুর, মুগ, ছোলা, লাল লোবিয়া ও কিডনি বিনে রয়েছে প্রোটিন, ফাইবার, আয়রন এবং ফোলেট। নিরামিষভোজীদের জন্য এগুলো প্রোটিনের দারুণ উৎস। এছাড়া, ডাল রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে।
রসুন
রসুনে থাকে ‘অ্যালিসিন’ নামক অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান, যা শরীরের সংক্রমণ প্রতিরোধ করে, কোলেস্টেরল কমায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। প্রতিদিন রান্নায় রসুন ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।

দই
দইয়ে থাকে প্রোবায়োটিক, যা হজমে সহায়তা করে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এটি ক্যালসিয়াম ও প্রোটিনের ভালো উৎস। প্রতিদিন এক বাটি টক দই খেলে হাড় শক্তিশালী হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
ডাল
ভিটামিন বি, পটাসিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন ও ম্যাগনেসিয়ামের উৎস ডাল। এছাড়া উদ্ভিজ্জ প্রোটিনেরও চমৎকার উৎস এটি। ফাইবার সমৃদ্ধ ডাল প্রতিদিন খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়।

আপেল
প্রতিদিন একটি করে আপেল খান। সুস্থ থাকবেন দীর্ঘদিন। প্রচুর পরিমাণে ফাইবার মেলে ফলটি থেকে। নিয়মিত আপেল খেলে হার্ট অ্যাটাক ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে।
প্রতিদিনের খাবারে এই সহজ ও সহজলভ্য উপাদানগুলো রাখলে শরীর পাবে প্রয়োজনীয় পুষ্টি, মন থাকবে চাঙ্গা এবং রোগের ঝুঁকি কমবে। কোনো বিশেষ খাদ্য একাই সুস্থ রাখবে না, বরং সব মিলিয়ে একটি ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যাভ্যাসই সুস্থতার মূল চাবিকাঠি।
প্রতিদিনের খাবারে এই সহজ ও সহজলভ্য উপাদানগুলো রাখলে শরীর পাবে প্রয়োজনীয় পুষ্টি, মন থাকবে চাঙ্গা এবং রোগের ঝুঁকি কমবে। কোনো বিশেষ খাদ্য একাই সুস্থ রাখবে না, বরং সব মিলিয়ে একটি ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যাভ্যাসই সুস্থতার মূল চাবিকাঠি।
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন