গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মানবিক ত্রাণ প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। রোববার (২ মার্চ) থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়।
নেতানিয়াহুর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর একটি প্রস্তাব দিয়েছেন, যাতে ইসরায়েল সম্মত হয়েছে। তবে হামাস এ প্রস্তাবে রাজি হয়নি। ফলে উপত্যকাটিতে ত্রাণ প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
হামাস এই নিষেধাজ্ঞাকে ‘সস্তা ব্ল্যাকমেইল’ আখ্যা দিয়ে জানিয়েছে, এটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির লঙ্ঘন এবং ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে স্পষ্ট অপরাধ। এক বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, “ইসরায়েল মানবিক সহায়তা বন্ধ করে যুদ্ধাপরাধ করছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর উচিত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া।”
গাজায় চলমান সংকটের মধ্যে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে হামাস ২৫ জন জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেয় এবং আটজনের মরদেহ হস্তান্তর করে। বিনিময়ে ইসরায়েল প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়। তবে নতুন করে যুদ্ধবিরতির আলোচনা নিয়ে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। ইসরায়েল বর্তমান যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে চাইলেও হামাস দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরু করার পক্ষে রয়েছে।
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে গাজায় মানবিক সংকট আরও গভীর হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতির উন্নয়নে আন্তর্জাতিক মহলের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানাচ্ছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন।
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন