শনিবার, ০৯ আগষ্ট ২০২৫

শিরোনাম

‘ঢাবিতে যারা ছাত্রলীগ করত, তারা এখন কোথায়?’

শনিবার, আগস্ট ৯, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে চলমান ছাত্র রাজনীতি ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা ছাত্রলীগ করত, তারা এখন কোথায়? রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন, ছাত্র রাজনীতির কাঠামোগত সংস্কারের দাবি না করে যারা স্লোগান দিচ্ছে ১,২,৩,৪, পু*কি মার…..! এরা কি আদৌও সাধারণ শিক্ষার্থী?’

তার ভাষায়, ‘আমি নিজেও সাধারণ শিক্ষার্থী ছিলাম। সাধারণ শিক্ষার্থীদের আচরণ আমি বুঝি। এসব স্লোগান পরিকল্পিত উসকানি। কোনো সাধারণ শিক্ষার্থীর মুখ থেকে এমন অশ্রাব্য স্লোগান বের হয়না’।

শনিবার (৯ আগস্ট) সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে, শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলে আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করে ছাত্রদল। এ ঘটনায় হলে থাকা অনেক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

অন্যদিকে এক ফেসবুক পোস্টে ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে শুক্রবার রাতের মধ্যে তা স্থগিত করার আল্টিমেটাম দেন ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক সদস্য সচিব উমামা ফাতেমা।

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আজ (শুক্রবার) রাতের মধ্যে কমিটি স্থগিত না হলে শিক্ষার্থীরা কঠোর পদক্ষেপ নেবে।

এ বিষয়ে রাশেদ খান বলেন, ‘হলে ছাত্র সংগঠনগুলো কমিটি দিতে পারবেনা বুঝলাম, কিন্তু ডাকসু নির্বাচনে হল সংসদে প্যানেল দিতে পারবে? তখন আবার আরেক দফা আন্দোলন হবে যে, ছাত্র সংসদে রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের প্যানেল বাতিল চাই। অন্যথায় এরা ডাকসু রুপে ফিরে এসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নির্যাতন চালাবে… এরপর? এরপর দাবি উঠবে কেন্দ্রীয় সংসদে ছাত্র সংগঠনগুলোর প্যানেল দিতে পারবে না! শুধুমাত্র সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্যানেল দিতে পারবে!’

এ সময় তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, কিন্তু সেই সাধারণ শিক্ষার্থী আসলে কারা? রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন, ছাত্র রাজনীতির কাঠামোগত সংস্কারের দাবি না করে যারা স্লোগান দিচ্ছে ১,২,৩,৪, পু*কি মার…..! এরা কি আদৌও সাধারণ শিক্ষার্থী? আমি নিজেও সাধারণ শিক্ষার্থী ছিলাম। সাধারণ শিক্ষার্থীদের আচরণ আমি বুঝি। এসব স্লোগান পরিকল্পিত উসকানি। ’

‘কোনো সাধারণ শিক্ষার্থীর মুখ থেকে এমন অশ্রাব্য স্লোগান বের হয়না’ দাবি করে সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, ‘রাজনীতির মধ্যেও এক মহরাজনীতি থাকে। এখন আমার প্রশ্ন হলো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা ছাত্রলীগ করত এরা এখন কোথায়?’

তার ভাষ্যে, ‘১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে ছাত্রলীগের বহু নেতাকর্মী ছিল। কারণ কোটা তারাও পছন্দ করত না। কিন্তু হাসিনা ছিল তাদের পছন্দের। হাসিনার পতন আন্দোলন শুরু হলে তারা বলেছিল কোটা বাতিলের দাবি পর্যন্ত ছিলাম, এখন যা হচ্ছে, তার সঙ্গে নাই! সেই হাসিনা পতনের আন্দোলনে না থাকা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও ‘কোটা বাতিলের আন্দোলনে ছিলাম’ দোহাই দিয়ে হলে থাকছে…! তারাও সাধারণ শিক্ষার্থী বেশে আন্দোলনে ঢুকে ছাত্র রাজনীতি বাতিল চাচ্ছে। কারণ ওরা রাজনীতি করতে পারছেনা, বাকিদের রাজনীতি কেন থাকবে?’

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন