ইফতেখার ইসলাম: নিউইয়র্কসহ সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রে বেড়েছে বন্দুক হামলার ঘটনা। বিশেষ করে স্কুলগুলোতে হামলার প্রবণতা দিন দিন বাড়তে শুরু করেছে। এতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। রাজ্য সংশ্লিষ্টরা খুঁজছেন পরিস্থিতি মোকাবেলার উপায়। আর এমন পরিস্থিতি মোকাবেলায় ‘অ্যালিসার আইন’ হাতিয়ার হিসেবে কাজ করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
জানা গেছে, অ্যালিসার আইন ২০১৯ সালে নিউজার্সিতে প্রথম পাশ হয়। এরপর ২০২০ সালে ফ্লোরিডা এই বিলটি পাশ করে। এই আইনের আওতায় স্কুলের শিক্ষার্থীদের ‘প্যানিক বোতাম’ ইনস্টল করা হয়। এই বোতামটি স্কুলকে স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে তাৎক্ষণিকভাবে সরাসরি যোগাযোগ করতে সহায়তা করে। এটি জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে এমন শিক্ষার্থীদেরও সাহায্য করতে পারে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, কোথাও হামলা হলে বা হামলার খবর পেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে দ্রুত খবর পৌঁছালে ক্ষতির সম্ভাবনা কম থাকে। নিউইয়র্কের স্কুলগুলোতে যদি এই পদ্ধতি চালু করা যায় তাহলে অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে দ্রুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য পাওয়া যাবে। অ্যালিসার আইন জরুরি পরিস্থিতিতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে যোগাযোগ সহজ করে তুলবে।
নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলির তথ্য অনুসারে, আইনটি ইতিমধ্যে নিউইয়র্কে পাস হয়েছে। এখন কেবল স্বাক্ষরের অপেক্ষা। এমনটা হলে নিউইয়র্ক তৃতীয় রাজ্য হিসেবে এই আইনের আওতায় আসবে।
এইদিকে আইনটির বিষয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করছেন অভিভাবকরাও। তারা বলছেন, আমাদের ছেলে মেয়েরা এখন স্কুলে মোটেও নিরাপদ নয়। সবসময় হামলার সংশয়ে থাকতে হয়। আইনটি বাস্তবায়িত হলে যে কোন পরিস্থিতি সহজে সহায়তা পাওয়া যাবে। তারা আরো বলেন, আমাদের যে কাজটা সবচেয়ে জরুরি তা হলো হামলাকারীদের থামানো। আর সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন অভিভাবকরা।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি টেক্সাসের উভালদে স্কুলে গণগুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনার সমসাময়িক কয়েক দিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বেশ কয়েকটি হৃদয়বিদারক গণগুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এরপর দেশব্যাপী অভিভাবকদের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তা ছড়িয়ে পড়ে। এসব ঘটনার পর অভিভাবকদের উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা হ্রাস করতে নিউইয়র্কের আইনপ্রণেতারা নতুন আইনের উদ্যোগ নিলেন।
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন