সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

শিরোনাম

ফ্রান্সে নতুন সরকার ঘোষণা, প্রধানমন্ত্রী লেকর্নু পুনর্বহাল

সোমবার, অক্টোবর ১৩, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ রোববার নতুন সরকার ঘোষণা করেছেন। এর আগে আসন্ন অর্থবছরের বাজেট সংসদে উপস্থাপনের নির্ধারিত সময়সীমার আগেই সরকার গঠন সম্পন্ন করতে তিনি নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী সেবাস্তিয়ান লেকর্নুর সঙ্গে টানা বৈঠক করেন।

লেকর্নুর নতুন মন্ত্রিসভায় জ্যাঁ-নোয়েল ব্যারো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে বহাল থাকছেন, আর বিদায়ী শ্রমমন্ত্রী ক্যাথেরিন ভত্রিন পেয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব। অর্থমন্ত্রী হয়েছেন ম্যাক্রোঁ-ঘনিষ্ঠ রোলাঁ লেস্কুর।

প্যারিস পুলিশ প্রধান লরঁ নুনিয়েজকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়েছে; তিনি দক্ষিণপন্থী রিপাবলিকান পার্টির (এলআর) ব্রুনো রেতাইয়োর স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। পরিবেশ রূপান্তর মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন বিশ্ব বন্যপ্রাণী তহবিলের (ডব্লিউডব্লিউএফের) সাবেক ফরাসি পরিচালক মোনিক বারবুত।

গেরাল্ড দারমানিন বিচারমন্ত্রীর পদে বহাল থাকছেন, আর সংস্কৃতিমন্ত্রী রাশিদা দাতিও তার পদ ধরে রেখেছেন—যদিও তিনি আগামী বছর দুর্নীতির অভিযোগে বিচারাধীন হবেন।

এক্স-এ দেওয়া বার্তায় প্রধানমন্ত্রী লেকর্নু বলেন, ফ্রান্সের জন্য বছরের শেষের আগেই বাজেট প্রণয়নের লক্ষ্য নিয়ে একটি মিশনভিত্তিক সরকার গঠন করা হয়েছে। দেশের স্বার্থই এখন একমাত্র অগ্রাধিকার।

গত শুক্রবার, আগের সরকার ভেঙে পড়ার মাত্র চার দিন পর ম্যাক্রোঁ আবারও লেকর্নুকে নিয়োগ দেন। তিনি সোমবার সংসদে ২০২৬ সালের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করবেন, যা পর্যালোচনার জন্য সাংবিধানিকভাবে ৭০ দিনের সময়সীমা নির্ধারিত।

লেকর্নু বলেছেন, তিনি সব মূলধারার রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে কাজ করতে চান এবং এমন মন্ত্রিসভা গঠন করবেন যারা ‘দলীয় স্বার্থে আবদ্ধ নয়।’

ফরাসি রাজনীতিতে বর্তমানে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। ঋণ ও ঘাটতি কমাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাপের মধ্যে দেশটি কৃচ্ছ্রসাধন বাজেট প্রণয়ন করছে। ব্যয়সংকোচনমূলক পদক্ষেপই এর আগে লেকর্নুর দুই পূর্বসূরিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়েছে।

এদিকে, সোমবার ম্যাক্রোঁ মিশরে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি সমর্থনে, যা বাজেট উপস্থাপনের সময়সূচি কিছুটা বিলম্বিত করতে পারে।

ফ্রান্সে রাজনৈতিক সংকট আরও গভীর হতে পারে যদি লেকর্নু সংসদের আস্থা অর্জনে ব্যর্থ হন। সেক্ষেত্রে নতুন বাজেট পাস না হওয়া পর্যন্ত সরকারকে জরুরি ব্যয় অনুমোদন আইনের ওপর নির্ভর করতে হবে।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন