শারমিন রিমা: ভিন্নমত পোষণ করায় দলছুট হয়ে জামায়াতে ইসলামীর সংস্কারপন্থীরা গত বছরের ২ মে নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে ‘আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)’ নামে আত্মপ্রকাশ করেছিল। নতুন এ দল ‘এবি পার্টির’ সদস্য সচিব মুজিবুর রহমান মঞ্জু সম্প্রতি ব্যক্তিগত সফরে নিউইয়র্কে এসেছেন। সেখানেই চলমান নিউইয়র্ককে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ‘বাংলাদেশে নতুন রাজনীতির জন্য সবাই মুখিয়ে আছে’ বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেছেন, নতুন যে প্রজন্ম আছে আজকে বাংলাদেশে বা দেশের বাইরে তারা সবাই মনে করছেন যে একটা নতুন রাজনীতি দরকার। আমাদের নতুন রাজনীতির দরকার হতো না, যদি না বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জামায়াত – এরা যারা আছে এরা যদি নিজে থেকে সংস্কার করতো। এরা তো কেউ সংস্কার করছে না। এরা দলের পরিস্থিতি বরং যে সংস্কারের কথা বলে তাকেই দল থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে। তাকেই দল থেকে বাদ দেয়া হচ্ছে। আমি নিজেও আমার দল থেকে বহিস্কৃত। আমার অপরাধ একটাই আমি যেটা বিশ্বাস করি সংস্কারের কথাটা সেটা পাবলিকলি জোর গলায় বলেছি। আমি স্বাধীনভাবে যে বোধ বিশ্বাস করি সেই রাজনীতির কথা বলেছি।’ এছাড়াও বাংলাদেশের রাজনীতি পারিবারিক রাজনীতি বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এদিকে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি, আগামী নির্বাচন কেমন হবে এবং নতুন দলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসহ নানান বিষয় নিয়ে চলমান নিউইয়র্কের সাথে কথা বলেছেন।
চলমান নিউইয়র্ককে দেয়া সাক্ষাৎকারে আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে এবি পার্টির সদস্য সচিব মুজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন,
আমাদের দেশের হিসাব মতে আমরা সবাই জানি যে ২০২৩ সালের নির্বাচনের কথা আমি শুনতে পাচ্ছি। কিন্তু আমরা জানি না যে এই নির্বাচনটা আসলে কেমন হবে। আপনি জানেন যে অতীতের নির্বাচনের অভিজ্ঞতা আমাদের খুবই খারাপ এবং নিঃসন্দেহে একটা ফ্রি ফেয়ার এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন যদি না হয় সে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার যৌক্তিকতা নেই। সেজন্য আমরা যেটা মনে করি, প্রথম কথা হচ্ছে এই নির্বাচনটাকে স্বচ্ছ-অবাধ করার জন্য সকল রাজনৈতিক দলের ঐক্যমত প্রয়োজন। ‘
এর সাথে যোগ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রথমে চেষ্টা করছি এই ঐক্যমতে সকলকে আনার জন্য, যে একটা ফ্রি ইলেকশন দরকার আর নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দরকার। সেক্ষেত্রে সকল বিরোধী দল, সরকারি দলকেও একমতে আনতে হবে। কারণ নাহলে দেশের স্থিতিশীলতা বা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা সেটা নষ্ট হবে। এক্ষেত্রে আমাদের প্রথম চেষ্টা যেটা থাকবে আমরা সবাইকে একটা প্ল্যাটফর্মে বা ছোট একটা পয়েন্টে একসাথে করা। যে আমরা আমাদের ভোটাধিকার ফেরত চাই, আমরা একটা অবাধ নির্বাচন চাই। একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ব্যবস্থা বা কর্তৃপক্ষের অধীনে হতে হবে।’
‘আমরা আমাদের দলের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। যেহেতু আমরা নতুন দল সেহেতু আমরা একশ আসনে নির্ধারণ করার জন্য কমিটি গঠন করেছি। এই একশ প্রার্থীকে নিয়ে এখন থেকে আমরা আস্তে-আস্তে কাজ করবো। কীভাবে নমিনেশন দেয়া যায়, নমিনেশন নেয়া যায় এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। এর আগে আমাদের যেটা চেষ্টা সেটা হচ্ছে আমরা দলের নিবন্ধনটা যাতে নির্বাচন কমিশন থেকে পেতে পারি সেই কার্যক্রমটা আমরা শুরু করেছি। আপনি জানেন যে নির্বাচন কমিশনের কিছু বিধিমালা আছে, কি কি করতে হয়- সেটা আমরা চেষ্টা করছি। আমরা দলের নিবন্ধনটা পেলে দলের নির্বাচনী কার্যক্রমটা আরও জোরালো করবো’- বলেও মন্তব্য করেন মুজিবুর রহমান মঞ্জু।
নির্বাচন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অনেকে আমাকে জিজ্ঞেস করে ‘আপনারা কি একক নির্বাচন করবেন না জোটবদ্ধ নির্বাচন করবেন। আসলে এটা সময়ের ব্যাপার। আমরা এখন আমাদের দলীয়ভাবে প্রস্তুতি নিবো আর জোটের বিষয়ে যখন আলোচনা আসবে সেটা আমরা দেখবো। তবে সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে এই নির্বাচনটা যদি নিরপেক্ষ না হয়, নির্বাচন যদি অবাধ সুষ্ঠু না হয় তাহলে বাংলাদেশের গণতন্ত্র হুমকির সম্মুখীন হবে এবং এটা কোনো রাজনৈতিক দলের জন্য শুভ হবে না। এবং আমাদের পজিশন সেখানে অত্যন্ত সুস্পষ্ট।’
ব্যক্তিগত সফরে নিউইয়র্কে এসে দলের প্রসঙ্গে মঞ্জু বলেন, ‘আমাদের দেশে গণতন্ত্র, আমাদের স্বাধিকার, আমাদের মানবাধিকার – সব জায়গায় এক ধরনের বন্ধ্যাত্ব তৈরি হয়েছে এবং এটা থেকে মুক্তি না হলে কারও জন্য কল্যাণকর না। আমরা যে কনসেপ্ট নিয়ে পলিটিক্স শুরু করতে চাচ্ছি – সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিধাকে ভিত্তি করে এবং আমাদের দেশের যে অতীত ঐতিহ্য আন্দোলন-সংগ্রামের এবং আমাদের যে প্রাগৈতিহাসিক ধর্মীয় মূল্যবোধ এ সবগুলোকে ভিত্তি করে ঐক্যের ভিত্তি বানিয়ে এবং তরুণ প্রজন্মকে আজকের যে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা এটাকে সহ ম্যাচ করে একটা নতুন রাজনৈতিক কনসেপ্ট আমরা হাজির করেছি এবং এটাকে সবাই এপ্রিশিয়েট করেছেন।
অনেকে প্রশ্ন করেছেন যে আপনাদের মতাদর্শিক বিষয়টা কি?
বড় বড় লোকেরা রাজনীতিতে সফল হন নাই, আপনারা কীভাবে হবেন? আমরা বলেছি বাংলাদেশে নতুন রাজনীতির জন্য সবাই মুখিয়ে আছে কারণ বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টির যে রাজনীতি- এই তিনটা দল মিলে বাংলাদেশকে যে জিনিসটা উপহার দিয়েছে- এক নাম্বার হচ্ছে এরা প্রত্যেকটা দল দুর্নীতিগ্রস্থ হয়েছে। দুই নাম্বার হচ্ছে এরা সবাই নির্বাচন ব্যবস্থাকে কুলষিত করেছে। নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নির্বাচন করার চেষ্টা করেছে। তিন নাম্বার হচ্ছে এরা দলীয়করণ করেছে। কি প্রশাসন! কি আইন বিভাগ! সবজায়গা। চার নাম্বার হচ্ছে তারা বিরোধী দলকে দমন করেছে। বিরোধী দলকে তারা রাজপথে নামতে দেয় নাই। এখনকার ফর্ম তো আরও ভয়ানক। গুম খুনের অবস্থানে চরম মাত্রায় পৌঁছে গেছে। পঞ্চম হচ্ছে তারা একটা পারিবারিক রাজনীতি চালু করেছে। জিয়া পরিবার, এরশাদ পরিবার বা মুজিব পরিবার। এজন্য আমরা বলেছি বাংলাদেশে নতুন রাজনীতি মাস্ট।’
নতুন রাজনীতিতে সফল হবেন কি না এমন প্রশ্নে মঞ্জু বলেন, ‘সমস্যা হচ্ছে যে সবার একটা হতাশা নতুন রাজনীতি কে করবে? নতুন রাজনীতি করে তো কেউ সফল হন নাই। বাংলাদেশের নতুন রাজনীতির সফলতার জন্য কয়েকটি বিষয় লাগবে। সেটা হচ্ছে আপনি যে কনসেপ্টটা হাজির করেছেন সেই কনসেপ্টটা কতটুকু গ্রহণযোগ্য। সে কনসেপ্টটা কতটুকু পপুলার। সে কনসেপ্টতা কতটুকু বাংলাদেশকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করবে। এটা খুব ইমপোর্টেন্ট ইস্যু। আমরা যে কনসেপ্ট দাঁড় করিয়েছি, মতবাদ বা ধর্মীয় যে বিভেদ এটার বিতর্কে না গিয়ে আমাদেরকে আমাদের অধিকারের জায়গায়, জাতীয় ঐক্যের জায়গায় রাজনীতির আদর্শটাকে স্থাপন করতে হবে। আর আমরা বলেছি রাজনীতির মূল জায়গা হবে সার্ভিস এন্ড প্রবলেম সলভ করা। আপনি যদি মানুষকে সার্ভিস দেন এবং সমস্যা সমাধানের জন্য দিকনির্দেশনা হাজির করতে পারেন তাহলে হবে। ‘
দেশের পরিস্থিতি প্রসঙ্গে মুজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘আপনি দেখেন কোনো রাজনৈতিক দলের কাছে সেই দিকনির্দেশনা পাচ্ছেন না। আমাদের জ্যাম কীভাবে দূর হবে ঢাকা শহরের? আমাদের দুর্নীতি কীভাবে দূর হবে? আমাদের এত বেকারত্বের কর্মসংস্থান কীভাবে হবে? কোনো রাজনৈতিক দলের কিন্তু সুস্পষ্ট গবেষণা ভিত্তিক প্রস্তাবনা নাই। আমরা এবি পার্টি কিন্তু গবেষণা ভিত্তিক প্রস্তাবনা তুলে ধরছি। আমাদের ফেসবুক ফলো করলেই দেখবেন। আমরা শেড কমিউনিটি সিস্টেমের একটা প্রস্তাবনা হাজির করবো। আমাদের দলের ব্যাপারে সবাই জানবে। এবি পার্টি যদি পাওয়ারে (ক্ষমতায়) আসে তাহলে রেলওয়ের পরিস্থিতিটা কি হবে, শিক্ষা-ব্যবস্থার পদ্ধতিটা কি হবে, আমাদের পররাষ্ট্রনীতির মূল দিকগুলো কি হবে, আমাদের যে নদী আছে, পরিবেশ বিপর্যয় আছে এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট একটা বক্তব্য এবি পার্টি তুলে ধরবে। এটা আমাদের একটা প্রস্তাবনা যে রাষ্ট্রটাকে এভাবে দেখতে চাই। এই যে সবাই বলে নতুন রাজনীতি কেন সফল হয়না, মানুষ কেন হতাশ। নতুন আসলে ওদের কেউ বিশ্বাস করেনা এর কারণ হচ্ছে নতুন রাজনীতির সুস্পষ্ট কোনো প্রস্তাবনা নাই। দুই নাম্বার হচ্ছে নতুন রাজনীতিটা বাংলাদেশের সব জায়গায় বিস্তৃত না। ‘
এর সাথে যোগ করে তিনি বলেন, ‘ধরেন একটা দল তার জেলা উপজেলা ভিত্তিক কমিটি থাকতে হবে। আমরা দেখেছি যে নতুন রাজনীতি এদিকে মনোনিবেশ করেন নাই তারা বেশিরভাগ প্রেসক্লাব বা রিপোর্টার্স ইউনিটির দিকে কনসেনট্রেট। শুনলে অবাক হবেন আমরা একচল্লিশটি জেলায় কমিটি করেছি। প্রায় ৮০টির উপর উপজেলায় আমাদের কমিটি বিস্তৃত। কোভিডের কারণে আমরা সব জায়গায় যেতে পারিনি। তৃতীয় যে বিষয়টা একটা রাজনৈতিক দলের অর্থনৈতিক ভিত্তি থাকতে হবে এবং সে অর্থনৈতিক ভিত্তিটা ট্রান্সপারেন্ট হতে হবে অর্থাৎ এর আয়ের উৎস কি। যদি এখানে কোনো রহস্যজনক উৎস থাকে, সেখানে যদি কোনো গোপন উৎস থাকে তাহলে এ রাজনৈতিক দলটা সফল হবেনা। ‘
দলের প্রসঙ্গ টেনে মঞ্জু বলেন, ‘সেজন্য আমরা একটা ট্রান্সপারেন্ট অর্থনৈতিক উৎস যে আমাদের দল যারা করছে তারা দলকে সাপোর্ট দিতে পারে কিনা। এটাকে আমরা উৎসাহিত করছি। প্রাশ্চাত্যের রাষ্ট্রগুলোতে যেটা আছে দলকে যারা সাপোর্ট করবে বা দলের যারা কর্মী হবে তারা দলকে অর্থ ডোনেট করবে। এরপরে হচ্ছে একটা রাজনৈতিক দলের যে জিনিসটা দরকার সেটা হচ্ছে নেতৃত্ব। মানুষ বুঝবে এই দলকে কারা নেতৃত্ব দিচ্ছে তারা যোগ্য কিনা তাদের কথাবার্তা গুলো ঠিক আছে কিনা, যৌক্তিক কিনা। পাঁচটি প্রবলেম – দলের প্রস্তাবনা কি, দলের কনসেপ্ট কি, দলের কনসেপ্টটা পপুলার ওয়েতে হাজির করতে পারছি কিনা, দলের অর্থনৈতিক ভিত্তি আছে কিনা, সারা বাংলাদেশে তার বিস্তৃতি আছে কিনা এবং দলের নেতৃত্বে কারা আছেন। নেতৃত্ব গ্রহণযোগ্য কিনা – এই পাঁচটি জিনিস অতীতে যারা নতুন রাজনীতি শুরু করেছেন তারা এর সমন্বয় ঘটাতে পারেন নাই। তাদের কেউ কেউ অনেক পরিচিত লোক, তারা অনেক বিখ্যাত লোক, সফল লোক কিন্তু এই পাঁচটি কাজকে যেহেতু তারা সমন্বিত করতে পারেন নাই ফলে তাদের দলটা রাজনৈতিক দল আকারে হাজির হয়নাই। বেশিরভাগ দলের কাউন্সিল হচ্ছেনা, তাদের নেতা শুরুতে যিনি ছিলেন এখনও তিনি আছেন। আমরা সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছি। আমাদের দলের প্রেসিডেন্ট বা সেক্রেটারি কেউই দুই টার্মের বেশি পজিশনে থাকতে পারবেন না। দুই টার্ম পরে তাকে রিটায়ার্ড-মেন্টে যেতে হবে। আমাদের দলের যারা প্রধানের দায়িত্ব থাকবেন তিনি রাষ্ট্রের প্রধান হতে পারবেন না। এই ধরনের কিছু কনসেপ্ট আমরা হাজির করেছি। ‘
দলের উদ্দেশ্য নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মঞ্জু বলেন, ‘এই নতুন রাজনীতিকে সফল করার জন্য অনেক লম্বা পথ হাঁটতে হবে। আমাদের দেশে সে পরিবেশ নাই। অনেকে আমাকে খুব হতাশার কথা বলে কেউ পারে নাই, সম্ভব না। বাংলাদেশে যে দুর্নীতি, বাংলাদেশে যে সমস্যা এটা কখনও যাবে না। আমি বলি যে, কোনো না কোনো অন্ধকারে কখনও কখনও কেউ উদ্যোগ নিয়েছে বলেই আলোকিত হয়েছে। আমি মনে করি যে একটা নতুন রাজনীতির জন্য আমাদের যে উদ্যোগ এটা আমরা শুরু করেছি এবং আমরা সফল হতে পারবো কিনা এটা নির্ভর করবে আমাদের কথা এবং কাজের উপর। একটা নতুন দলকে তৈরি করা, একটা নতুন দল নিয়ে এগিয়ে যাওয়া অন্তত কঠিন একটা কাজ। আমরা আমাদের দলের নাম গণতান্ত্রিকভাবে নির্ধারণ করেছি। র্মসূচিগুলো নির্ধারণ করেছি আর আমাদের একটা প্রাথমিক খসড়া চুড়ান্ত হয়েছে। এখন আমাদের কমিটিগুলো হচ্ছে এরপর আমরা জাতীয় সম্মেলন করবো। রাষ্ট্রের পঞ্চাশ বছরের মাথায় এসে নতুন করে সব ভাবতে হবে।
এদিকে, মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ভূমিকা ও দলের সংস্কার বিষয়ে মতানৈক্যর কারণে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতেই জামায়াত বহিষ্কার করে বর্তমান এবি পার্টির সদস্য সচিব মুজিবুর রহমান মঞ্জুকে। এরপরই সে বছরের ২৭ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলন করে ‘জন আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ’ ওই প্ল্যাটফর্ম গঠন করে তিন মাসের মধ্যে নতুন দল গঠনের ঘোষণা দিয়েছিলেন মঞ্জু। তার এক বছর পর গত বছরের ২ মে আমার বাংলাদেশে পার্টি (এবি পার্টি)’ নামে নতুন দলের ঘোষণা আসে।
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন