শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫

শিরোনাম

যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়াকে হুমকি উত্তর কোরিয়ার

শনিবার, নভেম্বর ৮, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

উত্তর কোরিয়া সিউল-ওয়াশিংটনের সাম্প্রতিক নিরাপত্তা আলোচনা এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন বিমানবাহী রণতরির আগমন নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। শনিবার (৮ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী নো কোয়াং চোল সতর্ক করে বলেছেন, প্রয়োজন হলে তারা আরও পদক্ষেপ নেবেন।

নো কোয়াং চোল অভিযোগ করেন, উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্ত পরিদর্শনের পর সিউলে অনুষ্ঠিত সাম্প্রতিক নিরাপত্তা বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া একযোগে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তিনি বলেন, দুই দেশ পারমাণবিক ও প্রচলিত অস্ত্রের সমন্বয় এবং উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নিবৃত্তকরণ (ডিটারেন্স) জোরদারের পাঁয়তারা করছে।

তার ভাষায়, ‘এটি আমাদের বিরুদ্ধে তাদের শত্রুতামূলক মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।’

এর একদিন আগে, পূর্ব উপকূলের সাগরে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে উত্তর কোরিয়া। ওয়াশিংটনের নতুন সাইবার-সম্পর্কিত অর্থপাচার মামলায় উত্তর কোরিয়ার কয়েক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পরপরই এই পদক্ষেপ নেয় পিয়ংইয়ং।

অন্যদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়া নিরাপত্তা বৈঠক নিয়ে পিয়ংইয়ংয়ের সমালোচনা দুঃখজনক।

উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান বন্দরে পরমাণু শক্তিচালিত মার্কিন রণতরি ‘জর্জ ওয়াশিংটন’-এর আগমন ওই অঞ্চলে উত্তেজনা বৃদ্ধি করেছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আমরা শক্তির বলে নিরাপত্তা রক্ষার নীতিতে শত্রুর হুমকির বিরুদ্ধে আরও আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ দেখাব।’

তবে দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনীর দাবি, রণতরিটি রসদ সংগ্রহ এবং নাবিকদের কিছু অবকাশের সুযোগ দিতে বন্দরে এসেছে।

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ মঙ্গলবার বলেন, ওয়াশিংটন-সিউল জোটের মূল লক্ষ্য উত্তর কোরিয়াকে বশে রাখা। তবে এশিয়ার অন্যান্য সম্ভাব্য হুমকির ক্ষেত্রে দক্ষিণ কোরিয়ায় মোতায়েনকৃত মার্কিন সেনাদের কার্যক্রমে নমনীয়তা আনা হবে।

আঞ্চলিক বৈঠকের প্রাক্কালে উত্তর কোরিয়া ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষাও চালায়। যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড জানায়, সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকে তারা তাৎক্ষণিক কোনও হুমকি হিসেবে বিবেচনা করছে না। তবে এটি উত্তর কোরিয়ার অস্থিতিশীল আচরণের প্রমাণ।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন