রাজধানীর পল্লবীতে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনে গাড়িচালক ইশতিয়াক হোসেন জনি হত্যা মামলায় পল্লবী থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহিদুর রহমান ও পলাতক এএসআই কামরুজ্জামানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। অপর আসামি সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রাশেদুল হাসানের যাবজ্জীবন দণ্ড কমিয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও রাসেলকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১১ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে এ মামলায় পাঁচ আসামির মধ্যে তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং দুইজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন বিচারিক আদালত। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামিরা।
আরও পড়ুন
প্লট দুর্নীতি: শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
গত ৭ আগস্ট এ মামলার দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিদের করা আপিলের শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজকের তারিখ ধার্য করা হয়।
দণ্ডিত পাঁচ আসামির মধ্যে কামারুজ্জামান (তৎকালীন এএসআই) শুরু থেকে পলাতক রয়েছে। অন্য আসামি সুমন সাজাভোগ করে বেরিয়েছেন। রায়ে অসন্তোষ জানিয়েছেন জনির পরিবার। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় পুলিশের সোর্স দুই ভাই ইশতিয়াক হোসেন জনি ও ইমতিয়াজকে ধরে নিয়ে যায় পল্লবী থানা পুলিশ। থানায় নিয়ে দুই ভাইকে নির্যাতন করা হয়। এতে জনির অবস্থা খারাপ হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন