নিউইয়র্ক সিটির স্কুল ব্যবস্থাপনার নিয়ন্ত্রণ কে করবে—এই প্রশ্ন এখন শহরের সবচেয়ে বড় বিতর্কের বিষয়। শহরের প্রায় ৯ লাখ শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারদের ভবিষ্যতকে প্রভাবিত করতে পারে এই সিদ্ধান্ত।
ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানি মেয়রাল নিয়ন্ত্রণের বিরোধী। তিনি মনে করেন, এই নিয়ন্ত্রণ স্কুল ব্যবস্থাকে অপ্রতিনিধিসভিত করেছে এবং পরিবর্তন প্রয়োজন। মামদানির এই অবস্থান শহরের প্রগতিশীল পরিবার এবং শিক্ষক ইউনিয়নের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। মামদানি চান, শিক্ষানীতি ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্তগুলোতে স্কুল বোর্ড এবং অভিভাবকদের আরও সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত হোক। যদিও জুন মাসের প্রাইমারিতে শহরের প্রভাবশালী শিক্ষক ইউনিয়ন মামদানিকে সমর্থন জানিয়েছিল।
অন্যদিকে, তৃতীয়পক্ষের প্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো মেয়রের এই ক্ষমতা সীমিত করার তীব্র বিরোধী। তিনি বলছেন, মেয়রাল নিয়ন্ত্রণ বন্ধ করা শিক্ষাব্যবস্থার জন্য “বড় ভুল” এবং এটি শিক্ষার্থীদের জন্য ক্ষতিকর প্রমাণিত হতে পারে। কুমো ও কিছু শিক্ষাব্যবস্থার কর্মকর্তা মনে করেন, মেয়রের কাছে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা থাকলে দ্রুত এবং কার্যকরভাবে সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।
নিউইয়র্কে সাধারণত স্কুল বোর্ড নির্বাচিত হয়। তারা শিক্ষানীতি নির্ধারণ, পাঠ্যপুস্তক অনুমোদন এবং সুপারিনটেনডেন্ট নিয়োগের দায়িত্বে থাকে। কিন্তু সিটিতে মেয়রের হাতে এই বিষয়ে প্রায় অপ্রতিবন্ধী ক্ষমতা রয়েছে। তাই মেয়রাল নিয়ন্ত্রণ রক্ষা করা বা সীমিত করার বিষয়টি রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বিতর্ক শুধু প্রশাসনিক ক্ষমতার নয়, বরং শিক্ষার্থীর অধিকার, অভিভাবকের অংশগ্রহণ ও স্কুলের স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পর্কিত। ভোটাররা এখন দেখছেন, কোন প্রার্থী শিক্ষাব্যবস্থাকে গণতান্ত্রিক ও কার্যকর রাখার দায়িত্ব নেওয়ার জন্য বেশি যোগ্য। সমাধান যাই হোক, নির্বাচনী ফলাফলের সঙ্গে স্কুলের ভবিষ্যত জড়িত।



চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন