জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। রোববার বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় আমরা এখন একেবারে শেষ ধাপে। মনে হচ্ছে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দিকেই এগোতে পেরেছি।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের প্রতিনিধিত্ব করলেও তাদের সিদ্ধান্তে জনগণের অনুমোদন নেওয়া জরুরি। জনগণ যদি জানায় যে তারা জুলাই জাতীয় সনদকে সমর্থন করছে, তাহলে সেটিই হবে জনগণের চূড়ান্ত অভিমত। তিনি বলেন, এ ধরনের গণভোট আয়োজনের জন্য সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন নেই। রেফারেন্ডামের যে ধারা আগের সরকার বাতিল করেছিল, হাইকোর্টের রায়ে সেটি পুনর্বহাল হয়েছে। এখন নির্বাচন কমিশনকে এখতিয়ার দিতে অর্ডিন্যান্স জারি করলেই একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট নেওয়া সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, রেফারেন্ডামের মাধ্যমে যে জনরায় আসবে, সেটাই হবে সার্বভৌম রায়। সংসদের সব সদস্য সেটি মানতে বাধ্য থাকবেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, জনরায়ই চূড়ান্ত। জনগণ পক্ষে রায় দিলে সংসদ ও সংসদ সদস্যদের তা মানতেই হবে। সংবিধানের ৭৮ অনুচ্ছেদের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, সংসদের ভেতরের কার্যক্রম আদালতে প্রশ্নবিদ্ধ করা যায় না। সংসদ সব সময় সার্বভৌম।
জুলাই সনদের বিভিন্ন ধারায় মতপার্থক্য (নোট অব ডিসেন্ট) থাকা প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, সব দল সনদে সই করবে, সেটি জনগণের সামনে প্রকাশ করা হবে। এরপর যে দল ম্যান্ডেট পাবে, তারা তাদের অবস্থান অনুযায়ী কাজ করতে পারবে। বৈঠকের শেষ দিকে তিনি বলেন, অনেকে পরবর্তী সংসদ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। কিন্তু বাস্তবায়নের ক্ষেত্র তো সংসদই—সুতরাং এখানেই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন