সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

শিরোনাম

দক্ষ কর্মী ভিসায় বিপুল ফি, উচ্চশিক্ষার পর যুক্তরাষ্ট্রে থাকা অনিশ্চিত বহু বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর

শনিবার, অক্টোবর ৪, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

সিএন প্রতিবেদন: যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষ কর্মী বা এইচ-১বি ভিসায় এক লাখ ডলার ফি আরোপের সিদ্ধান্তে বড় সংকটে পড়তে যাচ্ছেন দেশটিতে পড়াশোনা শেষে চাকরির খোঁজে থাকা বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জারি করা এ নির্বাহী আদেশের ফলে বিদেশী কর্মী নিয়োগে অনাগ্রহী হয়ে উঠছে দেশটির প্রতিষ্ঠানগুলো।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষে যুক্তরাষ্ট্রে স্নাতকোত্তর করা তরিকুল ইসলাম (ছদ্মনাম) বর্তমানে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। তবে ওপিটি পিরিয়ড প্রায় শেষ পর্যায়ে। তিনি বলেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠান বছরে আমাকে ৮০ হাজার ডলার বেতন দেয়। কিন্তু নতুন নিয়মে ভিসার জন্য যদি এক লাখ ডলার স্পন্সর করতে হয়, তাহলে তারা আমাকে রাখবে কিনা নিশ্চিত নই।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক প্রাক্তন শিক্ষার্থী জারিফ রহমান জানান, নতুন ফি ঘোষণার পর স্থানীয়দের অগ্রাধিকার দিচ্ছে অনেক প্রতিষ্ঠান। ফলে বিদেশীদের জন্য চাকরি পাওয়া আরও কঠিন হয়ে গেছে।

অভিবাসন বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশ থেকে উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া শিক্ষার্থীরা সাধারণত এফ-১ ভিসায় প্রবেশ করেন। পড়াশোনা শেষে তারা ওপিটি পিরিয়ডে কাজ করার সুযোগ পান। এরপর কোনো প্রতিষ্ঠান তাদের রাখতে চাইলে এইচ-১বি ভিসার জন্য আবেদন করা হয়। কিন্তু নতুন ফি আরোপের ফলে বিশেষ করে যাদের বেতন তুলনামূলক কম, তাদের ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলো বিকল্প চিন্তা করবে।

আন্তর্জাতিক শিক্ষা সংক্রান্ত তথ্য বলছে, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী শিক্ষার্থী ছিলেন ১৭ হাজারের বেশি, যা এক দশকে ২৫০ শতাংশ বৃদ্ধি। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নতুন নিয়ম কার্যকর হলে এ প্রবৃদ্ধি বড় ধাক্কা খাবে।

মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত কয়েকজন বাংলাদেশী শিক্ষকও আতঙ্ক প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, এক বছরের বেতনের সমপরিমাণ ফি দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো বিদেশী কর্মী ধরে রাখতে চাইবে না। ফলে অনেককেই দেশে ফিরতে হতে পারে।

এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের তরুণদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা শেষে ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্নকে কঠিন করে তুলছে।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন