এম. মতিন, চট্টগ্রাম:
তৃতীয় ধাপে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের নির্বাচনের ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে নৌকা প্রতীকে ৩ জন ও স্বতন্ত্র (আ.লীগের বিদ্রোহী) ২ জন প্রার্থী বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
রবিবার (২৮ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বয়োজীদ আলম এই ফলাফল ঘোষণা করেন।
এদিকে ইতিমধ্যে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ৮ ইউপিতে বিনাভোটে নৌকা প্রতীকে ৮ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এ ৮টি ইউনিয়নে শুধুমাত্র সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ও সাধারণ সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। অপর ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ২ হোচনাবাদ, বেতাগী, ইসলামপুর, দক্ষিণ রাজানগর ও ১৫ নং লালানগর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ৫টি ইউপিতে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনীত প্রার্থী ৩টিতে জয় পেলেও ২টিতে জয় পেয়েছে দলটির বিদ্রোহী প্রার্থীরা।
ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, ২ নং হোছনাবাদ ইউপিতেআওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী মো: দানু মিয়া নৌকা প্রতীকে ৬ হাজার ৫ শত ৯০ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মির্জা মো: জসিম উদ্দিন আনারস প্রতীক নিয়ে ৫শত ৯৭ ভোট পান।
৭ নং বেতাগী ইউনিয়নে আনারস প্রতীক নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী শফিউল আলম শফি ৮ হাজার ৩ শত ২৮ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীক নিয়েআ’লীগের মনোনীত প্রার্থী নুর কুতুব আলম পেয়েছেন ২ হাজার ৫ শত ৯২ ভোট।
১৩ নং ইসলামপুর ইউপিতে নৌকা প্রতীক নিয়ে ৭ হাজার ৪ শত ৭২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন আ’লীগের সিরাজ উদ্দিন চৌধুরী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সিরাজদৌল্লা দুলাল আনারস প্রতীক নিয়ে ৭৪ ভোট পান।
১৪ নং দক্ষিণ রাজানগর ইউপিতে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আহমদ ছৈয়দ তালুকদার নৌকা প্রতীকে ৭ হাজার ১শত ১৬ ভোট পেয়ে পূনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকে বিদ্রোহী প্রার্থী এনামুল হক মিয়া পান ৩ হাজার ১শত ২৮ ভোট।
১৫নং লালানগর ইউপিতে আনারস প্রতীক নিয়ে ৪ হাজার ৩ শত ৩৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রফিকুল ইসলাম তালুকদার। এখানে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মীর তৌহিদুল ইসলাম কাঞ্চন নৌকা প্রতীক নিয়ে ২ হাজার ৯ শত ৫৮ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বয়োজীদ আলম বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আমরা সবসময় সতর্ক ছিলাম। নির্বাচনে ব্যাঘাত ঘটার মত কোন ঘটনা ঘটেনি। সব ধরনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্টাইকিং ফোর্স প্রস্তুত রাখা ছিল। ফলে নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে ছিল। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন।
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন