নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
জামার্ন থেকে পরিচালিত ডয়চে ভেলের ভার্চুয়াল টকশোতে এবারের অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ৷ ‘খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ শিরোনামের এই টকশোর উপস্থাপক ছিলেন ডয়েচে ভেলের বাংলা বিভাগের প্রধান খালেদ মুহিউদ্দিন। সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া নানা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেন তিনি।
প্রথমেই যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বাতিলের বিষয়ে জানতে চাইলে জেনারেল আজিজ বলেন, কতিপয় মিডিয়া এগুলো ছড়িয়েছে। অথচ কোন তথ্যসূত্র উল্লেখ করতে পারে নি। নিয়ম অনুযায়ী ভিসা বাতিল হলে আমাকে জানানোর কথা। জানিয়েছে?
এরপর উপস্থাপক প্রশ্ন করেন, আপনি রাজনৈতিক বিবেচনায় সেনা প্রধান হয়েছেন এমন অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে বলেন, সেনা প্রধান নিয়োগ সরকারের সুপারিশ অনুযায়ী মহামান্য রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দেন। এর সঙ্গে সবরকম যোগ্যতাকে অবশ্যই প্রাধান্য দেওয়া হয়। আমার সঙ্গে সেসময় আরও দুইজন ছিলেন। তবে শ্রদ্ধার সাথে বলছি বাকি দুজন থেকে আমার কিছু ক্ষেত্রে যোগ্যতা বেশি ছিলো। তাহলে কিভাবে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ প্রয়োজন?
বাংলাদেশ নিয়ে আল জাজিরায় প্রকাশিত আলোচিত “অল দ্যা প্রাইমিনিস্টার ম্যান” প্রতিবেদন প্রসঙ্গেও প্রশ্ন করেন খালেদ মহিউদ্দিন। সেনাপ্রধান থাকা অবস্থায় নিজের ভাইদের বাহিনীর জিনিসপত্র কেনাকাটার দায়িত্ব সম্পর্কে বলেন, আমি বিজিবি কিংবা সেনা প্রধান থাকাকালীন সময়ে ভাই কেন আমার কোনো আত্মীয়দের মধ্যে কাউকে কিছু (কন্ট্রাক্ট) দিয়েছি এর প্রমাণ দিতে পারবেন? এটা আমার চ্যালেঞ্জ।
তিনি আরও বলেন, আপনি আল জাজিরার প্রসঙ্গ বারবার নিয়ে আসছেন। অথচ তাদের প্রতিটি বিষয়ের খন্ডন করার জন্য যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ আছে। তারা বলছে মালয়েশিয়াতে আমি ভাইদের সঙ্গে দেখা করতে গেছি, কিন্তু তা সম্পূর্ণ অসত্য। সেখানে আমি সিঙ্গাপুরে অফিসিয়াল মিটিং এ গিয়েছিলাম। আসার পথে মালয়েশিয়াতে কয়েক ঘন্টার বিরতি নিয়েছিলাম।
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে ভূমিকা নিয়ে সেনা প্রধান বলেন, নির্বাচনে আমাদের ভূমিকা যেমন আছে তেমনি কিছু নিয়ম আছে। চাইলেই সবকিছু আমরা করতে পারি না। এক্ষেত্রে নির্বাচনে দায়িত্বরত অন্যান্য বাহিনী, কর্মকর্তাদের সঙ্গে কোলাবরেশন করে কাজ করতে হয়। সুতরাং কারো পক্ষে কিংবা কাউকে জেতানোর প্রশ্নই আসে না।
নির্বাচন নিয়ে সেনা প্রধানের মন্তব্য নিয়ে জানতে চাইলে বলেন, কখন কি বললাম সেটার জন্য সময়টা আগে দেখতে হবে। নতুবা প্রশ্নটি যথার্থ হবে না। কারণ নির্বাচনে সকালে এক পরিবেশ, বিকেলে আরেক পরিবেশ তৈরি হয়। এটা স্বাভাবিক। সুতরাং এক্ষেত্রে একটা মন্তব্য দিয়ে পুরো বিষয়কে জাস্টিফাই করার সুযোগ নেই।
সাবেক এই সেনাপ্রধান তার অবসর জীবন নিয়ে বলেন, ৩৯ বছর আমি সেনাবাহিনীতে কাটিয়েছি। ১৬ তম সেনা প্রধানের দায়িত্ব পালন করে এখন সম্পূর্ণ ফ্রী। এর পাশাপাশি এখন একটা বিষয়ে গবেষণায় আছি।
আরএইচ/সিএন
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন