বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক:
৫৬ তম চট্টগ্রাম ‘বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ উদযাপন করতে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে রয়েছে আনন্দ শােভাযাত্রা, প্রবন্ধ উপস্থাপন, আলােচনা সভা, স্মৃতিচারণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
আজ মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।
এসময় উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য তুলে ধরে বলেন, দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের সর্ববৃহৎ এ বিশ্ববিদ্যালয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর । চারটি বিভাগ, সাত জন শিক্ষক ও ২০০ শিক্ষার্থী নিয়ে শুরু
হওয়া এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে আছে নয়টি অনুষদ, ৪৮টি বিভাগ ও ছয়টি ইনস্টিটিউট। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৯ শত শিক্ষক ও ২৮ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে।
উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার বলেন,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করে যাবো। আমার সুদক্ষ সহকর্মীদের সাথে নিয়ে পথ চলতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে গুরু দায়িত্ব রাষ্ট্রপতি আমার কাঁধে দিয়েছেন, তা সৎ ও নিষ্ঠার সাথে পালন করবো। আর এ পথচলায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে একটি পরিবারের মত এগিয়ে যেতে চাই।
তিনি আরও বলেন, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রিয় ও গৌরবােজ্জ্বল ভূমিকা রেখেছে চবির ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারিবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপ-উপাচার্য ড. বেনু কুমার দে, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাহবুব আলম। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম মনিরুল হাসান, প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়া প্রমুখ।
প্রসঙ্গত ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হওয়ায় দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে প্রতিবছর এ দিনটিকে ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়।
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন