চট্টগ্রাম: অটোডাবল সিস্টেম জরিমানা বাতিল করে সহনীয় পর্যায়ে জরিমানা করা, ২০১৩ সালের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বেকার শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে সিটিতে চার হাজার নতুন সিএনজি অটোরিকশা গাড়ীর রেজিষ্ট্রেশন প্রদান, গ্যারেজগুলোতে দারোয়ানের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, চট্টগ্রাম জেলাতে অপরিকল্পিত রেজিষ্ট্রেশন বন্ধ করা, চালকদের সহজ শর্তে ফিল্ড টেষ্টের মাধ্যমে লাইসেন্স দেয়া, চালকদের নিয়োগ পত্র/পত্যয়নপত্র বাধ্যতা মূলক করা, জেলা-উপজেলাগুলোতে পার্কিং চার্জের নামে অবৈধ চাঁদাবাজি বন্ধ করার দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়েছে চট্টগ্রাম অটোরিকশা-অটোটেম্পু শ্রমিক ইউনিয়ন।
এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সমাবেশ চট্টগ্রাম পুরাতন রেলওয়ে ষ্টেশন চত্বরে ইউনিয়নের সভাপতি কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন পূর্বাঞ্চলের সভপতি মৃনাল চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন আঞ্চলিক কমিটি সাধারণ সম্পাদক অলি আহমদ। প্রধান বক্তা ছিলেন ইউনিয়নের আইন উপদেষ্টা এডভোকেট ভুলন লাল ভৌমিক। বক্তব্য রাখেন হালকা মোটরযান শ্রমিক ইউনিয়নের সিনিয়র সহসভাপতি শামসুল ইসলাম আরজু, ইউনিয়েনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মোহাম্মদ বিপ্লব, যুগ্ম সম্পাদক মো. সোলায়মান, অর্থ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, মো. আলম, কামাল ভান্ডারী, মো. হাসান মোল্লা, মো. মনির, রুবেল।
মৃনাল চৌধুরী বলেন, ‘চট্টগ্রাম সিটির জনসংখ্যার তুলনায় সিএনজি অটোরিকশা খুবই কম। অন্য দিকে, অটোরিকশা শ্রমিকের সংখ্যা অনেক বেশী। নতুন চার হাজার গাড়ী রেজিষ্ট্রেশন দিলে এক দিকে বেকারত্ব দূর হবে, অন্য দিকে যাত্রী সেবা নিশ্চিত হবে।
তিনি আরো বলেন, ‘অটোডাবল সিস্টেম জরিমানার ফলে চালকরা আজ নি:স্ব। একটি মামলার জরিমানা দিতে গিয়ে শ্রমিকদের এক মাসের ইনকাম চলে যায়। তাই দ্রুত পলস মেশিনে মামলা বন্ধসহ ইউনিয়নের সাত দফা দাবি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
ভুলন লাল ভৌমিক বলেন, মানুষের জন্য আইন, ‘আইনের জন্য মানুষ নয়। শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে শ্রমবান্ধব আইন প্রনয়ন করতে হবে। অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের যৌক্তিক সাত দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে আন্তরিক হতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি থাকলে দেশের শ্রমজীবী মানুষগুলো সম্পদে পরিণত হবে।’
অলি আহমদ বলেন, ‘পরিবহন সেক্টরে যত্রতত্র মামলা দিয়ে চালকদের হয়রানী, দারোয়ানের নামে চাঁদাবাজী বন্ধ ও চালকদের নিয়োগপত্র দেয়ার মাধ্যমে তাদের ন্যায্যদাবী বাস্তবায়ন করা সময়ে দাবি। স্মারকলিপি দেয়ার পরও এসব দাবি বাস্তবায়ন না হলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।’
সমাবেশ শেষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। সাত দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত সিটির থানায় থানায় ও জেলা-উপজেলায় নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি চলবে।
সিএন/এমএ
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন