বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

শিরোনাম

পরীর পাহাড়ের অবৈধ সব স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

শুক্রবার, জানুয়ারী ৭, ২০২২

প্রিন্ট করুন
porir pahar 1

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটির কোতোয়ালি থানার পরীর পাহাড়ের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছ্নে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কেএম আলী আজম।

বৃহস্পতিবার (৬  জানুয়ারি) সকালে সিটির চান্দগাঁও থানাধীর কালুরঘাটের অদূরে সমন্বিত অফিস এলাকা পরিদর্শন শেষে পরীর পাহাড় প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কামরুল হাসান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলার প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।

কেএম আলী আজম আরো বলেন, ‘পরীর পাহাড় একটি ঐতিহ্যবাহী পাহাড়। এ পাহাড় বহুকালের ঐতিহ্য বহন করে আসছে। তাই এটি সংরক্ষণ করতে হবে। এ পাহাড়কে সংরক্ষণের জন্য মূলত আমাদের এ সমন্বিত দফতর। ‘প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন, পরীর পাহাড়ের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য। শুধু পরীর পাহাড় নয়, দেশের সব জায়গার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করছি’।’

তিনি বলেন, ‘প্রায় ৭৫ একর জমি নিয়ে আমরা সমন্বিত অফিস কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের চিন্তা ভাবনা করছি। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি অবহিত হয়েছেন। আমরা পরবর্তী পদ্ধতিগত দিকগুলো অনুসরণ করে এ বিষয়ে, যা করণীয় সেটি করব। উন্নত দেশের সরকারি কাজ কর্ম বা অফিসের কাজ কর্মের পরিবেশ ভাল করা একান্ত প্রয়োজন। সুন্দর অফিসে বসে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ করবেন। সেখান থেকে আমরা ভালো কাজ, গুণগত কাজ উপহার পাবো। এটি প্রধানমন্ত্রীর একটি নির্দেশনা।’

কেএম আলী আজম বলেন, ‘এখন থেকে আমরা যে সব অফিস করছি, তার পরিবেশ, চারপাশের প্রতিবেশ, ভেতরের অবয়বে অনেক পরিবর্তন আসছে। এসব কিছুর চিন্ত করেই এ সমন্বিত দফতর। এখানে আবাসনের ব্যবস্থা থাকবে, চিকিৎসা সেবা, ক্লাব ঘরের ব্যবস্থা থাকবে। যারা সেবা গ্রহীতা তারা আসবেন, কি কি সুবিধা প্রয়োজন, তাদের সেবা দেওয়ার জন্য যা যা প্রয়োজন, তার সবকিছুই এখানে থাকবে। সুবিধাভোগীদের সব বিষয় মাথায় রেখেই আমরা এ কার্যক্রম শুরু করব। আমরা আপাতত ৭৫ একর নিয়ে এগুচ্ছি। পরে প্রয়োজন অনুসারে এটি বৃদ্ধি করা হবে। অন্য জমি অধিগ্রহণ করব। সরকারের সব বিভাগই প্রয়োজনীয়। কোন একটি গুরুত্বপূর্ণ আবার কোন একটি বিভাগ গুরুত্বহীন-এমনটি নয়। সবার সমন্বিত প্রয়াসেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’

কর্ণফুলী নদীর তীরে হওয়ায় কোনও প্রভাব পড়বে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ রকম প্রকল্পগুলো করার আগে আমরা পরিবেশ অধিদফতরের একটা ইমপ্যাক্ট এনালাইসিস করে নেব। যদি পজেটিভ আসে, তখন পরিবেশ অধিদফতরের সাথে যোগাযোগ করে পদ্ধতিগতভাবে তাদের অনুমোদন নিয়ে নেব।’

সিনিয়র সচিব আলী আজম বলেন, ‘চট্টগ্রাম দেশের দ্বিতীয় রাজধানী। এ শহরের একটা আলাদা ঐতিহ্য আছে। সমন্বিত দফতরে প্রধানমন্ত্রীর জন্য একটা ছোট অফিসের ব্যবস্থা আমরা রাখতে চাই। আমার দেখে খুব ভাল লাগছে। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে প্রস্তাবনা রাখব।

সিএন/এমএ

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন